খেলাধুলা
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী, জানালেন অধিনায়ক
![এশিয়া কাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী, জানালেন অধিনায়ক বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Joti.jpg)
শ্রীলঙ্কার মাটিতে চারদিন পরই নারী এশিয়া কাপের আসর শুরু হতে যাচ্ছে। সেখানে খেলতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। তার আগে আজ (সোমবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্য জানালেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি নারী ক্রিকেটারদের কাছে এশিয়া কাপ নিয়ে আবেগ ও টুর্নামেন্টটি দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারার কথা জানিয়েছেন।
জ্যোতি বলেন, এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্যরকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় রেভ্যুলেশন (বিপ্লব) হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে।
ঘরের মাঠে শেষ দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের মানসিকতাও দেখাতে পারেনি জ্যোতির দল। সে অবস্থা কাটিয়ে ওঠার কথাই জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গেছে, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, আমরা এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তাদের আমরা দলে এনেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেও দেখলাম সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।
বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল বলে উল্লেখ করেন জ্যোতি, সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। তাদের ফেরা নিয়ে জ্যোতি বলেন, অভিজ্ঞতা সবসময় কাজে লাগে। তারা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে খেলেছেন। রুমানা আপু অনেকদিন পর ফিরলেন। জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এই দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখেছি তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। এটা দলের জন্য সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগামী ১৯ জুলাই পর্দা উঠছে নারী এশিয়া কাপের এবারের আসরের। নারী ক্রিকেটে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই শেষ হবে ২৮ জুলাই। এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। আসরের দ্বিতীয় দিনেই (২০ জুলাই) জ্যোতির দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
খেলাধুলা
বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চাকরি নিলেন হেমিং
![বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চাকরি নিলেন হেমিং বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Hemming.jpg)
গত বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিউরেটরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টনি হেমিং। বিসিবির চাকরি ছাড়ার সপ্তাহ পেরোনোর আগেই নতুন চাকরিতে যোগ দিলেন এই কিউরেটর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, হেমিংকে প্রধান কিউরেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
হেমিংয়ের সঙ্গে পিসিবির দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। কদিন পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এই সিরিজের উইকেট তৈরি দিয়েই নিজের নতুন চাকরিতে কাজ শুরু করবেন হেমিং।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে প্রধান কিউরেটর হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) যোগ দিয়েছিলেন টনি হেমিং। তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি ছিল বিসিবির। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এই কিউরেটর।
গত ১০ জুলাই এক বিবৃতিতে হেমিংয়ের বিদায়ের খবর নিশ্চিত করে বিসিবি। বিদায় বেলায় তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বিসিবির প্রধন নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘টনি হেমিং বিসিবির অমূল্য এক সম্পদ ছিলেন। তার বিস্তৃত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। তার সুক্ষ্ম দৃষ্টিভজ্ঞি ও নিবেদন বাংলাদেশের মাঠের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে কাজ করার আগে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি এবং দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হেমিং। একই সঙ্গে ওমান ক্রিকেট একাডেমির আইসিসি পিচ কনসাল্যান্ট ছিলেন তিনি।
তাছাড়া পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার, আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ও শিক্ষাবিদ এবং সৌদি আরবের রিয়াদে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজ্ঞ এই টার্ফ ম্যানেজার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
নারী বিপিএল নিয়ে যা জানাল বিসিবি
![নারী বিপিএল নিয়ে যা জানাল বিসিবি বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BPL-2025.jpg)
এশিয়া কাপ খেলতে আগামীকাল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দল। আজ সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেছেন ক্রিকেটাররা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন কোচ-অধিনায়ক। এছাড়া কথা বলেছেন নারী বিভাগের হেড অব অপরারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে আজ সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হয় নারী বিপিএল নিয়ে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের ক্রিকেট উপকৃত হবে। এটা (নারী বিপিএল) সময়ের দাবি। আমি এখনো বলতে পারছি না এটা হবে কি না। তবে আলোচনা আছে এটা বলতে পারি।’
‘যদি এ বছর না হয় পরের বছর হবে। শুধু মেয়েদের সুবিধার জন্য নয়, মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য এটা হওয়া দরকার। সব জায়গায় হচ্ছে, আমাদের এখানেও হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’-যোগ করেন বাশার।
এদিকে এশিয়া কাপে অধিনায়ক জ্যোতির চোখ সেমি-ফাইনালে, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
কোপার শিরোপা ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা
![কোপার শিরোপা ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/argentina-3.jpg)
২০২১ সালের আসরে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো লিওনেল মেসিরা। এতে কোপায় সর্বকালের সবচেয়ে সফল দলের তকমা পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা। এটি আর্জেন্টিনার ১৬তম শিরোপা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।
কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আজ ফাইনালে খেলার মূল সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। অতিরিক্ত সময়েরও ২২ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ততক্ষণে সবাই টাইব্রেকারের প্রহর গুনছিল। অবশেষে ১১২ মিনিটে গোলের মুখ দেখলো চলতি কোপার ফাইনাল। আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার।
আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলার মূল সময় শেষেও পরিসংখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে কলম্বিয়া।
এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময় মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। অবশেষে সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় ৭টা ২৫ মিনিটে।
শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁপাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।
২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁপায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।
৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এর ৩ মিনিট পর ফের আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।
৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।
৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।
৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরি হয়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।
মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।
৭৫ মিনিটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়িয়েই দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষমেশ খেলার মূল সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৩ মিনিটে আরও একটি ব্যর্থ আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। থেমে থাকেনি কলম্বিয়াও। তারাও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত নিজেদের অপরাজিত থাকাকে আর দীর্ঘ করতে পারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আর্জেন্টিনার কাছে এসেই যাত্রা থামলো তাদের। দারুণ খেলেও ২৩ বছরের আক্ষেপ ঘুচাতে পারলো না কলম্বিয়া। ২০০১ সালে সর্বশেষ কোপা শিরোপা জিতেছিল তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অতিরিক্ত সময়ে গড়াল কোপার ফাইনাল
![অতিরিক্ত সময়ে গড়াল কোপার ফাইনাল বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/argentina-2.jpg)
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আসেনি ফলাফল। আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যেকার কোপা আমেরিকার ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের নাটকীয় এক মুহূর্তে লিওনেল মেসি মাঠ ছেড়েছেন কান্নাভেজা চোখে। কোপা আমেরিকায় নিজের শেষ ম্যাচটা পুরো খেলা হচ্ছে না তার। ২০২২ বিশ্বকাপের পর আরও একবার আর্জেন্টিনার ফাইনাল গেল অতিরিক্ত সময়ে।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য মোটাদাগে ধরে রেখেছিল কলম্বিয়াই। ম্যাচপূর্ব ঘটনায় আগে থেকেই মানসিকভাবে আর্জেন্টিনা ছিল বিপর্যস্ত। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের স্বজনেরা। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসা হয়নি পুরো ম্যাচে। পুরো ম্যাচেই কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবল আর প্রেসিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। পুরোটা সময় তাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কলম্বিয়ার আক্রমণ ঠেকাবার কাজে।
এরমাঝেও আর্জেন্টিনার জন্য ভরসা হয়ে ছিলেন মেসি ও ডি মারিয়া জুটি। তাদের প্রচেষ্টা থেকেই একাধিকবার কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। এরইমাঝে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসি ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। চোখের জলে বিদায় জানান কোপা আমেরিকার ফাইনালকে।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটেই মূলত ইনজুরিতে পড়েন মেসি। আক্রমণে যাওয়ার পরেই তাকে কড়া ট্যাকেল করেন কলম্বিয়ার রাইটব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস। কড়া ট্যাকেলের পর সেখানেই গোড়ালি মচকায় লা পুলগার। এরপরেই ব্যাথানাশক দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চলে মেসির। খেলায়ও ফিরে আসেন খানিক পরেই। প্রথমার্ধ শেষ করেছেন সতর্কভাবেই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর পারলেন না মেসি। খেললেন না ৬৩ মিনিট পর্যন্ত। প্রেসিং করতে গিয়েই পড়ে যান মাঠে। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি মেসির। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মেসি।
ম্যাচে অবশ্য মেসিকে এমন কড়া ট্যাকেলের পরেও কোনো কার্ড দেখতে হয়নি আরিয়াসকে। ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাফায়েল ক্লাউস বাজাননি ফাউলের বাঁশিও। ম্যাচেও অবশ্য এখন পর্যন্ত ফলাফলে পড়েনি এর প্রভাব। যদিও বদলি নেমে নিকোলাস গঞ্জালেস খেলেছেন দুর্দান্ত। একাধিকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কলম্বিয়ার রক্ষণে। যদিও গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাসের কাছে আটকাতে হয়েছে তাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অভিষেকে রেকর্ড গড়া পাকিস্তানি ক্রিকেটারের মৃত্যু
![অভিষেকে রেকর্ড গড়া পাকিস্তানি ক্রিকেটারের মৃত্যু বিএসইসি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Khalid.jpg)
পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির করে রেকর্ড গড়েছিলেন খালিদ ইবাদুল্লা। ৮৮ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মারা গেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচিতে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় ইবাদুল্লার। ড্র হওয়া ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রান করেন তিনি। আর তাতে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে যায় তার। ওই ম্যাচে আরেকটি রেকর্ডেও জুড়ে যায় ইবাদুল্লার নাম। আরেক অভিষিক্ত কিপার-ব্যাটসম্যান আব্দুল কাদিরকে নিয়ে ২৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের যেকোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি।
তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব একটা লম্বা ছিল না। পাকিস্তানের জার্সিতে মাত্র তিন বছর খেলেছেন, ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে পাকিস্তানের হয়ে চারটি টেস্ট খেলে রান করেন ২৫৩।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় পথচলা দীর্ঘ না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪১৭ ম্যাচ খেলেন ইবাদুল্লা। যেখানে ৩৭৭ ম্যাচই খেলেন তিনি ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে। এই সংস্করণে ২৭.২৮ গড়ে ২২ সেঞ্চুরি ও ৮২ ফিফটিতে রান করেন ১৭ হাজার ৭৮। বল হাতে উইকেট নেন ৪৬২টি। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেন ইবাদুল্লা ৬৪টি। ২ ফিফটিতে ৮২৯ রান করার পাশাপাশি ৮৪ উইকেট নেন তিনি।
আম্পায়ার হিসেবে ২০টি প্রথম শ্রেণি ও ১২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন ইবাদুল্লা। নিউ জিল্যান্ডে একটি ‘প্রাইভেট কোচিং ক্লিনিক’ চালাতেন তিনি।