খেলাধুলা
সেমিফাইনালের গোলে রেকর্ড বুকে লিওনেল মেসি
![সেমিফাইনালের গোলে রেকর্ড বুকে লিওনেল মেসি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Lionel-Messi1.jpg)
ফুটবলের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা নেই কোনোরকম। তবুও লিওনেল মেসি ছুটছেন। চলতি কোপা আমেরিকায় একের পর এক সুযোগ পেয়েও মিস করেছেন এই ক্ষুদে জাদুকর। তাতে লিওনেল মেসির শেষও দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। বয়সের ভারে মাঠে নিজের সবটা দিতে পারেননি অনেকটা দিন ধরেই। মাংসপেশির ইনজুরিটাও বেশ ভুগিয়েছে বিগত কয়েক মাস।
এরপরেও সেমিফাইনালের আগে কোচ লিওনেল স্কালোনি জানালেন, শতভাগ ফিট থাকুন বা নাইই থাকুন, সেমিফাইনালে মেসি থাকবেন। তিনি ছিলেন। ম্যাচের ৫১ মিনিটে পেয়ে গেলেন এবারের আসরে নিজের প্রথম গোল। আর তাতেই আরও একবার রেকর্ডবুকে লেখালেন নিজের নাম। ফুটবলের ইতিহাসে জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। ইরানের কিংবদন্তি আলী দাঈ-এর ১০৯ গোলের টালিতে ভাগ বসালেন এই আর্জেন্টাইন।
জাতীয় দলে ১৮৬তম ম্যাচে এসে ১০৯ গোল করলেন মেসি। তার সামনে এখন আছেন কেবল ১৩০ গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর এক গোল করলেই আলী দাঈকে ফেলে এককভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন লা পুলগা।
কানাডার বিপক্ষে এই গোলের মধ্য দিয়ে ৩৮টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিপক্ষে গোল করেছেন মেসি। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় গোল পেয়েছেন ২১ টি ভিন্ন দেশের বিপক্ষে। আর ২০০৭ সাল থেকে এটি তার ৬ষ্ঠ কোপা আমেরিকায় গোল। কেবল ঘরের মাঠে ২০১১ সালে গোল পাননি এই আর্জেন্টাইন। কোপা আমেরিকায় তার গোল এখন পর্যন্ত ১৪। আছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তার ওপরে আছেন স্বদেশী নরবার্তো মেন্ডেজ এবং ব্রাজিলের জিজিনহো।
কানাডার বিপক্ষে ম্যাচেও গোল পেয়েছেন অনেকটা ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে। জটলার মাঝে বল ক্লিয়ারে ব্যর্থ হন কানাডার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। ডিবক্সের মাথায় বল পেয়ে যান এনজো ফার্নান্দেজ। তার জোরালো শটে পা ঠেকিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেছিলেন এলএমটেন। তাতেই পেয়ে যান আসরের প্রথম গোল। কানাডার বিপক্ষেও ২ গোলের লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
খেলাধুলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর রক্তাক্ত দেখতে চাননা হৃদয়
![ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর রক্তাক্ত দেখতে চাননা হৃদয় ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Tawhid-Hridoy-Comment1.jpg)
জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা আন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন এই ক্রিকেটার। পেশাদার ক্রিকেটার হলেও প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকটময় মুহূর্তে অন্য সবার মতো তিনিও উদ্বিগ্ন। লঙ্কান ক্রিকেট লিগে খেলতে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও এই ব্যাটার নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে ফুঁসছে দেশ। একদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। হামলাকারীদের শাস্তিসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এবার কথা বললেন তারকা ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি…। আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।
গতকাল (রোববার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছবি-ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ঝড় তোলে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন তারকারাও। এই হামলার নিন্দা জানান তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চাকরি নিলেন হেমিং
![বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চাকরি নিলেন হেমিং ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Hemming.jpg)
গত বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিউরেটরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টনি হেমিং। বিসিবির চাকরি ছাড়ার সপ্তাহ পেরোনোর আগেই নতুন চাকরিতে যোগ দিলেন এই কিউরেটর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, হেমিংকে প্রধান কিউরেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
হেমিংয়ের সঙ্গে পিসিবির দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। কদিন পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এই সিরিজের উইকেট তৈরি দিয়েই নিজের নতুন চাকরিতে কাজ শুরু করবেন হেমিং।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে প্রধান কিউরেটর হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) যোগ দিয়েছিলেন টনি হেমিং। তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি ছিল বিসিবির। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এই কিউরেটর।
গত ১০ জুলাই এক বিবৃতিতে হেমিংয়ের বিদায়ের খবর নিশ্চিত করে বিসিবি। বিদায় বেলায় তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বিসিবির প্রধন নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘টনি হেমিং বিসিবির অমূল্য এক সম্পদ ছিলেন। তার বিস্তৃত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। তার সুক্ষ্ম দৃষ্টিভজ্ঞি ও নিবেদন বাংলাদেশের মাঠের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে কাজ করার আগে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি এবং দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হেমিং। একই সঙ্গে ওমান ক্রিকেট একাডেমির আইসিসি পিচ কনসাল্যান্ট ছিলেন তিনি।
তাছাড়া পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার, আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ও শিক্ষাবিদ এবং সৌদি আরবের রিয়াদে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজ্ঞ এই টার্ফ ম্যানেজার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
নারী বিপিএল নিয়ে যা জানাল বিসিবি
![নারী বিপিএল নিয়ে যা জানাল বিসিবি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BPL-2025.jpg)
