জাতীয়
সংযোগ ও উড়াল সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ

মিঠামইন পর্যন্ত ও কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার সংযোগ রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও মোছা. নাছিমা জামান ববি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বিআরটিসির চলমান রুটসহ গাড়ির সংখ্যা, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী, বিদ্যমান জনবল এবং প্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও সম্ভাবনা, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচাখালি হতে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন উড়াল সড়কের বর্তমান অগ্রগতি এবং কিশোরগঞ্জ জেলার সব রাস্তার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচাখালি থেকে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন উড়াল সড়ক ও কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার সংযোগ রাস্তাগুলো দ্রুততার সঙ্গে সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে হাওরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ফেরি ব্যবস্থাটি সাশ্রয়ী করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বিআরটিসির চালক নিয়োগের সময় মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তকরণ, লাইসেন্স ব্যবস্থার মনিটরিং বৃদ্ধি এবং গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক রাখার জন্য বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, সেতু বিভাগেরর দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী, বিআরটিএ ও বিআরটিসি এর চেয়ারম্যানরা, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কমিটি সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন জাহেদা পারভীন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আশিক চৌধুরীকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় ঢাকায় ৪ দিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা, ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পাওয়া গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংহতি জানাচ্ছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচিতে।
এদিন বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আছে পরিস্থিতি।
বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। এর মধ্যে একটি মিছিলে অংশ নেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারটেকের এক কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বেলা ১১ টার পর থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও’, ‘সারা বিশ্বের মুসলমান, লড়াই করো-লড়াই করো’ ‘ইসরায়েলের ঠিকানা, এই দুনিয়ায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও।
কর্মসূচি পালনকালে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইস্ট টু ওয়েস্ট, নো ফ্লো টু জায়নিস্ট’, ‘মেঘনা টু জেরুজালেম, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘শেম শেম জায়নিস্ট, মেক ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরায়েল নিপাত যাক’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, আল আকসা জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, গাজায় নিরীহ শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে তা শুধু একটি রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি একটি চরম মানবিক ও নৈতিক সংকট। এমনকি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, মানবিক করিডোরে হামলা এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো ধ্বংসের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সভ্যতার চরম অবক্ষয়। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অমানবিক সহিংসতা, নির্বিচারে হত্যা, বোমাবর্ষণ, রাসায়নিক হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মোহাম্মদপুর এলাকার শিক্ষার্থীরাও। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে আসাদগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাড্ডায় মিছিল বের করেছেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ সমর্থনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিদ্যালয় (রাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাপ্রবি), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ক্যাম্পাসেও।
শুধু রাজধানী ও বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই আজ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন হাজারো জনতা।
এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঝালকাঠির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
লক্ষ্মীপুরেও হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গাজাবাসীর জন্য আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাবে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টার টেকের কর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা?
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অন্যদিকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় এসেছেন।
তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়।
১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এ সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিন সচিব পদে রদবদল

তিন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে রদবদল করেছে সরকার। রোববার (০৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে জনপ্রশাসন সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিব করে একই মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে (বিআরআই) বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। চীনের গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। শনিবার (৫ এপ্রিল) ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে দু-দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্ভব হবে।
এ সময় চীনের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং শিল্প কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।