কর্পোরেট সংবাদ
সিএমএসএমই খাতের তহবিল সম্পর্কে এনআরবিসি ব্যাংকের সভা

কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ২৫ হাজার কোটি টাকার ‘প্রি-ফাইন্যান্স স্কিম’ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পোদ্যোক্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে গাইবান্ধার হোসিয়ারি ক্লাস্টারের উদ্যোক্তার মধ্যে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়। শুক্রবার (১২ জুলাই) গাইবান্ধার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘গুচ্ছ বিনিয়োগে সিএমএসএমই খাত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের ঋণের চেক তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. কবির আহম্মদ।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগামস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক রহিমা খাতুন, এনআরবিসি ব্যাংকের এসইভিপি তনুশ্রী মিত্র, এনআরবিসি ব্যাংকের মাইক্রো ক্রেডিট বিভাগের প্রধান মো, রমজান আলী ভূইয়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ১০ জন উদ্যোক্তার হাতে সর্বমোট ৬৭ লাখ টাকা ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। ঋণগ্রহীতারা হলেন মা হোসিয়ারি, নাজমা হোসিয়ারি, জবা হোসিয়ারি, হোজাইফা ফ্যাশন হাউজ, তৌফিক অ্যান্ড জুনায়েদ বস্ত্রবিতান অ্যান্ড গার্মেন্টস, লিঙ্কন হোসিয়ারি, মাহী হোসিয়ারি, মারুফ অ্যান্ড লুবনা বস্ত্রবিতান, নাজিস অ্যান্ড নিরব হোসিয়ারি ও সুমী হোসিয়ারি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. কবির আহম্মদ বলেন, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির ধারা তৈরি হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকেও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাদের জন্য ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ গ্রহণ অনেক সহজ করা হয়েছে। উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে বিভিন্ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিল থেকে নতুন উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদেরকে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। আজ এনআরবিসি ব্যাংক থেকে প্রকাশ্য যারা এইঋণ পেলেন সেটিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টার একটি ফসল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ১৭৭টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষন ও অর্থায়ন সহযোগিতা করে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানীপণ্যের বহুমুখীকরণে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। হোসিয়ারির মত অন্যান্য ক্লাস্টারগুলোর বিদেশে বড় বাজার রয়েছে। সেই বাজারে বাংলাদেশের পণ্যগুলো সঠিকভাবে রপ্তানি করার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিল গঠন করে করাসহ অন্যান সহযোগিতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্লাস্টারভিত্তিক অর্থায়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচি এবং এসএমই ঋণ উদ্যোক্তাদের দোড় গোড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার উদ্যোক্তাদের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রিফাইন্যান্স তহবিল থেকে প্রায় ১০ হাজার উদ্যোক্তাদের মাঝে ৬৮৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত সকল তহবিলের সফল বাস্তবায়নকারী এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রামীণ উন্নয়নে এনআরবিসি ব্যাংকে এই কর্মকান্ড আরও বিস্তৃত হবে এবং অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে মতবিনিময় সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খানের সঙ্গে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, জোন ও শাখাপ্রধানদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান, ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ এবং ২৬৫টি উপশাখার ইনচার্জগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ওমর ফারুক খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক আমাদের প্রাণের ব্যাংক। আমাদের মূল শক্তি ঐক্য এবং শৃংখলা। ইসলামী ব্যাংকিং শুধু পেশা নয়, একটি ইবাদত। তিনি বলেন, ব্যাংককে এগিয়ে নিতে সকল কর্মকতা-কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে ইসলামী ব্যাংকের সেবা সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর এই সময়ে সকল গ্লানি ভুলে নিবেদিত হয়ে সবাইকে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ব্যাংকের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৫ মার্চ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি মাওলানা মুহিবুল্লাহিল বাকী। সভায় কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ (সিএসএএ), সদস্য মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ (সিএসএএ), ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আতাউস সামাদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি করিম ও এ. এফ. সাব্বির আহমদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং শরিয়াহ সেক্রেটারিয়েটের মুরাকিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমে শরিয়াহ প্রতিপালন এবং শরিয়াহভিত্তিক নিয়মাবলী যথাযথভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সংকট কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এজেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ই-মানি গ্রহণ ও ট্রান্সফারের সুবিধা দিচ্ছে বিকাশ

