জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে সুবিচার পেলেন ইউএনও মনজুর
![রাষ্ট্রপতির কাছে সুবিচার পেলেন ইউএনও মনজুর গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/monjur.jpg)
বৃক্ষরোপণ করে পুরস্কারের বদলে শাস্তি পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে সেই শাস্তি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রোববার (১৪ জুলাই) বিষয়টি জানাজানি হয়।
অব্যাহতি পাওয়া রুহুল আমীন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত হাটহাজারী উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি চা বোর্ডের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে হাটহাজারী উপজেলার ইউএনও থাকাকালে মোহাম্মদ রুহুল আমীন দম্পতি ব্যক্তিগত খরচে বিভিন্ন স্কুল ও সড়কের পাশে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেন। পরে ২০২১ সালে এ দম্পতিকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২০ এর জন্য মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাদ দিয়ে এ পদক দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা পরিষদকে। অথচ উপজেলা পরিষদ বৃক্ষরোপণ করেনি, এমনকি বৃক্ষরোপণ পদকের জন্য আবেদনও করেনি। বৃক্ষরোপণের সঙ্গে পরিষদের কোনো সম্পর্কই ছিল না।
২০২২ সালে ২৮ মে রুহুল আমীন পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পত্র দেন। ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর গত ৩ এপ্রিল রুহুল আমীনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে তিরস্কার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপর রুহুল আমীন তার ওপর আরোপিত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষীদের অনুলিপি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ২২ এপ্রিল এক চিঠিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষীদের অনুলিপি সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে জানায়। পরে রুহুল আমীন ওই সব তথ্য ছাড়াই নিজস্ব প্রমাণ দিয়ে তার ওপর আরোপিত দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। এরপর রাষ্ট্রপতি যাবতীয় নথি যাচাই-বাছাই শেষে রুহুল আমীনকে বিভাগীয় মামলার শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
দুপুরে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল
![দুপুরে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/kota-2.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আজ পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলা এবং গুলিবর্ষণে শহীদ ভাইদের জন্য বুধবার দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল পালন করুন। ঢাকায় অবস্থানরত সবাই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সময়মতো চলে আসবেন।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সোমবারও দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
![আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/PM-11.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র আশুরা বিশ্বের মুসলিম উম্মার কাছে অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহরম ষড়যন্ত্রকারী ও বর্বর ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে ইসলামের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) সপরিবারে মর্মান্তিকভাবে শাহাদত বরণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ইসলামের ইতিহাসে এই মর্মন্তুদ বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও হিজরি সালের মহরম মাসের ১০ তারিখ নানা কারণে ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। শোকাবহ অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে তিনি দেশের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মার প্রতি তার আন্তরিক শুভকামনা জানান এবং অশুভ শক্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলাম সবসময় সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল, আল্লাহ্ বলেছেন-হে মানবজাতি, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পারো, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্মানিত যে সর্বাধিক পরহেজগার। (সুরা ৪৯, হুজুরাত, আয়াত ১৩)।”
তিনি বলেন, আমিরে মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র ও শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছিল। চক্রান্তের অংশ হিসেবে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.) কে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছিল।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন ও ৭২ জন সঙ্গীসহ মহানবী (সা.) এর আরেক দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) পবিত্র আশুরার দিন শাহাদতবরণ করেছিলেন। এমন নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকা- ইতিহাসে বিরল। অসহায় নারী ও শিশুদের পানি পর্যন্ত পান করতে দেয়নি ইয়াজিদ বাহিনী। বিষাক্ত তীরের আঘাতে নিজের কোলে থাকা শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর আহতাবস্থায় অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)। কারবালার যুদ্ধে হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)’র আপসহীন অবস্থান ও ত্যাগের শিক্ষা কালে কালে মানবজাতিকে পৃথিবী থেকে জুলুম, অন্যায় ও অবিচার দূর করতে শক্তি ও সাহস যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্র আশুরার দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। এই দিনে তিনি নিজে রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের রোজা রাখার পরামর্শ দিতেন। মহান আল্লাহ এই দিনে সমস্ত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আদি মানব হজরত আদম (আ.) এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেছেন, এই দিনই তার তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং এ দিনে তিনি স্ত্রী হাওয়া (আ.) এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। হজরত নুহ (আ.) এর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র আশুরার দিনে অনেক নবী, রাসুল ও আল্লাহ’র প্রিয় বান্দারা তার নৈকট্য ও সাহায্য লাভ করে কঠিন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। সে হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি, এ দিনে বিশেষ নেক আমল মানব জাতির জন্য অনেক কল্যাণ বয়ে আনবে।
তিনি আরো বলেন, আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে কল্যাণকর কাজে অংশ নিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ ‘সোনার বাংলাদেশ’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিবেদিত হই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাবিতে গুলি ছোঁড়া যুবককে খুঁজবে পুলিশ: ডিএমপি
![ঢাবিতে গুলি ছোঁড়া যুবককে খুঁজবে পুলিশ: ডিএমপি গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/dmp1.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া যুবককে খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে জগন্নাথ হলের পাশে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একজনকে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ গুলি করতে দেখা গেছে। তাকে শনাক্ত করা গেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তাকে খুঁজে বের করবে। কেউ যাতে ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত না হয় সেজন্যই আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পরে কোনো আইন বিরোধী ঘটনা ঘটেনি।
যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন যেভাবে আমাদের সহযোগিতা চাইবে আমরা সেভাবেই সহযোগিতা করব। সারা ঢাকা শহরে জননিরাপত্তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যেন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ কাজ করছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদিক অ্যাগ্রোর ২ মালিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
![সাদিক অ্যাগ্রোর ২ মালিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sadek-DUDOK.jpg)
সাদিক অ্যাগ্রোর দুই মালিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামকে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উৎপাদন বিভাগের পরিচালক এ বি এম খালেদুজ্জামান, বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ খান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক এ বি এম সালাহ উদ্দিন এবং সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও তৌহিদুল আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা নিজেরা লাভবান হওয়ার ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে দেশীয় দুগ্ধ ও গো-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ গরু পালনের জন্য ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করেছিলেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা গরু শুল্ক বিভাগ আটক করেছিল। সরকারের অনুকূলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেসব গরুর মাংস গত রমজান মাসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সুলভ মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা অমান্য করা হয়। এসব গরু জবাই না করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই
![দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই গ্রামীণফোন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/nfjkvfj.jpg)
দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যাসেসমেন্ট টুল অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল।
কর্মশালায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে সেইফটি সেল। যার মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম পরিচালিত হবে। এই স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা প্রশাসনের অধীনে দুর্যোগ আইন, এসওডি এবং স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এসময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতের কর্ণধার হিসেবে এফবিসিসিআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সবাইকে যথাপোযুক্ত পরামর্শ ও মতামত দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ রোধ করা যাবে না, তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি রাখতে হবে। জরুরি মুহূর্তে বা দুর্যোগের সময় কে কি দায়িত্ব পালন করবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ এবং সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহআহ্বায়ক মো. নিয়াজ আলী চিশতি, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অন্যরা।
এমআই