অর্থনীতি
জাতীয় রপ্তানি পদক পেল যেসব প্রতিষ্ঠান
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখায় ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি পদক পেয়েছে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রপ্তানি পদক এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরস্কার পেয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠান-
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সর্বোচ্চ বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতের এই প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দেওয়া হয়েছে।
তৈরি পোশাকের ওভেন খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে উইন্ডি অ্যাপারেলস, রৌপ্য পদক পেয়েছে অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে মেসার্স চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস।
তৈরি পোশাকে নিটওয়্যার খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড।
সুতা খাত থেকে স্বর্ণ পদক পেয়েছে বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্য পদক পেয়েছে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড।
টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে হা-মীম ডেনিম লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।
হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
টেরিটাওয়েল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্য পদক পেয়েছে এসিএস টাওয়েল লিমিটেড।
হিমায়িত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পদক পেয়েছে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে এমইউসি ফুডস লিমিটেড।
কাঁচাপাট খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে মেসার্স তানফিয়া জুট ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।
পাটজাত দ্রব্য থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে জনতা জুট মিলস এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে আকিজ জুট মিলস। চামড়াজাত পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে এবিসি ফুটওয়্যার।
ফুটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার, রৌপ্য পদক পেয়েছে এডিসন ফুটওয়্যার এবং এফবি ফুটওয়্যার পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক।
কৃষিপণ্য থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইনডিগো করপোরেশন, রৌপ্যপদক পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, রৌপ্যপদক পেয়েছে প্রাণ অ্যাগ্রো এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড।
হস্তশিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর, রৌপ্যপদক পেয়েছে বিডি ক্রিয়েশন এবং ক্ল্যাসিকস হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক।
মেলামাইন খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে ডিউরেবল প্লাস্টিক, প্লাস্টিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে অলপ্লাস্ট, রৌপ্যপদক পেয়েছে আকিজ বায়াক্স ফিল্মস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরামিকের সামগ্রী খাত থেকে স্বর্ণ পদক পেয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস, রৌপ্য পদক পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে প্রতীক সিরামিকস।
হালকা প্রকৌশল খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস, রৌপ্যপদক পেয়েছে মেঘনা বাংলাদেশ এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম, রৌপ্যপদক পেয়েছে মেসার্স এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে তাসনিম কেব্লস।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল, রৌপ্যপদক পেয়েছে ইনসেপটা ফার্মা এবং র স্কয়ার ফার্মা পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক।
কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড এবং গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক পেয়েছে রৌপ্যপদক।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিনস, রৌপ্যপদক পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে শামা ডেনিমস।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্টার প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ, রৌপ্য পদক পেয়েছে পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ফারদিন অ্যাকসেসরিজ।
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে এমঅ্যান্ডইউ প্যাকেজিং, রৌপ্যপদক পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি, রৌপ্যপদক পেয়েছে রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল।
সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে মেসার্স এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পেয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড।
নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস, রৌপ্যপদক পেয়েছে বি-কন নিটওয়্যার ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই
দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যাসেসমেন্ট টুল অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল।
কর্মশালায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে সেইফটি সেল। যার মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম পরিচালিত হবে। এই স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা প্রশাসনের অধীনে দুর্যোগ আইন, এসওডি এবং স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এসময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতের কর্ণধার হিসেবে এফবিসিসিআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সবাইকে যথাপোযুক্ত পরামর্শ ও মতামত দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ রোধ করা যাবে না, তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি রাখতে হবে। জরুরি মুহূর্তে বা দুর্যোগের সময় কে কি দায়িত্ব পালন করবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ এবং সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহআহ্বায়ক মো. নিয়াজ আলী চিশতি, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অন্যরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী
জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে (টিটিসি) জাপান ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপান ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.খায়রুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম আরও বাড়লো
আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক স্মারক স্বর্ণমুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রা ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণে তৈরি ও প্রতিটির ওজন ১০ গ্রাম। স্মারক স্বর্ণমুদ্রাগুলোর (বাক্সসহ) প্রতিটির দাম ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন মুদ্রাগুলো বিক্রি করা হতো ১ লাখ টাকায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৮১ হাজার ২২৯ টাকায়।
এছাড়া স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত হচ্ছে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
তবে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ফাইন সিলভারের স্মারক মুদ্রার দাম।
এসব মুদ্রার মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন ১৯৯৮, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী ২০২১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১১, বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি, জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১। মুদ্রাগুলো বিক্রি হবে আগের দর ৬ হাজার টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জ্বালানি খাতের শীর্ষ কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কোম্পানি দুটির মধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পারতামিনা পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হলো। এ সমঝোতার আলোকে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তারা। এ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এজন্য যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করে ৫০ শতাংশ করে শেয়ারে মালিকানায় থাকবে পারতামিনা ও সিপিজিসিবিএল।’
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, মহেশখালীতে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে। পারতামিনা ৫০০ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সেখানে আরো বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরো জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানি করছে বাংলাদেশ, বছরে যা প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন টন। এছাড়া সেখান থেকে মিনারেল পণ্যও আমদানি হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে সৌরভিত্তিক বৃহৎ কোনো প্রকল্পে একক বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রবেশ করবে ইন্দোনেশিয়া। এর আগে পটুয়াখালীর পায়রায় ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) আধা মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিউয়েবল)’ নামে একটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ১১টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে নয়টি পিপিএ-আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মোট ২৬৯ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি এলওআই স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে তার মোট ১০ শতাংশ থাকবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত জামালপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, পায়রা, বাগেরহাটের রামপাল ও দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। তবে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নতুন ত্রুটির কারণে তা হয়নি। সিঙ্গাপুর থেকে ডুবুরি দল আসছে। টার্মিনালে ত্রুটি মেরামতের পর আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুই প্রতিষ্ঠান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৭টি প্রকল্প চলমান। সেখান থেকে ৩৭৪৯ দশমিক শূন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প থেকে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলা বক্তব্য দেন।
এমআই