দিন হোক বা রাত, উৎসবের বন্ধ হোক কিংবা ব্যস্ততার মধ্যেও বিকাশ এজেন্টরা এখন তাদের এজেন্ট অ্যাপ থেকেই যেকোনো সময়ে ই-মানি গ্রহণ এবং ট্রান্সফার করতে পারছেন। অ্যাপের ‘বিটুবি সেন্ড (ব্যাংক)’ এবং ‘বিটুবি রিসিভ (ব্যাংক)’ সেবা ব্যবহার করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ লাখ (দুই লাখ) টাকা এবং মাসে ৫০ লাখ (পঞ্চাশ লাখ) টাকা পর্যন্ত ই-মানি গ্রহণ এবং ট্রান্সফার করতে পারছেন এজেন্টরা।
ফলে, একদিকে সক্ষমতা ও গতিশীলতা বেড়ে তাদের ব্যবসার প্রসার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো, অন্যদিকে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে আরও নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত হলো বিকাশ গ্রাহকদের জন্য।
এজেন্টদের ব্যবসায়িক সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন সেবা সংযোজন করে যাচ্ছে বিকাশ। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এই সেবা ‘অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট’ বা ‘২৪/৭ ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট’ চালু করলো বিকাশ। এখন, ই-মানি না থাকলেও গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দিতে পারবেন এজেন্টরা। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা নিজেদের বিকাশ এজেন্ট অ্যাপের লিংকড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তৎক্ষণাৎ ই-মানি গ্রহণ করতে পারছেন। পাশাপাশি, এজেন্ট চাইলে অতিরিক্ত ই-মানি উক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারও করে নিতে পারছেন। তাই এখন ছুটির দিন কিংবা উৎসবের সময় অথবা ব্যাংকিং সময়সীমার বাইরেও গ্রাহককে যেকোনো সময়ে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা দিতে পারছেন এজেন্টরা।
এই সেবাটি পেতে হলে এজেন্টদের ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক অথবা যমুনা ব্যাংকের যেকোনো একটিতে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। বিকাশ এজেন্ট ওয়ালেটে উল্লেখিত ১১টি ব্যাংকের মধ্যে পছন্দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি লিংক করতে হবে।
উল্লেখ্য, এজেন্ট ওয়ালেট এবং লিংকড ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর একই হতে হবে। সেবাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এই https://www.bkash.com/page/247CM2 লিংকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল ও প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
এছাড়াও, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
টেলিস্যাটের সঙ্গে এডিএন টেলিকমের চুক্তি

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও উদ্ভাবনী স্যাটেলাইট অপারেটর টেলিস্যাট এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেড যৌথভাবে এক অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে টেলিস্যাট লাইটস্পিড লো আর্থ অরবিট (এলইও) সংযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
৫৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্যাটেলাইট অপারেশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে, টেলিস্যাট তাদের আধুনিক এলইও নেটওয়ার্ক ডিজাইন করেছে যাতে টেলিকম, এন্টারপ্রাইজ এবং সরকারি গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও মিশন-গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ নিশ্চিত করা যায়। সম্পূর্ণ অর্থায়িত টেলিস্যাট লাইটস্পিড কনস্টেলেশনের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে, এবং প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরু হবে আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, টেলিস্যাট টেলিস্যাট লাইটস্পিড পরিষেবা এবং স্মার্ট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (ভিএনও) সক্ষমতা প্রদান করবে, যার মাধ্যমে এডিএন টেলিকম তাদের এন্টারপ্রাইজ, মেরিটাইম ও সরকারি গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী, কাস্টমাইজড সংযোগ সমাধান পরিচালনা ও প্রদান করতে পারবে। এডিএন টেলিকম প্রাথমিক ফিল্ড ট্রায়াল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এবং ২০২৭ সালের শেষদিকে পূর্ণ পরিসরে পরিষেবা চালু করবে, যা শিল্পে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুত তথ্য হার (কমিটেড ইনফরমেশন রেটস) ও গ্যারান্টিযুক্ত এসএলএ প্রদান করবে।
টেলিস্যাটের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার গ্লেন ক্যাটজ বলেন, এডিএন টেলিকমের মাধ্যমে মাল্টি-জিবিপিএস সংযোগ এবং অনন্য সেবা সুবিধা প্রদানে আমরা গর্বিত, যা তাদের কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। আমাদের এমইএফ 3.0 স্ট্যান্ডার্ড-ভিত্তিক এলইও পরিষেবা এডিএনের স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্কের সাথে নিরবিচারে একীভূত হয়ে তাদের সেবার পরিসর দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বৃদ্ধি করবে।
এডিএন টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ বলেন, টেলিস্যাট লাইটস্পিড-এর এন্টারপ্রাইজ-গ্রেড এলইও নেটওয়ার্ক আমাদের শীর্ষস্থানীয় সেবায় যুক্ত করা আমাদের গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট প্রযুক্তির বিস্তৃত পর্যালোচনার পর আমরা বিশ্বাস করি টেলিস্যাট লাইটস্পিড সবচেয়ে নমনীয়, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য স্থাপত্য প্রদান করবে যা আমাদের ভবিষ্যতের সেবা শক্তিশালী করবে।
টেলিস্যাট ও এডিএন টেলিকম একসাথে কাজ করবে, যাতে বাংলাদেশে টেলিস্যাট লাইটস্পিড পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানীয় নিয়ন্ত্রক অনুমোদন নিশ্চিত করা যায়।
কাফি