এশিয়া কাপ খেলতে আগামীকাল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দল। আজ সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেছেন ক্রিকেটাররা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন কোচ-অধিনায়ক। এছাড়া কথা বলেছেন নারী বিভাগের হেড অব অপরারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে আজ সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হয় নারী বিপিএল নিয়ে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের ক্রিকেট উপকৃত হবে। এটা (নারী বিপিএল) সময়ের দাবি। আমি এখনো বলতে পারছি না এটা হবে কি না। তবে আলোচনা আছে এটা বলতে পারি।’
‘যদি এ বছর না হয় পরের বছর হবে। শুধু মেয়েদের সুবিধার জন্য নয়, মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য এটা হওয়া দরকার। সব জায়গায় হচ্ছে, আমাদের এখানেও হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’-যোগ করেন বাশার।
এদিকে এশিয়া কাপে অধিনায়ক জ্যোতির চোখ সেমি-ফাইনালে, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী, জানালেন অধিনায়ক
![এশিয়া কাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী, জানালেন অধিনায়ক ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Joti.jpg)
শ্রীলঙ্কার মাটিতে চারদিন পরই নারী এশিয়া কাপের আসর শুরু হতে যাচ্ছে। সেখানে খেলতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। তার আগে আজ (সোমবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্য জানালেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি নারী ক্রিকেটারদের কাছে এশিয়া কাপ নিয়ে আবেগ ও টুর্নামেন্টটি দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারার কথা জানিয়েছেন।
জ্যোতি বলেন, এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্যরকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় রেভ্যুলেশন (বিপ্লব) হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে।
ঘরের মাঠে শেষ দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের মানসিকতাও দেখাতে পারেনি জ্যোতির দল। সে অবস্থা কাটিয়ে ওঠার কথাই জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গেছে, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, আমরা এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তাদের আমরা দলে এনেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেও দেখলাম সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।
বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল বলে উল্লেখ করেন জ্যোতি, সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। তাদের ফেরা নিয়ে জ্যোতি বলেন, অভিজ্ঞতা সবসময় কাজে লাগে। তারা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে খেলেছেন। রুমানা আপু অনেকদিন পর ফিরলেন। জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এই দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখেছি তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। এটা দলের জন্য সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগামী ১৯ জুলাই পর্দা উঠছে নারী এশিয়া কাপের এবারের আসরের। নারী ক্রিকেটে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই শেষ হবে ২৮ জুলাই। এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। আসরের দ্বিতীয় দিনেই (২০ জুলাই) জ্যোতির দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
কোপার শিরোপা ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা
![কোপার শিরোপা ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/argentina-3.jpg)
২০২১ সালের আসরে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো লিওনেল মেসিরা। এতে কোপায় সর্বকালের সবচেয়ে সফল দলের তকমা পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা। এটি আর্জেন্টিনার ১৬তম শিরোপা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।
কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আজ ফাইনালে খেলার মূল সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। অতিরিক্ত সময়েরও ২২ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ততক্ষণে সবাই টাইব্রেকারের প্রহর গুনছিল। অবশেষে ১১২ মিনিটে গোলের মুখ দেখলো চলতি কোপার ফাইনাল। আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার।
আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলার মূল সময় শেষেও পরিসংখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে কলম্বিয়া।
এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময় মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। অবশেষে সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় ৭টা ২৫ মিনিটে।
শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁপাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।
২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁপায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।
৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এর ৩ মিনিট পর ফের আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।
৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।
৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।
৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরি হয়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।
মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।
৭৫ মিনিটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়িয়েই দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষমেশ খেলার মূল সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৩ মিনিটে আরও একটি ব্যর্থ আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। থেমে থাকেনি কলম্বিয়াও। তারাও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত নিজেদের অপরাজিত থাকাকে আর দীর্ঘ করতে পারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আর্জেন্টিনার কাছে এসেই যাত্রা থামলো তাদের। দারুণ খেলেও ২৩ বছরের আক্ষেপ ঘুচাতে পারলো না কলম্বিয়া। ২০০১ সালে সর্বশেষ কোপা শিরোপা জিতেছিল তারা।