জাতীয়
দেশের ৬ জেলায় বিটাকের নতুন কেন্দ্র
![দেশের ৬ জেলায় বিটাকের নতুন কেন্দ্র ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ministry-of-silpo.jpg)
দেশে শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন ৬টি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান। যেসব জেলায় বিটাকের কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর ও যশোর।
এছাড়া চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী বিটাকের একটি আধুনিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে নারীদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণ পূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন (ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১০তলা বিশিষ্ট বয়েজ হোস্টেল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। শিল্পখাতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী শিল্পের বিভিন্ন ট্রেডে এটি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তোলাসহ সারাদেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে এবং বিদেশ থেকেও প্রচুর বিনিয়োগ এদেশে আসছে। এসব প্রেক্ষাপটে বিটাকের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পে আধুনিক সরঞ্জামাদি সংযোজনের যে চাহিদা রয়েছে, সেটি পূরণে বিটাক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কেননা, প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে অর্থ ও সময় উভয়ের অপচয় হয়। মন্ত্রী এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিটাকের বয়েজ হোস্টেল নির্মাণ শেষ করার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
বিটাকের মহাপরিচালক পরিমল সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য দেন বিটাকের পরিচালক ও (ফেজ-২) প্রকল্পের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রশিক্ষণ জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া প্রশিক্ষণ নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৈতিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিক উন্নয়ন ঘটায়। আর এক্ষেত্রে আদর্শ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে বিটাক।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটাককে প্রতিষ্ঠা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) আইন, ২০১৯ পাস করা হয়েছে। ফলে নিয়োগ বিধিমালা ও পদোন্নতি জটিলতাসহ নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে। বিটাকের পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। এসবের ফলে বিটাকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কর্মস্পৃহা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
![ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/train-1-2.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে রেলপথ অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে প্রায় সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান।
ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে দুটি ট্রেন মহাখালীর আশপাশে আটকা পড়েছে। ট্রেন দুটি না ছাড়লে এ রেলপেথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না।
প্রসঙ্গত. ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-পদ্মা সেতু রুট বাদে রাজধানীর সঙ্গে যাতায়াতে দেশের সব ট্রেন মহাখালীতে অবরুদ্ধ রেলপথটি ব্যবহার করে। অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে কার্যত বন্ধ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৬২ পুলিশ সদস্যকে ৬৯ লাখ টাকা অনুদান দিলো ডিএমপি
![১৬২ পুলিশ সদস্যকে ৬৯ লাখ টাকা অনুদান দিলো ডিএমপি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/DMP-help.jpg)
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্তব্যরত অবস্থায় আহত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের চিকিৎসার জন্য ডিএমপির কল্যাণ তহবিল থেকে ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের এই অর্থ তুলে দেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ও অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণসহ আর্থিক অনুদান গ্রহণকারী পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ জুলাই ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা পরিষদের ৭৪তম সভায় ১৬২ জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
![বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/prime-minister-4.jpg)
বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।
তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। আমি জানি হয়ত অনেকে আমাদের দলের সমর্থনে নাই। অন্য জায়গা চলে গেছে বা অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে। যে যেখানে যাক সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। আমার বিবেচ্য হলো তারা তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় এনে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে বলে আমি মনে করি।
শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় তারা অবহেলিত ছিল। আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা গর্ব করে যেন বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে। তারপরও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সবাই সম্মানিত। সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ দেবে, এটাই আমরা চাই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া
![সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/indronesia-1.jpg)
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জ্বালানি খাতের শীর্ষ কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কোম্পানি দুটির মধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পারতামিনা পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হলো। এ সমঝোতার আলোকে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তারা। এ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এজন্য যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করে ৫০ শতাংশ করে শেয়ারে মালিকানায় থাকবে পারতামিনা ও সিপিজিসিবিএল।’
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, মহেশখালীতে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে। পারতামিনা ৫০০ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সেখানে আরো বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরো জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানি করছে বাংলাদেশ, বছরে যা প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন টন। এছাড়া সেখান থেকে মিনারেল পণ্যও আমদানি হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে সৌরভিত্তিক বৃহৎ কোনো প্রকল্পে একক বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রবেশ করবে ইন্দোনেশিয়া। এর আগে পটুয়াখালীর পায়রায় ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) আধা মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিউয়েবল)’ নামে একটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ১১টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে নয়টি পিপিএ-আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মোট ২৬৯ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি এলওআই স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে তার মোট ১০ শতাংশ থাকবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত জামালপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, পায়রা, বাগেরহাটের রামপাল ও দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন
![বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/kota-4.jpg)
কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েক দিন যাবত আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও ছাত্রলীগ হামলা চালালে সোমবার তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়ে আসলেও সোমবার বিশ্ব গণমাধ্যম জোর দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরপরই ‘সরকারি চাকরিতে কোটার প্রতিবাদে আহত অন্তত ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগপন্থী ও সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েক’শ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষার্থী ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লিপ্ত হয়েছে। তারা ঢিল ছোড়া, লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে একে-অন্যকে মারধর করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিকে কোটা পদ্ধতির অবসানের দাবিতে আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন দলের অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষে সোমবার সারা বাংলাদেশে ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথমবারের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকাসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এ সময় তারা একে অন্যের ওপর ঢিল ছোড়া, লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়েছে।
বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারপরও দাবি আদায়ে সারাদেশে মিছিল ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পাঁচদিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। তারা বলছেন, বর্তমান কোটা ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক এবং তা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি করছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। তারা বলছে, সোমবার বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অনুগত বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টিতে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি ইউনিটের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, ২৫০ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
কাফি