জাতীয়
অতীতের বিষয় মাথায় রেখেই সার্বিক নিরাপত্তা প্রণয়ন: ডিএমপি কমিশনার
![অতীতের বিষয় মাথায় রেখেই সার্বিক নিরাপত্তা প্রণয়ন: ডিএমপি কমিশনার ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/DMP-2.jpg)
আশুরা ও তাজিয়া মিছিল কেন্দ্রীক জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে অতীতেও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবছর আমরা সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছি।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকায় পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমামবাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরই মধ্যেই নিরাপত্তা স্বার্থে আমরা আশপাশে তল্লাশি সম্পন্ন করেছি। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্য কাজ করছে। ইমামবাড়ার আশপাশে যেসব উঁচু ভবন রয়েছে সেসব ভবন থেকে কেউ বা কোনো গোষ্ঠি যাতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘটাতে না পারে সেজন্য এসব ভবনের উপরেও ও নিচে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার, তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তিনি বলেন, রাজধানীতে যেসব ইমামবাড়া রয়েছে সে সমস্ত জায়গায় পুলিশের ডগ স্কোয়াট চেকিং সুইপিং সবকিছু এরই মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। এখানে (ইমামবাড়ায়) যারা প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই আর্চয়ে গেটে তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। ইমামবাড়ার সন্নিকটে যেসব উঁচু ভবন রয়েছে সেসব ভবন থেকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করবে। ইমামবাড়াসহ পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইমামবাড়ার আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া থেকে মিছিল বের হয়ে যে স্থানে যাবে, এবং সে রাস্তায় দিয়ে যাবে সবখানে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
কেউ বা কোনো গোষ্ঠী গুজব বা অপপ্রচার করতে না পারে সেজন্য সাইবার স্পেসেও মনিটরিং করা হবে-যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইমামবাড়ার ভেতরে যাতে কেউ ছুরি-চাকু দিয়াশলাই বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষকেও আমরা নজরদারির জন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে পুলিশও এ বিষয়টি নজরদারি করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের যেহেতু পতাকা নেওয়ার একটি প্রচলন রয়েছে সেজন্য পতাকা যাতে খুব বেশি উঁচু না হয় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে যেন স্পর্শ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে তাজিয়া মিছিলের সব নিরাপত্তা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
কোটা নিয়ে আদালতের রায় পর্যন্ত সরকার অপেক্ষা করবে: আইনমন্ত্রী
![কোটা নিয়ে আদালতের রায় পর্যন্ত সরকার অপেক্ষা করবে: আইনমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/MINISTER-OF-LAW-1.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করব। সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটাব না। যেহেতু বিষয়টি আদালতের কাছে গেছে, সরকার স্বভাবতই অপেক্ষা করবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন ও জননেত্রীর কারাবন্দি দিবস’উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন উঠেছে যে, কোটাতো আদালতের বিষয় না, এটা সরকারের বিষয়। আদালতে যখন একটা জিনিস গেছে, তখন সরকারও আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করে। এরপর সরকার একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি। সর্বোচ্চ আদালত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বললেন। শিক্ষকদের প্রতি বলেছেন, যেন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ তৈরি করা হয়। এরপরও কি স্লোগান দেওয়ার যৌক্তিকতা থাকে?
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছেন, তারপর ৭-৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেছেন। যারা আন্দোলন করছেন তারা কেন একজন আইনজীবী দিলেন না। পত্রিকায় হাইকোর্টের রায়ের কথা শুনে হঠাৎ করে রাস্তায় নামলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেই হতো, এর আগেও হয়েছে।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
একাত্তরের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা চেয়ে রিট
![একাত্তরের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা চেয়ে রিট ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
রাজাকার ছাড়া ১৯৭১ সালের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের।
এতে বলা হয়, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা দেয়া হোক।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, সংবিধানে রয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং এর রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’
এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মর্মে ঘোষণা আবশ্যক এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছয় দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
![ছয় দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন সিইসি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/kazi-habibul-cec.jpg)
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ছয় দিনের দাপ্তরিক সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।
চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসারকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. শাহ আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম ও স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করার জন্য সিইসি পাঁচদিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এ সময় তিনি দেশটির নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে ইসি সচিব শফিউল আজিম, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও আইডিইএ-২ প্রকল্প তথা স্মার্টকার্ড প্রকল্পের উপ-পরিচালক লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মো. খালিদ হাসানও যাবেন।
আগামী ২০ জুলাই তারা দেশ ত্যাগ করবেন, ফিরবেন ২৫ জুলাই। এ সফরের সমস্ত ব্যয় বহন করা হবে আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী
![দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/07/অনুদান-দেবে-জাপান-১.jpg)
জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে (টিটিসি) জাপান ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপান ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.খায়রুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম আরও বাড়লো
![স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম আরও বাড়লো স্মারক স্বর্ণমুদ্রা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/11/স্মারক-স্বর্ণমুদ্রা-১.jpg)
আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক স্মারক স্বর্ণমুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রা ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণে তৈরি ও প্রতিটির ওজন ১০ গ্রাম। স্মারক স্বর্ণমুদ্রাগুলোর (বাক্সসহ) প্রতিটির দাম ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন মুদ্রাগুলো বিক্রি করা হতো ১ লাখ টাকায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৮১ হাজার ২২৯ টাকায়।
এছাড়া স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত হচ্ছে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
তবে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ফাইন সিলভারের স্মারক মুদ্রার দাম।
এসব মুদ্রার মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন ১৯৯৮, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী ২০২১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১১, বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি, জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১। মুদ্রাগুলো বিক্রি হবে আগের দর ৬ হাজার টাকায়।
এমআই