জাতীয়
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান করে কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরসহ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল না করায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার আমাদের প্রাণের দাবি। যে পর্যন্ত সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা না হচ্ছে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মহাসড়কের গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। তবে তারা সড়ক ছাড়ছে না। এ কারণে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা নেই। এটি জানার পরও তারা আন্দোলন করছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকেছে। কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। মানে যারা ষড়যন্ত্রকারী। এটি মানুষ বোঝে। তারা নির্বাচনের আগে সক্রিয় ছিল। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের নির্বাচন পণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সরকার বাতিল করেছে। সরকার এটি বাতিল করেছে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে। গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা কোটাবিহীন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটার ভিত্তিতে নয়, সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ কোটাবিহীনভাবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কোটা ছিল। স্বাধীনতার আগেও কোটা ছিল। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী ও জেলা কোটা ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল না। যেটি আমাদের সরকার পুনর্বহাল করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের কোটা দেশ স্বাধীনের পর থেকে ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোথাও ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি। এই আন্দোলনকে একটি অশুভচক্র ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে টিএসসিতে তিনি এ কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, শুধু ষড়যন্ত্র নয় গাড়িতে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে ফেলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা ও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছে।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, গতকাল রাতে বিএনপির অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তাজা ককটেল, লাঠিসোঁটা ও অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করি।
তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এই গ্রুপটি অর্থ, আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছে। যারা এগুলো করেছে তাদের প্রত্যেকের নাম আমরা পেয়েছি। শিগগির তাদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গতকালও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারাও অনেকের নাম বলেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এইচএসবিসির নতুন সিইওর নাম ঘোষণা
এইচএসবিসি হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে জর্জেস এলহেদারি নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গেছে। গত আট বছরেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম বড় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তিনি তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এলহেদারি বর্তমানে এইচএসবিসির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা। তিনি নোয়েল কুইনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০২০ সাল থেকে এলহেদারি এইচএসবিসির গ্লোবাল ব্যাংকিং অ্যান্ড মার্কেটস ব্যবসা বিভাগে যৌথ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এলহেদারির জন্ম লেবাননে। ২০০৫ সালে তিনি এইচএসবিসিতে যোগ দেন। ২০২২ সালে অনেকটা হঠাৎ করে তাঁকে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বেশ লম্বা সময়ের জন্য ছুটিতে ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি এইচএসবিসির মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও তুর্কিয়ে অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নোয়েল কুইন পাঁচ বছর ধরে এইচএসবিসির নেতৃত্ব দিয়েছেন। চাকরি ছাড়ায় তাঁর নোটিশ পিরিয়ড শেষ হবে ২০২৫ সালের এপ্রিলে।
কুইনের সময় ব্যাংকের অনেক সম্পদ বিক্রি হয়েছে, এটি একটি বৈশ্বিক মহামারি পার হয়েছে এবং ১৬০ বছরের ব্যাংকটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁর সময়েই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনে রেকর্ড করেছে। সম্পদের বিবেচনায় এইচএসবিসি ইউরোপের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যালান্স শিটে সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলার।
এশিয়ার সঙ্গে এইচএসবিসির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক ব্যবহার করে ব্যাংকটি তার মুনাফা আরও বাড়াতে চায়। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর এইচএসবিসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অফিস গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে দেশে দেশে ব্যাংকটির উপস্থিতি এক-চতুর্থাংশ কমেছে। বিপরীতে তারা এশিয়ায় পুঁজি ও সম্পদ বাড়িয়েছে।
গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে এলহেদারির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সে ব্যাপারে যথাসময়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে এইচএসবিসি জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের গ্রেনেড বিস্ফোরনে ৫ সাংবাদিক আহত
কোটা আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন ও হত্যার প্রতিবাদ জানাতে টিএসসিতে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও তার তিন সহযোগী। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা সরতে না চাইলে চার রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরে আক্তার ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে এতে ৫ সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ডাস চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকেরা হলেন- যমুনা টিভির রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, কালবেলার আকরাম হোসাইন ও জনি রায়হান, আজকের পত্রিকার মোজো রিপোর্টার শাবিব, চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক সুলাইমান কবির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনসহ পাঁচজন অবস্থান নিলে সাংবাদিকরা তাদের সাক্ষাৎকার নিতে যান। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের মাঝে চার থেকে পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
সেখান থেকে সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে আখতার হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের সময় তাকে মারধরও করা হয়।
পরে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে আখতার হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, এর দায় সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওত মুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে সম্প্রচার করবে।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সোমবারও দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।