জাতীয়
বেনজীরের বান্দরবানের জমিতে নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ২৫ একর জমির রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও তার নেতৃত্বাধীন একটি টিম বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের জমির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে এসব জমির অবস্থান।
এ সময় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিভিন্ন সম্পদ পরিদর্শন শেষে ২৫ একর জমিতে আদালতের আদেশ ছাড়া এই সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেয়।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজ থেকে এই জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হককে আহ্বায়ক করে একটি ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখন থেকে এই বিষয়ে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সকল আয়-ব্যয়ের হিসেবে দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই এই নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২- এর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শুভ নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষবরণের দিন।
তিনি বলেন, ফসলি সন হিসেবে কৃষিকাজের সুবিধার জন্য বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল। এখনো এ দেশের কৃষক বাংলা তারিখের হিসাবে বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও এখনো হালখাতার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশের হাট বাজারে, শহরে-বন্দরে।
ড. ইউনূস বলেন, নববর্ষের বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশের জেলায় জেলায় উদ্যোক্তারা নিজেদের সৃজনশীলতা তুলে ধরেন। এ দিনকে উপলক্ষ্য করে সারাদেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি-পাতিল, খেলনা, হাতপাখা ইত্যাদি তৈরি করেন তারা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের এইসব ঐতিহ্য যেন আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের সংস্কৃতি যেন বিশ্বের দরবারে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের স্বর্গীয় ঐতিহ্য নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে বছরের এ দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই।
পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষ এবার বড় পরিসরে উদযাপন করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এ বছরের নববর্ষের আমাদের অঙ্গীকার।
নববর্ষের সব আয়োজন ও উদ্যোগের সাফল্য কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, নববর্ষ ১৪৩২ আমাদের সবার জন্য শুভদিনের সূচনা করুক। নববর্ষ আমাদের সবার জন্য নতুন ও গভীর আনন্দের উন্মোচন করুক, এই কামনা করছি। সবাইকে আবারও নববর্ষের শুভেচ্ছা ও সালাম জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পহেলা বৈশাখ আজ, স্বাগত ১৪৩২

আজ পহেলা বৈশাখ, নববর্ষের প্রথম দিন। বাংলা পঞ্জিকার পাতায় আজ যুক্ত হলো এক নতুন বছর। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে শুধু নতুন বছরের শুরুই নয়, এদিনে জীর্ণ-পুরোনোকে ছুড়ে ফেলে নতুনের আবাহন করে বাঙালি।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বরাবরের মতো এবারও প্রস্তুত বাংলাদেশ। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাঙালি ছাড়াও বিভিন্ন জাতিসত্তা মাতে তাদের নিজেদের উৎসবে। এবার তাই সরকারিভাবেই বর্ষবরণের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে অন্য জাতিসত্তাগুলোও।
সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারো মাস অনেক কাল আগে থেকেই পালিত হতো। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে। সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হতো। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, তখন এমনটি ছিল না।
মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেকে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকতো। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসব একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়, যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।
তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল হালখাতা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিক হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা- সব স্থানেই পুরোনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন।
বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরও নানান দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে। মূলত প্রবাসী বাঙালিরা সেসব দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকেন। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। এদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই আহতদের চিকিৎসায় বরাদ্দ ২৫ কোটি, খরচ ১৯ কোটি

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে নেওয়া এই অর্থের মধ্যে প্রায় ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আহতদের মধ্যে যাদের চিকিৎসার জন্য দেশে প্রয়োজনীয় সুবিধা ছিল না, তাদের থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসায় কোনো কার্পণ্য করা হয়নি। অর্থ নয়, প্রাধান্য পেয়েছে চিকিৎসা। একই সঙ্গে পাকিস্তানের একটি যুদ্ধাহত পুনর্বাসন হাসপাতালে কিছু আহতকে পাঠানোর কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ওই হাসপাতালে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা হয়। যুক্তরাজ্যের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা সেখানেও আহতদের পাঠিয়েছি।
আহত ও নিহতদের তালিকা প্রণয়নে সময় লাগছে বলে স্বীকার করেন উপদেষ্টা। তবে তিনি এটিকে সচেতন সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা চাই না তালিকায় ভুয়া কেউ ঢুকে পড়ুক। যেভাবে এখনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়ছে, সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব গির্জা পরিষদের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

বিশ্ব গির্জা পরিষদের (ডব্লিউসিসি) মহাসচিব রেভারেন্ড ড. জেরি পিল্লে রোববার (১৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে জেনেভা-ভিত্তিক রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার প্রতি বিশ্ব গির্জা পরিষদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সংহতি জানাতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দুই দশক পর এই সফর বাংলাদেশের প্রতি আমাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আপনার মতো আমরাও একতা, শান্তি ও ন্যায়সঙ্গত সমাজে বিশ্বাস করি এবং আমরা দেখছি, আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উত্থান-পতন থাকবেই, তবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে চাই। আশা করি, আপনারা আবার বাংলাদেশ সফর করবেন।
বিশ্ব গির্জা পরিষদ ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক সংগঠন, যা ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টানের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
রেভারেন্ড পিল্লে উল্লেখ করেন, ড. ইউনূসের থ্রি জিরো ধারণার (সম্পদ কেন্দ্রীকরণের শূন্যতা, বেকারত্বের শূন্যতা এবং কার্বন নিঃসরণের শূন্যতা) সঙ্গে ডব্লিউসিসির দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা অন্যতম উদ্ভাবনী ও বিশ্বমানের।
তিনি বলেন, বিশ্ব গির্জা পরিষদেও আমরা এই ৩ শূন্য নীতিগুলো সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করি। এটি একটি প্রাকৃতিক মিল, এবং আমরা আনন্দের সঙ্গে এই পথে আপনাদের পাশে আছি।
রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, গাজীপুরে বিশ্ব গির্জা পরিষদের বাংলাদেশ শাখা একটি জলবায়ু কেন্দ্র চালু করেছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ড. এ এফ এম খালিদ হাসানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রেভারেন্ড পিল্লের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ দিনেশ সুনা, বাংলাদেশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ফেডারেশনের (এফপিসিবি) সভাপতি বিশপ ফিলিপ অধিকারী, জাতীয় খ্রিস্টান পরিষদের (এনসিসিবি) সভাপতি (অব.) উইং কমান্ডার ক্রিস্টোফার অধিকারী এবং এনসিসিবি-এর মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এসএমপি ও চাঁদপুরে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি সেবা চালু

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় সশরীরে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করছে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে শুধুমাত্র হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যায়। এখন থেকে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানা এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল থানায় এ অনলাইন জিডি সেবা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সকল থানায় অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করা হবে।
অনলাইন জিডি সেবা পেতে প্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘Online GD’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। রেজিস্ট্রেশন করতে অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।