অর্থনীতি
সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জ্বালানি খাতের শীর্ষ কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কোম্পানি দুটির মধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পারতামিনা পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হলো। এ সমঝোতার আলোকে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তারা। এ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এজন্য যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করে ৫০ শতাংশ করে শেয়ারে মালিকানায় থাকবে পারতামিনা ও সিপিজিসিবিএল।’
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, মহেশখালীতে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে। পারতামিনা ৫০০ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সেখানে আরো বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরো জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানি করছে বাংলাদেশ, বছরে যা প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন টন। এছাড়া সেখান থেকে মিনারেল পণ্যও আমদানি হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে সৌরভিত্তিক বৃহৎ কোনো প্রকল্পে একক বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রবেশ করবে ইন্দোনেশিয়া। এর আগে পটুয়াখালীর পায়রায় ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) আধা মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিউয়েবল)’ নামে একটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ১১টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে নয়টি পিপিএ-আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মোট ২৬৯ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি এলওআই স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে তার মোট ১০ শতাংশ থাকবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত জামালপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, পায়রা, বাগেরহাটের রামপাল ও দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

অর্থনীতি
পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ইউএনডিপির মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকায় পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এসেছে। সেটা হলো নির্বাচনের সময় পুলিশদেরকে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে। পুলিশের এটা লাগবে। এ প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি। দ্রুত এটা আনতে হবে।
কত টাকা খরচ হবে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হবে। নির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারব না। এটা আমরা সংগ্রহ করব ইউএনডিপির মাধ্যমে।
ইউএনডিপি কেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা টিকা আনি ইউনিসেফের মাধ্যমে। কারণ হলো টেন্ডার করে আনতে গেলে মানের বিষয় থাকে, দামের বিষয় থাকে। এজন্য ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে। এতে করে আমরা কারো সঙ্গে নেগোসিয়েশন করব না।
টাকাটা কে দেবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের টাকায় এই ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন খাতের ব্যয় থেকে এটা মেটানো হবে। আমরা পুলিশকে দিচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে না।
অর্থনীতি
দিল্লিতে ৫০০ কেজি চিনিগুড়া চাল উপহার পাঠালো ঢাকা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লির হাইকমিশন থেকে এই চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার স্থলবন্দর দিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে করে চালগুলো আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে সকালে চিনিগুড়া চাল ভর্তি পিকআপ ভ্যানটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে। পরে বন্দর থেকে চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী রাজীব ভুঁইয়া জানান, চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সব প্রক্রিয়া মেনে উপহারের চালগুলো দ্রুত ছাড়করণ করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবারও ভরতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য উপহার হিসেবে বিনিময় হয়ে থাকে
কাফি
অর্থনীতি
সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা।
এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। অবশ্য তার আগে ১৭, ১০, ৯, ৮, ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট দাম বাড়ানো হয়। এতে ১৭ সেপ্টেম্বর ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা। এতদিন এটিই দেশের বাজারে সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল।
মঙ্গলবার থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা। এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরির দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৮০৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো দুই বিলিয়ন ডলার

সেপ্টেম্বর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে ২০৩ কোটি ১০ লাখ বা ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ দিন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯৩ কোটি ডলার। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৭৭ কোটি ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ১ শতাংশ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর গেল আগস্টে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়ছে, আপত্তি ব্যবসায়ীদের

প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম এক টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক হয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সয়াবিন ও পাম ওয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। তবে এত মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আপত্তি তুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি লিটার তেলের দাম ১ টাকা করে বাড়াতে বলেছেন ব্যবসায়ীদের।
তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন কিছু জানায়নি। ওই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। সিদ্ধান্তহীনভাবে ভোজ্যতেলের ওই বৈঠক শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।
এখন বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত দাম ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ ও পাম তেলের দাম ১৫০ টাকা।
সভা সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা অনেক বেশি বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এক টাকা বাড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এই ধরনের পর্যালোচনাগুলো করে থাকে। পর্যালোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
ওই সভায় সিটি, মেঘনা, টিকে গ্রুপসহ বাংলাদেশ এডিবল অয়েল এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন কোম্পানির প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১৮-২০ শতাংশের মতো তেলের দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে পাম ওয়েলেরও। যে কারণে এই দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাত্র এক টাকা দাম বাড়াতে বলছে। যদিও ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম সাড়ে চার টাকা ও পাম তেলের দাম সাত টাকার বাড়ছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটা মানছি না।’
এর আগে গত ১২ আগস্টের প্রথম ভাগে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়। এরও আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর বসিয়েছে। যা ভোজ্যতেলের দামে প্রভাব ফেলছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।