অর্থনীতি
ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের

আমদানি-রফতানি সহজীকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। সোমবার (১৫ জুলাই) এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে চলতি বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, বিএসডব্লিউ বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবেন। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এরইমধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিএসডব্লিউ প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরইমধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, বেসরকারি খাতের হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। যদিও এতদিন আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য অনেকটা অগোছালোভাবেই এগিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার। বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন হলে ব্যবসার ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
কর্মশালায় এফবিসিসিআইর পরিচালক, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
চার দফা বৃদ্ধির পর কমলো সোনার দাম

টানা চার দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত ট্রাম্পের শুল্কারোপের ঘোষণায় অস্থির হয়ে উঠেছে সোনার বিশ্ববাজার। নতুন শুল্কহার ঘোষণার পর রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায় প্রতি আউন্স (৩ হাজার ১৬৭ ডলার) সোনার দাম।
তবে এরপরই বড় পতন দেখে সোনার বিশ্ববাজার। বর্তমানে বিশ্ববাজারে দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১৪ ডলারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৮ মার্চ দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৯ মার্চ থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ

চলতি বছরের মার্চ মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ফলে মার্চ মাসে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে খাদ্যখাতে। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে মার্চের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
আলোচ্য মাসে (মার্চে) সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০২৪ সালের মার্চে যদি বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনে সংসারের খরচ চালাতে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে এ বছরের মার্চে একই পণ্য ও সেবা কিনে সংসার চালাতে খরচ লাগল ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
বিবিএস জানায়, মার্চ মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে, এর আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মার্চে দেশে গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ মাসে র্চে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মার্চে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৮১ ও ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৫ ও ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮৬ ও ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্চে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মার্চে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৮ ও ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৪৭ ও ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৮ ও ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না মজুরি। ফলে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। মার্চে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি। ফলে কমেছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। গ্রাম ও শহরের ১৪৫টি পেশার মজুরির ওপর এই হিসাব করেছে বিবিএস। দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। দেশে বর্তমানে ছয় কোটি কর্মজীবী মানুষের বসবাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামার পূর্বাভাস

আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইএমএফের সঙ্গে চলা বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ সময় প্রতিনিধি দলটি আগামী জুন নাগাদ বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, সরকারের সবগুলো অর্গান যখন একসঙ্গে কাজ করে তখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই আমাদের মূল লক্ষ্য: উপদেষ্টা

আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার রেসপন্স পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, না আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি।
এ সময় শেখ বশিরউদ্দীনকে প্রশ্ন করা হয় সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি যে কী কী পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ… ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।
১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বশিরউদ্দীন বলেন, অবশ্যই। আমরা আশা করছি বলেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি, কী কী ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮০ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এসব তেল ও ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এসব মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯২.৭৫ টাকা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের জন্য মাত্র একটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান থাইল্যান্ডের লাইফ অ্যান্ড হেলথ (থাইল্যান্ড) এসব তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ১৫৬.১৬ টাকা হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ১৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।
দরপত্রে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের চাহিদা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ভোজ্য তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২৮ কোটি লিটার। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার লিটার।