জাতীয়
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ক সম্মেলন

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে এবং চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস, চায়না কাউন্সিল ফর দি প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) চায়না চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের (সিসিওআইস) সহযোগিতায় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) চীনের বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেল হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এবং বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পারিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চীনের বেইজিংয়ের উক্ত সামিট আয়োজন করা হয়, যার প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয়, সহজতর ও লাভজনক দেশ হিসেবে চীনের ব্যবসায়ীদের নিকট তুলে ধরা।
শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (এসজেডএসই) ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (এসএসই) কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে বিনিয়োগ করে ডিএসই’র ২৫% শেয়ার ধারণ করেছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ইতোমধ্যে ডিএসইয়ের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড কাজ করছে, যার মধ্যে ডিএসই’র ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্ম অন্যতম। এই ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে কোনরকম তালিকাভুক্তি ছাড়াই স্টার্টআপ ও এসএমই কোম্পানি দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিকট শেয়ার বিক্রয় করার প্রস্তাব করে মূলধন উত্তোলন করতে পারে। এই শেয়ার বিক্রয় প্রস্তাব ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে চীনের স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে চীনসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীর কাছে পৌছাতে পারে।
চীনের বেইজিংয়ে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সামিটটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং পর্যটনের মতো বিষয়ে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি ও কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, রিয়েল স্টেট, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, গ্রিন টেকনোলজি, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাতে ব্যবসায় সম্প্রসারণ তথা বিনিয়োগের আহ্বান করেন এবং চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে গড়ে তোলা হাইটেক পার্ক ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। এসময় বাংলাদেশের সস্তা ও দক্ষ জনশক্তি এবং আইটি ফ্রিল্যান্সারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সহজ ও সুন্দর করতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য লোর একটিতে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ডেরিভেটিভস মার্কেট ও বলিষ্ঠ বন্ড মার্কেট উন্নয়নের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
উক্ত সামিটে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেল (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। এতে আরো বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং এবং চাইনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) চেয়াম্যান ওয়াং টংজহু।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম উক্ত অনুষ্ঠানে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচক যেমন- উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, বৃহৎ দেশীয় বাজার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, দক্ষ জনবল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রভৃতি উল্লেখ পূর্বক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রসংশা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের বলে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসাথে তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের দৃঢ় ও সম্ভাবনাময় অবস্থানের চিত্র তুলে ধরে পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস করার জন্য ক্রমাগত উন্নয়নের নিমিত্ত বিএসইসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি অন্যান্যের মধ্যে বলেন, বাংলাদেশে চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। চীনা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশই সঠিক জায়গা।
উক্ত সামিটে গেস্ট অফ হোনোর হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীন সরকারের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স এইচ.ই. এমএর. লি ফেই। একইসাথে সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান।
উক্ত অনুষ্ঠানে ‘প্যানেল ডিসকাশন বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না বিজনেস লিডার্স’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বিএএসআইএস)’ প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, সংসদ সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই)’ প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, টাইগার নিউ এনার্জির সিইও এমএস. নিকলে মাও, ‘বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা এবং সিবিসি ফাইন্যান্সের এমআর. লেও উক্ত প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনায় আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সামিট অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মোট ১৮টি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয় যার মধ্যে নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজির মধ্যকার, চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন লিমিটেডে ও সিএইচটিসি (হেংইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন ও নিংবো সান ইস্ট সোলার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি ও শিঝুয়াং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (সিআইএসমসি এনরিক) মধ্যকার এবং দেশবন্ধু গ্রুপ, সেমটেক্স ও চায়না কেমিকাল সিএনসিইসির মধ্যকার সমঝোতা স্মারক অন্যতম।
এছাড়াও সামিটে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বিষয়ক ৬টি ব্রেক আউট সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যথা- ১) আপগ্রেডিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার: পেভিং ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কানেক্টিভিটি, ২) টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ: স্মার্ট টেকনোলজি & কমিউনিকেশন, ৩) একসেলেরাটিং দ্যা এনার্জি ট্রান্সিশন, ৪) বুস্টিং ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, ৫) ক্রিয়েটিং অপরচুনিটিজ ইন এগ্রিকালচার এন্ড আগ্রো-প্রসেসিং, ৬) অ্যাডভান্সিং বেঞ্চমার্ক ইন টেক্সটইল অ্যান্ড লেদার।
প্রায় সাত’শর বেশি অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে চীনে এই সফল সামিটটি আয়োজনের ফলশ্রুতিতে চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বাংলাদেশের বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ হবে বলে উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে গেলো ২৪৯ প্রাণ

এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ২২ জন করে নিহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪৯ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ সময় আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।
শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭১ জন ভর্তি হয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, আহতদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারাদেশে আহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে। ৫৯ শিশু ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নারী নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, যা মোট নিহতের ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এটি মোট নিহতের ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আরও জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫ দশমিক ৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩ দশমিক ৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭ দশমিক ২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১ দশমিক ৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১ দশমিক ২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৬৮টি (২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১৩টি (৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪১টি (১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ২৪টি (৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি (৪ দশমিক ২৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়।
বিবৃতিত বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর ফলে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি বরং ক্রমবর্ধমান তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বাধিক সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করতে দাবি করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করছে যে তারা নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালন করুক।
ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি এবং সংলাপের পথে নিজেদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন জাহেদা পারভীন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আশিক চৌধুরীকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় ঢাকায় ৪ দিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা, ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পাওয়া গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংহতি জানাচ্ছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচিতে।
এদিন বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আছে পরিস্থিতি।
বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। এর মধ্যে একটি মিছিলে অংশ নেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারটেকের এক কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বেলা ১১ টার পর থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও’, ‘সারা বিশ্বের মুসলমান, লড়াই করো-লড়াই করো’ ‘ইসরায়েলের ঠিকানা, এই দুনিয়ায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও।
কর্মসূচি পালনকালে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইস্ট টু ওয়েস্ট, নো ফ্লো টু জায়নিস্ট’, ‘মেঘনা টু জেরুজালেম, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘শেম শেম জায়নিস্ট, মেক ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরায়েল নিপাত যাক’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, আল আকসা জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, গাজায় নিরীহ শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে তা শুধু একটি রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি একটি চরম মানবিক ও নৈতিক সংকট। এমনকি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, মানবিক করিডোরে হামলা এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো ধ্বংসের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সভ্যতার চরম অবক্ষয়। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অমানবিক সহিংসতা, নির্বিচারে হত্যা, বোমাবর্ষণ, রাসায়নিক হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মোহাম্মদপুর এলাকার শিক্ষার্থীরাও। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে আসাদগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাড্ডায় মিছিল বের করেছেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ সমর্থনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিদ্যালয় (রাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাপ্রবি), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ক্যাম্পাসেও।
শুধু রাজধানী ও বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই আজ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন হাজারো জনতা।
এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঝালকাঠির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
লক্ষ্মীপুরেও হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গাজাবাসীর জন্য আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাবে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টার টেকের কর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা?
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অন্যদিকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় এসেছেন।
তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।