গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। আজ মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকার, সব ছাত্রসংগঠন ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
গত দুই দিনে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকেরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির খবর সংগ্রহ এবং তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন। এ দায়িত্ব পালনে তাঁদের ওপর আক্রমণ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া খুবই উদ্বেগের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের তথ্য তুলে ধরে সম্পাদক পরিষদ গত দুই দিনে (১৫ ও ১৬ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিক বাংলায় আবদুর রহমান, বাংলাদেশ টুডের জোবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোর মুশফিকুর রিজওয়ান, বিডিনিউজ২৪ ডটকমের হাসিবুর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠ–এর ওয়াজহেতুল ইসলাম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও একটি অনলাইন পোর্টালের সাকিব আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত ব্যক্তিরা হলেন দ্য ডেইলি স্টার–এর আলোকচিত্রী প্রবীর দাস, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী দীপু মালাকার, জনকণ্ঠ–এর আলোকচিত্রী সুমন্ত চক্রবর্তী, পত্রিকাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন, ভোরের পাতার পুলক রাজ ও আমার সংবাদের মিরাজ উদ্দিন।
চট্টগ্রামের ষোলশহরে আহত হন সারাবাংলাডটনেটের আলোকচিত্রী শ্যামল নন্দী, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান রুনা আনসারি। দিনাজপুরে সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শিমুল ও বিজয় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মোস্তফা এবং বগুড়ায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও ব্যুরোপ্রধান মেহেরুল সুজন, দৈনিক করতোয়ার আলোকচিত্রী সফিকুল ইসলাম, ইত্তেফাক–এর আলোকচিত্রী বিমু রহমান ও গাজী টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন এনামুল হক প্রমুখ আহত হন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
বিটিভির তিন জেলা প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি সরকারি এ চ্যানেলটিকে মানসম্মত অনুষ্ঠান পরিবেশন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কমিটির সদস্য আলী আজম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, মো. আফজাল হোসেন, মো. আবদুচ ছালাম এবং ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য মানসম্মত অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে বলা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বিজ্ঞাপন রেটের তুলনামূলক চিত্র ও বিটিভি থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পেশ করা প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
বৈঠকে বিটিভির জেলা প্রতিনিধিদের ব্যাপারে কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুর জেলার প্রতিনিধি পরিবর্তনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ডকুমেন্টস স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
পররাষ্ট্র ক্যাডারে তাহসানের প্রথম হওয়ার খবরটি গুজব!
বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম। পিএসসির আলোচিত সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীর সূত্রে তিনি আলোচনায় আসেন। তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী।
এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে মা পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালে ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান! ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই পরীক্ষাটি বাতিল হয়, পরে ভাইভা হলে বাদ পড়েন তাহসান। একাধিক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছিল খবরটি। সংবাদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যান বলছে, তাহসানকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি সঠিক নয়।
২০০৩ সালে জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া খবরের বরাত দিয়ে রিউমার স্ক্যানার জানায়, ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েকদিন পরই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষা তখনও অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ভাইভা ছাড়া বিসিএস ক্যাডার হওয়া বা মেধাতালিকায় স্থান দখল করা সম্ভব নয়। তাই, প্রশ্নফাঁসের ফলে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডার হওয়ার দাবিটি অমূলক।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া ২৪তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন কাজী এহসানুল হক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি: সম্পাদক পরিষদ
সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান উচ্চ ও নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিবৃতিটি পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকিসরূপ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপির শেষাংশে অনুরোধ জানানো হয়েছে জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে। ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও সনির্বন্ধ অনুরোধ জানানো হয়।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশের ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়- এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে গণমাধ্যম। এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ঢালাও প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে পারস্পারিক দোষারোপ চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিবাদের মাধ্যমে দেওয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার প্রতি অশোভন, অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় থাকলে নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রেস কাউন্সিলের দারস্থ হওয়া যেতে পারে। তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পারিক দোষারোপ ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে যেকোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকরত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ সাংবাদিক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১২ জন সাংবাদিক। সোমবার (১০ জুন) দুদক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড- ২০২০-২১ এ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
