ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত ইবি প্রাঙ্গণ

সরকারি চাকরি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল করে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বৃহৎ আওয়াজ তুলেন। এসময় তারা এমন অবান্তর বৈষম্য প্রথার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন প্রায় সহস্রধিক শিক্ষার্থী। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় খানিকটা যানজটের দেখা যায়।
এর-আগে আন্দোলন শুরুতে পূর্বনির্ধারিত স্থান ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে বেলা ১১টা নাগাদ শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা আন্দোলনে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগানের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এসময় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেন কোনরূপ কটুক্তি মূলক বক্তব্য না আসে এই আন্দোলন থেকে সে বিষয়ে হুশিয়ার দেন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম’ এর সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মাসুদ রানা।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধাদের অবদান আমরা কখনো অস্বীকার করছি না। তবে কোটার ব্যবহারের ফলে একটা গোষ্ঠী শিক্ষা চাকরি এবং সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে আমরা যে সাধারণ শিক্ষার্থী আছি তারা পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা এক প্রকার বৈষম্য। যা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের কোটার একটি সুষ্ঠু বণ্টন থাকা উচিত। আমাদের দাবি হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র যেনো পুনর্বহাল রাখা হয়।
কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন, আমরা লড়াই করছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম একদিনের নয়। এই সংগ্রাম ১৯৫২ সাল থেকেই আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। আমার মনে হয় না মুক্তিযোদ্ধারা এই কোটা বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁরা দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা কোটা বাতিলের পক্ষে না আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। মেধার বন্টন যেনো সুষ্ঠ হয় সেজন্য আমাদের এই লড়াই সংগ্রাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটে আবারও এমসিকিউ পরীক্ষার অনুমতি হাইকোর্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের (গ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাবির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুল থাকার অভিযোগ এনে এক পরীক্ষার্থী ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদন ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে আয়োজনের দাবি জানানো হয় এবং আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ ফল প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষার আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। রোববার হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে পরীক্ষা আয়োজনের সুযোগ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্মার্ট কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত ইবি প্রশাসনের

স্মার্ট কার্ডের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এবার শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইবি প্রশাসন। এতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) প্রযুক্তি ব্যবহার হবে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়কের সভাপতিত্বে আইসিটি সেলের পরিচালকের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কমিটির সদস্য ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম এবং কমিটির সদস্য-সচিব ও আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুস সাকির মল্লিক সহ সেলের কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা ইউনিক আইডি নাম্বার থাকবে, যেটার মাধ্যমে সে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবে। একটা কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী বিভাগ, হল, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টার সহ সব জায়গায় প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবে বরং তার আলাদা-আলাদা কার্ড লাগবে না।
সভায় কমিটির সদস্য-সচিব একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এবং এই প্রযুক্তির টেকনিক্যাল ও এপ্লিকেশন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট হাফিজুর রহমান লাইব্রেরিতে বর্তমান অটোমেশন সিস্টেম বিষয়ে ডেমোস্ট্রেশন প্রেজেন্ট করেন। আরএফআইডি কার্ড ব্যবহার করে কিভাবে এই সিস্টেমকে আরো উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আইসিটির সেলের পরিচালক ও স্মার্ট আইডি (আরএফআইডি) কার্ড প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান আলী জানান, অটোমেশন এবং প্রযুক্তিগতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরএফআইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি উন্নীত করে ক্যাশলেস ব্যবস্থায় ফি প্রদানের সাথে এটাকে যুক্ত করা সম্ভব হতে পারে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ’ তারুণ্যের কণ্ঠ একত্রে গর্জে উঠলো গ্র্যান্ড ফিনালেতে

