অর্থনীতি
জাতীয় রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭ প্রতিষ্ঠান
![জাতীয় রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭ প্রতিষ্ঠান আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/national-export-foffee.jpg)
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখায় ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রপ্তানি পদক এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি অডিটোরিয়ামে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য থেকে রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ট্রফি বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামীকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক তুলে দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার পাচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠান-
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সর্বোচ্চ বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতের এই প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দেওয়া হচ্ছে।
তৈরি পোশাকের ওভেন খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে উইন্ডি অ্যাপারেলস, রৌপ্য পদক পাচ্ছে অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস।
তৈরি পোশাকে নিটওয়্যার খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড।
সুতা খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্য পদক পাচ্ছে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড।
টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে হা-মীম ডেনিম লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।
হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
টেরিটাওয়েল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্য পদক পাচ্ছে এসিএস টাওয়েল লিমিটেড।
হিমায়িত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে এমইউসি ফুডস লিমিটেড।
কাঁচাপাট খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেসার্স তানফিয়া জুট ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।
পাটজাত দ্রব্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে জনতা জুট মিলস এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে আকিজ জুট মিলস। চামড়াজাত পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পিকার্ড বাংলাদেশ এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে এবিসি ফুটওয়্যার।
ফুটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বে-ফুটওয়্যার, রৌপ্য পদক পাচ্ছে এডিসন ফুটওয়্যার এবং এফবি ফুটওয়্যার পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
কৃষিপণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইনডিগো করপোরেশন, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্রাণ অ্যাগ্রো এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড।
হস্তশিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে কারুপণ্য রংপুর, রৌপ্যপদক পাচ্ছে বিডি ক্রিয়েশন এবং ক্ল্যাসিকস হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
মেলামাইন খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ডিউরেবল প্লাস্টিক, প্লাস্টিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে অলপ্লাস্ট, রৌপ্যপদক পেয়েছে আকিজ বায়াক্স ফিল্মস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরামিকের সামগ্রী খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে শাইনপুকুর সিরামিকস, রৌপ্য পদক পাচ্ছে আর্টিসান সিরামিকস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে প্রতীক সিরামিকস।
হালকা প্রকৌশল খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেঘনা বাংলাদেশ এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মেরিন সেফটি সিস্টেম, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেসার্স এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে তাসনিম কেব্লস।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ইনসেপটা ফার্মা এবং র স্কয়ার ফার্মা পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড এবং গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক পাচ্ছে রৌপ্যপদক।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইউনিভার্সেল জিনস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্যাসিফিক জিনস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে শামা ডেনিমস।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে স্টার প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ, রৌপ্য পদক পাচ্ছে পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফারদিন অ্যাকসেসরিজ।
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এমঅ্যান্ডইউ প্যাকেজিং, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মনট্রিমস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি, রৌপ্যপদক পাচ্ছে রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল।
সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মেসার্স এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে মীর টেলিকম লিমিটেড।
নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে বি-কন নিটওয়্যার ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী
![গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/nasrul-hamid.jpg)
আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। তবে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নতুন ত্রুটির কারণে তা হয়নি। সিঙ্গাপুর থেকে ডুবুরি দল আসছে। টার্মিনালে ত্রুটি মেরামতের পর আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুই প্রতিষ্ঠান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৭টি প্রকল্প চলমান। সেখান থেকে ৩৭৪৯ দশমিক শূন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প থেকে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলা বক্তব্য দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত
![বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/BGMEA.jpg)
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজের বিষয়ে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ক্যাসকেলের (সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন) সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতাদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি এবং একাধিক অডিট সম্পাদন কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় এবং অর্থের অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অডিট প্রক্রিয়া জটিল এবং কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন কষ্টসাধ্য করে। এরকম প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও অডিটের জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজের ব্যাপারে তারা সম্মত হন।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি কচি বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ক্যাসকেলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করলেও শিল্পে আরো করণীয় আছে। আমরা সাপ্লাই চেইনের সবাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইনজুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরো বিকাশের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেয়ার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনমূলক সমাধান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন, ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে করে এ বিষয়গুলো প্রতিপালনে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে বাংলাদেশিদের
![ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে বাংলাদেশিদের আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/credit-card.jpg)
চলতি বছরের মে মাসে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ খরচ কমিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এ ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে খরচ কমেছে ৪১ কোটি টাকা আর বিদেশে কমেছে ৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চলতি বছরের মে মাসে ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ভেতর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। আর বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ভিসা কার্ডে। ‘মাস্টার কার্ড’-এর মাধ্যমে ৫৪৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এমেক্স কার্ডের মাধ্যমে ৩১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
সূত্র বলছে, দেশের ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেনের প্রায় শতভাগই হয়েছে মার্কিন ব্র্যান্ড ভিসা, মাস্টার কার্ড ও এমেক্সের মাধ্যমে। ডিনারস কার্ড, কিউক্যাশ, জেসিভি ও ইউনিয়নপে ব্র্যান্ডের কার্ডের মাধ্যমে তেমন কোনো লেনদেনই হয়নি।
দেশের অভ্যন্তরে, বাইরে ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। দেশের অভ্যন্তরে এ খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এছাড়া খুচরা কেনাকাটায় ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সেবার বিল পরিশোধে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, নগদ উত্তোলনে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ওষুধ ও ফার্মেসিতে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, পোশাক কেনাকাটায় ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, অর্থ স্থানান্তরে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ট্রান্সপোর্টেশনে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ব্যবসাসেবায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, পেশাগত সেবায় দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সরকারি সেবায় দশমিক ৪১ শতাংশ লেনদেন হয়।
দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাইরে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয়েছে ভারতে, ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ; যার পরিমাণ ৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮ দশমিক ৩৮, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ দশমিক ৯৬, যুক্তরাজ্যে ৭ দশমিক ৬৮, সিঙ্গাপুরে ৭ দশমিক শূন্য ৩১ এবং কানাডায় ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের
![ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/KKK.jpg)
আমদানি-রফতানি সহজীকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। সোমবার (১৫ জুলাই) এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে চলতি বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, বিএসডব্লিউ বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবেন। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এরইমধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিএসডব্লিউ প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরইমধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, বেসরকারি খাতের হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। যদিও এতদিন আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য অনেকটা অগোছালোভাবেই এগিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার। বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন হলে ব্যবসার ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
কর্মশালায় এফবিসিসিআইর পরিচালক, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় শপআপ
![নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় শপআপ আইসিবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Shop-Up1.jpg)
দেশের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান শপআপ আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি দেশের আট কোটি গ্রাহকের সঙ্গে তাদের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে শপআপের ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। শপআপের তিনটি ব্যবসায়িক ইউনিট রয়েছে। তাদের মোকামের মাধ্যমে তারা পণ্য উৎপাদকদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংযুক্ত করছে। রেডেক্স ইউনিটের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা দিতে তারা একটি আর্থিক সেবা চালুর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ২০১৯ সালে শপআপ প্রথমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০২১ সালে তারা সবচেয়ে বেশি তহবিল সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ২০২৩ সালে শপআপ পরিচালন মুনাফা করেছে এবং এ বছর শেষে তাদের মোকাম ইউনিট নিট মুনাফা করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে শপআপের প্রেসিডেন্ট মামুন রশীদ বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে বড় উৎপাদকদের কাছ থেকে পণ্য এনে ছোট দোকানে পৌঁছে দেয়া। যাতে সময়মতো ও ন্যায্যমূল্যে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছানো যায়। আমাদের যারা বিনিয়োগকারী রয়েছেন তারা চাইছেন আমরা যাতে ছোট দোকানদার যারা রয়েছেন তাদের অর্থায়ন করি যাতে করে তাদের পণ্য মজুদের সক্ষমতা আরো বাড়ানো যায়। গতকাল আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডেকেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে ৬ হাজার ৮০০ ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।’
এমআই