২০২০ সালের জন্য প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সানাউল্লাহ সাকিব, দ্বিতীয় পুরস্কার পান যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিজান চৌধুরী, তৃতীয় পুরস্কার পান কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল। একই বছরের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব কবির চপল, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি কাওসার সোহেলী ও তৃতীয় পুরস্কার পান ডিবিসি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুহাম্মদ আরাফাতুল মোমেন।
২০২১ সালের জন্য প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদনান রহমান, দ্বিতীয় পুরস্কার পান আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম, তৃতীয় পুরস্কার পান জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী। একই বছরের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল রাফি, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন ও তৃতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি নূর সিদ্দিকী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিক ও গুণীজনদের পুরস্কার দিলো ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম
সাংবাদিক ও ডিজিটাল গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) আয়োজনে ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকতা ও ডিজিটালে কর্মরত বিভিন্ন সেক্টরের সফল ব্যক্তিদের ৭টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এবার এসব বিভাগে মোট ১১জন পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিক (রিপোর্টার) ও ৬ জন বিভিন্ন সেক্টরের গুণীজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জাজ ছিলেন ঢাকা জার্নাল অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইউএনবির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডেইলি সবুজ নিশানের বার্তা প্রধান মো. মোকছেদুর রহমান ওয়ালী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন ডিএমএফ প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিজনেস অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক উদয় হাকিম, ডয়েচে ভেলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ, পেন্টাগন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অন্তু করিম, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার এলিজা বিনতে এলাহী, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামিল খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজী আনিছ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার রাগীব রহমান, ইউল্যাবের লেকচারার সরজ মেহেদী, ঢাকা বিজনেস বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হক, প্রথম আলো ডিজিটালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিড রুহুল আমিন রনি, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সিরাজুল ইসলাম সুমন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম, নিউজ বাংলা২৪ এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ জাকারিয়া হোসেন জয়।
আয়োজনে স্পন্সর করেছে কিডলন, লুমিনাস গ্রুপ, ইফাদ, কিরণ, জি এন্ড এম, ক্রিয়েসন ওয়ার্ল্ড, কিউকম, মাইক্লো, অলিভ, পিওনি মেন্জ, টেক্সর্ট, স্টুডিও ভেলভেট, টেকনিশিয়ান, পিআর পিটু, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, বিএসই, এনইউএসডিএফ, লিমিরেন্স ক্রিয়েশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ একটি মাইল ফলক। অনেকেই গণমাধ্যমে ডিজিটালের কথা বলে, কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম আজ তা করে দেখিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে আরো এমন আয়োজন করবে, এই প্রত্যাশা করি। আর যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করবেন, ভালো ও সৎ সাংবাদিকতা করবেন, এই প্রত্যাশা করি।’
এসময় বিশেষ অতিথি শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সাংবাদিকতায় অ্যাপ্রেসিয়েশনের দরকার রয়েছে, এতে উৎসাহ বাড়ে। আজ যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, নিশ্চয়ই তারা ভালো কাজের পুরস্কার পেয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এমন সাংবাদিক বান্ধব কাজ অব্যাহত থাকুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘সাংবাদিকতায় সৎ ও সাহসীরাই সবসময় পুরস্কার পান। আজ যারা পুরস্কার পেলেন, তাদের সাহসীকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ যারা দিলেন, তারা সবাই তরুণ। তাদের এমন আরেকটি সাহসী আয়োজন আজ প্রশংসার দাবিদার। তাদের জয় হোক।’
পুরস্কারে ভূষিত ৫ সাংবাদিক হলেন বণিক বার্তার স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহিয়া নকিব। তিনি বিজনেস বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন। বিনোদন বিভাগে পেয়েছেন আরটিভির বিনোদন প্রতিবেদক এসএম মারজান ইভান, অনুসন্ধানীমূলক সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার জাফর ইকবাল, আইসিটি বিভাগে পেয়েছেন দৈনিক সমকালের ডিজিটাল গ্রথ এডিটর সাব্বিন হাসান, স্পোর্টস বিভাগে পেয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি.কমের সিনিয়র রিপোর্টার ইয়াসিন হাসান।
ডিএমএফ স্পেশাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয় বড়ুয়া লাভলু, দৈনিক প্রথম আলোর ডেপুটি ম্যানেজার বিবর্ধন রায় ইমন, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার), নেক্সট ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পরিচালক আব্দুল্লাহ জায়েদ, খাবার দাবার ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রাফাতুল ইসলাম খান এবং স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।