রাজধানী
আন্দোলনে অচল ঢাকা, মেট্রোরেলে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বিকেল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার একমাত্র ভরসায় পরিণত হয় মেট্রোরেল। যে কারণে মেট্রোরেলে ছিল যাত্রীর ব্যাপক চাপ।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেট্রোরেলে জনজট অব্যাহত ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতিঝিল থেকে প্রতিটি স্টেশনে বিপুল সংখ্যক মানুষ মেট্রোতে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন। বাসায় ফিরতে যে সংখ্যক মানুষ হাজির হন তার এক দশমাংশও মেট্রোরেল নিতে পারেনি। বেশিরভাগ যাত্রী স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকেন পরের ট্রেনের আশায়। কিন্তু পরেরটাতেও একই অবস্থা। প্রতি যাত্রায় মেট্রোরেলের কামরায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এ সময় মতিঝিল অফিসপাড়া ও সচিবালয় থেকে ঘরমুখো মানুষকে বলতে শোনা যায়, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে কোনোদিনই এমন অবস্থার তৈরি হয়নি। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতেই থাকে।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ শুরু করলে মিরপুর, ফার্মগেট এবং গাবতলীমুখী যাত্রীরা গণপরিবহনে না চড়ে মেট্রোরেলের সুবিধা নিতে ভিড় জমান। এর ফলে মেট্রোরেলে তৈরি হয় তীব্র জনজট। আগের দিন কোটাবিরোধীরা কর্মসূচির ঘোষণা করলে সকাল থেকেই মানুষ গণপরিবহন এড়িয়ে মেট্রোরেল যাতায়াত শুরু করেন। নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি এসব নতুন যাত্রী যোগ হওয়ার ফলে আজ সকাল থেকেই মেট্রোতে বেড়ে যায় যাত্রী। অফিস ছুটি হওয়ার পরে যাত্রীর উপস্থিতি আরও বাড়ে।
তীব্র ভিড়ের মধ্যে যাত্রীকে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। তাই নিরাপদে দাঁড়াতে কেউ যেন অন্যের পথ রোধ না করে দাঁড়ান- এজন্য যাত্রীদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে অনুরোধ করতে শোনা গেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে।
মাইকে ভাসতে থাকে একটি কণ্ঠ – ‘চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও রথযাত্রার কারণে ঢাকার অধিকাংশ রাস্তায় অত্যধিক জ্যাম। এর প্রভাবে মেট্রোরেলেও অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ। সম্মানিত প্যাসেঞ্জারবৃন্দ, অনুগ্রহপূর্বক সহযাত্রীর সাথে সৌহার্দপূর্ণ/সহনশীল আচরণ করুন। ট্রেনের দরজা ব্লক করে দাঁড়াবেন না অথবা কিছু রাখবেন না। ট্রেনে উঠতে প্লাটফর্মে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আপনার ভ্রমণ নিরাপদ হোক। ’
মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন যাত্রীরাও। যাত্রীর চাপ তৈরি হওয়ায় কারো সমস্যা হলেও ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়নি কাউকে। সবাইকে কষ্ট সহ্য করে যাতায়াত করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়েই গন্তব্যে ফিরেছেন যাত্রীরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে আপাতত বাধা নেই
ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। ফলে ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আপাতত চলাচল করতে পারবে বলছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারপক্ষ গতকাল রোববার আপিল বিভাগে আবেদনটি করে। এই আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী।
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ অক্টোবর রিট করা হয়। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক জোটের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন আলী আবেদনকারী হয়ে এই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ ওই নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে বা বিধিনিষেধ আরোপে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এসব অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জের জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরে টানা সড়ক অবরোধ করছেন রিকশাচালকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজও আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়কে অবস্থান নিয়।
ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তানিয়া বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে যানবাহন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
এদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে, নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে বৈঠক করছেন রিকশাচালকরা।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ সোমবার
ছুটির দিন না হলেও সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে কিছু মার্কেট বন্ধ থাকবে অর্ধদিবস।
যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ ও সানারপাড়।
অর্ধদিবস বন্ধ যেসব মার্কেট
পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স ও মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
যে গাড়ি চললে ক্ষতি হবে তা চালাতে চাই না: রিকশা চালক
যে গাড়ি চললে ক্ষতি হবে তা চালাতে চাই না বলে জানিয়েছেন একজন প্যাডেল চালিত রিকশাচালক। আজ বরিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, আব্দুল খলিল (৪০), মোছাম্মদ রুমা আক্তার (৩২),আব্দুল্লাহ (১৩), মোহাম্মদ (১০), ইসমত (৪), সপ্না (২৫) ও শাহ্জাহান (৩৪)।
আজ রোববার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে আসা দগ্ধ সাত জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আব্দুল খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ এবং মোহাম্মদের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
কাফি