জাতীয়
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী: পলক
![শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী: পলক পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Palok-PM.jpg)
কোটাবিরোধী আন্দোলনে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরাও আসলে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গতকাল বিকেলের পর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যত সহিংসতা হয়েছে, যতগুলো প্রাণহানি হয়েছে; তা খুবই উদ্বেগের। সবাইকে বলবো—সচেতন হন, সহিংস হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনার শেষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সহিংসতার ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অবশ্যই বিবেচনায় নেবেন। তাদের সহায়তা করার জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগে গেছে, আপিল করাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেন। তিনি গত কয়েকদিনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যেটা শান্তিপূর্ণ ছিল, অরাজনৈতিক ছিল। সেখান থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল, তারা মিথ্যা-গুজব ছড়ালো দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। যখন গুজবটা ছড়ালো, তখন কিন্তু কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু আমরা দেখলাম এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক কিছু মাধ্যম এবং কিছু রাষ্ট্রের মুখপাত্রও বিবৃতি ও বক্তব্য দিলো। তারা এর মাধ্যমে গুজবকে স্বীকৃতি দিলো।
‘এ গুজবের প্রেক্ষিতে, উসকানির কারণে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গেলো। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে ৬-৭ জন মানুষের জীবন চলে গেলো। তাদের জীবন চলে যাওয়ার পেছনে কী মিথ্যা ও গুজব ছড়ানোর যেসব প্ল্যাটফর্ম তারা কি দায়ী নয়?’ বলে প্রতিমন্ত্রী।
সরকার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে বিশ্বাস করে জানিয়ে পলক বলেন, আমরা মুক্ত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতামত প্রকাশ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন রক্তাক্ত হয়েছে, সেটা যেভাবেই হোক; তা নিয়ে যখন কেউ মন্তব্য দিচ্ছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু অনেক গুজবও ছড়াচ্ছে। আমার অনুরোধ— সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো তথ্য দেখেই যেন তারা আবেগী সিদ্ধান্ত না নেন। কোনো উসকানিতে যেন সহিংস অবস্থানে নেমে পড়বেন না।
এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলক ‘সাইবার-সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম: বাংলাদেশ পাথ ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সেখানে বক্তব্যে তিনি বলেন, গুজব, অপতথ্য ও বুলিং ছড়িয়েপড়া রোধে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ ডিজিটাল মিডিয়াগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ডিপফেক, সাইবার বুলিং নিয়ে ফেসবুককে জবাবদিহি নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
এইচএসবিসির নতুন সিইওর নাম ঘোষণা
![এইচএসবিসির নতুন সিইওর নাম ঘোষণা পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/12/HSBC-1.jpg)
এইচএসবিসি হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে জর্জেস এলহেদারি নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গেছে। গত আট বছরেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম বড় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তিনি তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এলহেদারি বর্তমানে এইচএসবিসির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা। তিনি নোয়েল কুইনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০২০ সাল থেকে এলহেদারি এইচএসবিসির গ্লোবাল ব্যাংকিং অ্যান্ড মার্কেটস ব্যবসা বিভাগে যৌথ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এলহেদারির জন্ম লেবাননে। ২০০৫ সালে তিনি এইচএসবিসিতে যোগ দেন। ২০২২ সালে অনেকটা হঠাৎ করে তাঁকে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বেশ লম্বা সময়ের জন্য ছুটিতে ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি এইচএসবিসির মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও তুর্কিয়ে অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নোয়েল কুইন পাঁচ বছর ধরে এইচএসবিসির নেতৃত্ব দিয়েছেন। চাকরি ছাড়ায় তাঁর নোটিশ পিরিয়ড শেষ হবে ২০২৫ সালের এপ্রিলে।
কুইনের সময় ব্যাংকের অনেক সম্পদ বিক্রি হয়েছে, এটি একটি বৈশ্বিক মহামারি পার হয়েছে এবং ১৬০ বছরের ব্যাংকটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁর সময়েই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনে রেকর্ড করেছে। সম্পদের বিবেচনায় এইচএসবিসি ইউরোপের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যালান্স শিটে সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলার।
এশিয়ার সঙ্গে এইচএসবিসির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক ব্যবহার করে ব্যাংকটি তার মুনাফা আরও বাড়াতে চায়। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর এইচএসবিসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অফিস গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে দেশে দেশে ব্যাংকটির উপস্থিতি এক-চতুর্থাংশ কমেছে। বিপরীতে তারা এশিয়ায় পুঁজি ও সম্পদ বাড়িয়েছে।
গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে এলহেদারির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সে ব্যাপারে যথাসময়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে এইচএসবিসি জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের গ্রেনেড বিস্ফোরনে ৩ সাংবাদিক আহত
![পুলিশের গ্রেনেড বিস্ফোরনে ৩ সাংবাদিক আহত পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/grenade-attack1.jpg)
কোটা আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন ও হত্যার প্রতিবাদ জানাতে টিএসসিতে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও তার তিন সহযোগী। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা সরতে না চাইলে চার রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরে আক্তার ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে এতে তিন সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ডাস চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনসহ পাঁচজন অবস্থান নিলে সাংবাদিকরা তাদের সাক্ষাৎকার নিতে যান। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের মাঝে চার থেকে পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
আহত সাংবাদিকেরা হলেন- দৈনিক জনবাণীর তুষার, চ্যানেল এস-এর সুলাইমান কবির এবং আজকের পত্রিকার সংবাদকর্মী শাবিব আব্দুল্লাহ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শাবিব প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অফিসে ফিরেছেন।
সেখান থেকে সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে আখতার হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের সময় তাকে মারধরও করা হয়।
পরে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে আখতার হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, এর দায় সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
![সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/প্রধানমন্ত্রী-3.jpg)
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওত মুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে সম্প্রচার করবে।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সোমবারও দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশকে বন্দি পরিবহনকারী গাড়ি দিলো যুক্তরাষ্ট্র
![বাংলাদেশকে বন্দি পরিবহনকারী গাড়ি দিলো যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bondhi.jpg)
বন্দি পরিবহনে নিরাপত্তা জোরদার ও আদালতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫টি বিশেষায়িত যান হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস।
আজ বুধবার (১৭ জুলাই) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব বন্দি পরিবহন যান হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে জানা যায়, উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের কাউন্টার টেরোরিজম ব্যুরোর (সিটি) অর্থায়নে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামের (আইসিআইটি) সহায়তায় করা হয়েছে। যা আইনি কার্যক্রম চলাকালে উচ্চ-ঝুঁকির এবং সন্ত্রাসী বন্দি ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।
অত্যাধুনিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে সজ্জিত এসব যান আদালতের কর্মী, বাদী, আসামি, বন্দি এবং পর্যবেক্ষকদের কল্যাণে সুরক্ষার জন্য বন্দিদের নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে।
ইসিট্যাপের ল এনফোর্সমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটাশে মাইকেল হিন্টজ বলেন, এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করতে এবং বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এ বিশেষ যানবাহন সরবরাহের মাধ্যমে, আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদের বিচারের সময় একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করা, যার ফলে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন বজায় থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, আইজিপি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)।
হেলেন লাফেভ বলেন, বিচার পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে সমর্থন করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে সজ্জিত এই যানগুলো সন্ত্রাসবাদের বিচারের সঙ্গে জড়িত বন্দিদের পরিবহনের নিরাপত্তা ও দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে, যা আরও নিরাপদ ও সহিষ্ণু বিচার ব্যবস্থায় অবদান রাখবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলনে রাজধানীতে আহত ১২ পুলিশ: ডিএমপি
![কোটা আন্দোলনে রাজধানীতে আহত ১২ পুলিশ: ডিএমপি পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/kota-police.jpg)
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আহতরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির জানান, আহতদের কেউ কেউ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, মহাখালী, মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, বনানীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা অবরোধ করে।
পুলিশ ছাড়াও অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান ডিএমপির সহকারী কমিশনার।