জাতীয়
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমেরিকার মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর ওপর এমন হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় গণভবনে চীনে তিন দিনের সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা তাদের গণতন্ত্র নিয়ে অনেক গর্ববোধ করে। আমরা তো গুলি খাওয়ায় অভ্যস্ত, অনবরতই খাচ্ছি। সেখানে একজন বিরোধী নেতাকে এভাবে গুলি করা। অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তার একেবারে কানের উপর দিয়ে গুলি চলে গেছে। যদি একটু এদিক-ওদিক হতো তিনি আর বাঁচতেন না।
তিনি আরও বলেন, এটা আমেরিকা মতো জায়গায় হয় কী করে? আমেরিকার মতো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কেন? সেটা তো আমাদের একটা প্রশ্ন। বাংলাদেশে হলে সরকারকে দায়ী করত। এক গ্রুপ সরকারকে দায়ী করত, আরেক গ্রুপ বলত যে নিজেই মারছি। এখানে লাগাম ছাড়া কথা বলা হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। যারা আমাদের কথায় কথায় এ রকম দোষ দেয় তারাও এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত তিন দিন ধরে উত্তাল ঢাকা। এর মধ্যে সোমবার ও মঙ্গলবার (১৫ ও ১৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষ হয়েছে। বিশেষ করে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা নিয়ে আদালতের রায় পর্যন্ত সরকার অপেক্ষা করবে: আইনমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করব। সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটাব না। যেহেতু বিষয়টি আদালতের কাছে গেছে, সরকার স্বভাবতই অপেক্ষা করবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন ও জননেত্রীর কারাবন্দি দিবস’উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন উঠেছে যে, কোটাতো আদালতের বিষয় না, এটা সরকারের বিষয়। আদালতে যখন একটা জিনিস গেছে, তখন সরকারও আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করে। এরপর সরকার একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি। সর্বোচ্চ আদালত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বললেন। শিক্ষকদের প্রতি বলেছেন, যেন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ তৈরি করা হয়। এরপরও কি স্লোগান দেওয়ার যৌক্তিকতা থাকে?
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছেন, তারপর ৭-৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেছেন। যারা আন্দোলন করছেন তারা কেন একজন আইনজীবী দিলেন না। পত্রিকায় হাইকোর্টের রায়ের কথা শুনে হঠাৎ করে রাস্তায় নামলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেই হতো, এর আগেও হয়েছে।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
একাত্তরের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা চেয়ে রিট
রাজাকার ছাড়া ১৯৭১ সালের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের।
এতে বলা হয়, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা দেয়া হোক।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, সংবিধানে রয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং এর রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’
এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মর্মে ঘোষণা আবশ্যক এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছয় দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ছয় দিনের দাপ্তরিক সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।
চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসারকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. শাহ আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম ও স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করার জন্য সিইসি পাঁচদিনের সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এ সময় তিনি দেশটির নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে ইসি সচিব শফিউল আজিম, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও আইডিইএ-২ প্রকল্প তথা স্মার্টকার্ড প্রকল্পের উপ-পরিচালক লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মো. খালিদ হাসানও যাবেন।
আগামী ২০ জুলাই তারা দেশ ত্যাগ করবেন, ফিরবেন ২৫ জুলাই। এ সফরের সমস্ত ব্যয় বহন করা হবে আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী
জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে (টিটিসি) জাপান ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপান ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.খায়রুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই