অর্থনীতি
মিউচুয়াল ফান্ড-বন্ডে বিনিয়োগ হবে সর্বজনীন পেনশনের অর্থ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হওয়ার প্রায় ১১ মাস পর এর তহবিল বিধিমালার গেজেট জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেনশন কর্মসূচির আওতায় জমা হওয়া অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভালো মানের বন্ড, ট্রেজারি বিল, সুকুক এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্পের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে।
পেনশনের টাকা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাবে, তা উল্লেখ করে গত রবিবার (১৪ জুলাই) সর্বজনীন পেনশন তহবিল (বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আট সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এ কমিটি তহবিলের অর্থ কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে। তহবিলের কোনো অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই দেশের বাইরে বিনিয়োগ করা যাবে না। সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটিই মূলত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিনিয়োগের তথ্য সময়-সময় পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, ট্রেজারি বন্ড, ট্রেজারি বিল এবং সুকুক বা সুকুকের মতো অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজ হবে তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের প্রধান ক্ষেত্র। আর পেনশনের অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা যাবে দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’ মান পেয়েছে এমন কোনো তফসিলি ব্যাংকে। তবে এই মান মূল্যায়ন হতে হবে বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো ঋণমান সংস্থা বা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থার মাধ্যমে। একাধিক মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা একই প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন রেটিং (মান) দিলে নিম্নতম মানকে প্রকৃত মান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত বা নিয়ন্ত্রিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার কথাও বলা হয়েছে বিধিমালায়। এ ছাড়া সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। আবার একক কোনো খাতে পেনশনের অর্থের ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। তবে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হবেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (তহবিল ব্যবস্থাপনা)। অন্যদের মধ্যে থাকবেন কর্তৃপক্ষের সদস্য (বিনিয়োগ নীতি), অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তা, যাঁদের একজন হবেন ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের, অন্যজন হবেন প্রবিধি অনুবিভাগের।
কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক পদের নিচে নন এমন পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তা থাকবেন। আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান বা তাঁর মনোনীত অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন। পেনশন কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা থাকবেন, যিনি হবেন কমিটির সদস্যসচিব।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের উপস্থিতি হবে কমিটি বৈঠকের কোরাম। বছরে চারবার কমিটির বৈঠক হতে হবে। বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়ার জন্য কমিটি যেকোনো ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন, তবে তাঁর ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না।
বিধিমালার খসড়ায় বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে ভাবা হয়েছিল বাণিজ্যিক দোকান বা এমন কোনো স্থাবর সম্পত্তি, যা থেকে নিয়মিত আয় আসার সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা বাদ দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি নামে আলাদা দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবও ছিল খসড়ায়। এমনকি বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ নেবে বলেও প্রস্তাব ছিল। এ দুই পরিকল্পনা থেকেও সরে এসেছে সরকার।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যবসাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না: ড. ইউনূস
পোশাক প্রস্তুতকারকদের তাদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে, আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না। এসময় তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের লুণ্ঠনের ১৫ বছর পর জাতি পুনর্গঠনে সহায়তায় ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ভগ্ন অর্থনীতি পেয়েছে এবং তারা এখন দেশকে ঠিক করার এবং একে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার কঠিন কাজের সম্মুখীন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছি। তারা আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গেছে। কিন্তু, সবার সহযোগিতায় আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারব।
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সহসভাপতি ও পরিচালকসহ পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। জাতির অস্তিত্বই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
তিনি পোশাক প্রস্তুতকারকদের তাদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে, আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লব ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’। তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। তারা যখন আমাকে ফোন করে দেশের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার অনুরোধ করে তখন আমি বিদেশে ছিলাম।
এসময় বিজিএমইএ নেতারা বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তারা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান। তারা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা কামনা করেন। শিথিল ঋণ পরিশোধ এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং তাদের দাবিগুলো বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের অসীম প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরও প্রসার লাভ করুক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি এডিবির
বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (১৪ আগস্ট) এডিবির বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের টিম লিডার গোবিন্দ বরের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গোবিন্দ বর বলেন, এডিবি বাংলাদেশকে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নকে আমরা সমর্থন করি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চলমান প্রকল্পের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই উন্নয়ন করা হবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে এডিবি।
এডিবির মূল ফোকাস হচ্ছে পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট এবং গভর্নেন্স উন্নয়ন করা। যা সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সামষ্টিক-আর্থিক টেকসই করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো। যার মধ্যে আর্থিক একত্রীকরণ এবং দেশীয় সম্পদ সংগ্রহের ওপর ফোকাস রয়েছে। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হলো প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতের উন্নয়নের সম্প্রসারণ করা। বাংলাদেশে ব্যবসা করার খরচ কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করবো।
এডিবি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ক্রমবর্ধমানভাবে বন্যা, খরা এবং তীব্র গরমে ভুগছে। এডিবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি সম্পূর্ণ সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়তা করবে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে।
১৯৭৩ সাল থেকে এডিবি বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদারে পরিণত হয়েছে। এ সময়ে সরকারি খাতে ৭২৬টি ঋণ প্রকল্প, অনুদান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার অংশ হিসেবে মোট ৩১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে এডিবি জানায়, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি চালিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাবেক আইনমন্ত্রীসহ চার এমপির ব্যাংক হিসাব স্থগিত
সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক তিন সংসদ সদস্য ও তাদের স্ত্রী, সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা জামালপুর-৩ (মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ) আসনের মির্জা আজম, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) এর জান্নাত আরা হেনরী এবং ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) এর সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে।
তিনি জানান, জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রী, পরিবারের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর ২৬ (২) ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আনিসুল হক, মির্জা আজম, জান্নাত আরা হেনরী এবং ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তাদের স্ত্রী, সন্তানদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান আবদুর রহমান
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর কবির সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে আজই এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমেন সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভর্মেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট কোর্স, পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট: ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক সেক্টর অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড শীর্ষক মাস্টার্স পর্যায়ের শর্ট কোর্স সম্পন্ন করেন।
জানা যায়, বিসিএস ১৩-তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) ক্যাডারে যোগদান করেন এবং মাঠ পর্যায়ের কর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি সহকারী কমিশনার (কর), উপ- কমিশনার (কর), যুগ্ম কমিশনার (কর), কর পরিদর্শন পরিদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক, বিসিএস কর একাডেমির পরিচালক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সরকারের উপসচিব হিসেবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এবং উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থ বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বাজেট, বাস্তবায়ন, প্রশাসন এবং ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাজেট বাস্তবায়নে তার মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংস্কার আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া সিভিল সার্ভিসের গন্ডির বাহিরে তিনি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজার এবং পূর্ব তিমুরে বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট হিসেবে পেট্রোলিয়াম ট্যাক্স নিয়ে কাজ করেছেন।
আবদুর রহমান খান ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের কাউন্সিল সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, সচিব ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন এন্ড কো-অপারেটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এবং কনফেডারেশন অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পাবলিক সেক্টর অ্যাডভাইজরি গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের আজীবন সদস্য।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক এই সচিব দেশে-বিদেশে অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি আইএমএফ সিঙ্গাপুর রিজিওনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এসটিআই), অস্ট্রেলিয়ার দ্যা ল’ স্কুল অব ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ট্যাক্স কলেজ অব জাপান, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি ও অ্যাডমিনিস্টেশন, ট্যাক্স পলিসি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমেন সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) যোগ দেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান।
প্রসঙ্গত, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্ত ও শাস্তির দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিল এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।