দেশের তরুণ বক্তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো নেতৃত্বের আহ্বান, আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ এবং ভবিষ্যতের গল্প। ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্কের (ইউনেট) আয়োজনে ইংরেজী থেরাপি প্রেজেন্টস ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে বিজয়ী হন তিনজন প্রতিযোগী। এতে ১ম স্থান অর্জন করেছেন সিলেট আর্মি আইবিএ থেকে মাশরুরা মেশকাত পূর্ণ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাসনিমুল ইসলাম আফিফ পেয়েছেন ২য় স্থান, আর ঢাকা মোহাম্মদপুর প্রিপেরটরি হাই স্কুল থেকে আদিবা সুলতানা আলিফা হয়েছেন ৩য় স্থান বিজয়ী এবং প্রত্যেকেই পেয়েছেন প্রাইজমানি। সকল ফাইনালিস্টদের ট্রফি ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ইংলিশ অলিম্পিয়াড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক আমান সুলায়মান, জেন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন, পাব্লিক স্পিকিং অফিসিয়ালের (পিএসও) প্রতিষ্ঠাতা সোলায়মান আহমেদ জিশান এবং ব্যারিস্টার রাফায়েলুর রহমান মেহেদী, জেসিআই বাংলাদেশ ন্যাশনাল গভর্নিং বডি মেম্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক। তিনি বলেন, “যে তরুণ-তরূণী কথা বলতে জানে, তারাই পারে ভবিষ্যত গড়তে। এই আয়োজন সেই সাহসী কণ্ঠগুলোকে একত্র করেছে।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ইভেন্ট ডিরেক্টর মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, “যুব কণ্ঠ যত দৃঢ় হবে, দেশ তত সমৃদ্ধ হবে। তরুণরা যখন তাদের কণ্ঠ খুঁজে পায়, তখনই তারা নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে পেতে শুরু করে। ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ আমরা আয়োজন করেছি এই বিশ্বাস থেকে যেন তরুণরা সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে, চিন্তা প্রকাশ করতে পারে, এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়াতে পারে। আজকের প্রতিটি বক্তৃতাই ছিল ভবিষ্যতের একেকটি রূপরেখা।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মাহির আশেফ এবং এই আয়োজনের কনভেনার বলেন, “আসল পরিবর্তন শুরু হয় আত্মপ্রকাশ থেকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই যারা যুক্তির সাথে কথা বলতে জানে, সহানুভূতির সাথে নেতৃত্ব দিতে পারে, এবং সচেতনভাবে কাজ করতে পারে। আমরা যে উদ্দীপনা ও সম্ভাবনা দেখেছি, এটি কেবল শুরু মাত্র।”
তরুণদের কথার শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সফলভাবে শেষ হলো ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ ২০২৫ যা হয়ে থাকবে বহু তরুণের জীবনের প্রেরণার মাইলফলক। আয়োজনটির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো ইংলিশ থেরাপি, চমৎকার ডিজিটাল, গ্লোবাল ট্রাভেলস, ব্যাস নেটওয়ার্ক এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি ছাত্রীর গলায় রমদা ধরে ছিনতাই

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশ্যে বাস ধরতে ভোরে বাসা থেকে ইজিবাইকে করে যাওয়ার পথে ৫-৬ জন দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। দিনাজপুর জেলার রানীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তার গলায় রামদা ধরে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে যায়। তাছাড়াও ছিনতাইকারীরা ইজিবাইক চালককে বেঁধে রেখে ইজিবাইকসহ পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার বাস ধরার জন্য তিনি ভোর সাড়ে ৫টায় একজন পরিচিত ইজিবাইক চালকের সঙ্গে রওনা দেন। পথে একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ ৫-৬ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। প্রথমে দুর্বৃত্তরা চালকের মোবাইল ফোন ও ইজিবাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং চালককে বেঁধে ফেলে। পরে তার গলায় রামদা ধরে ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা টাকা-পয়সা দাবি করে। প্রাণভয়ে তিনি সঙ্গে থাকা ২,৫০০ টাকা দিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও জানান, ছিনতাইকারীরা তাকে নামিয়ে দিয়ে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ইজিবাইকে থাকা তার একটি লাগেজও নিয়ে যায় তারা। এতে তার ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় ছিলো। পরে ওই ছাত্রী রাস্তার পাশে থাকা এতিমখানায় গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে। তবে তার কাছে থাকা মোবাইলফোনটি নিতে পারেননি ছিনতাইকারীরা। পরবর্তীতে বাড়িতে যোগাযোগ করলে পরিবারের সদস্যরা এসে বাড়িতে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ছাত্রী বলেন, আমি সবসময়ই এই রাস্তায় একাই যাতায়াত করি। এর আগে কখনো আমার সাথে এমন ঘটেনি। আমি অনেক ভয় পেয়েছি। তবে আমি এখন নিরাপদে আছি। থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সিইউও হলেন ক্যাডেট সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) সুন্দরবন রেজিমেন্টের অধীন ২৪ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্লাটুনের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ক্যাডেট সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সুন্দরবন রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম, পিএসসি, আর্টিলারি এবং ২৪ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অধ্যাপক মেজর ড. শাহিনুর রহমান তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এরআগে, ৭ জানুয়ারি সুন্দরবন রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস, ইএমই স্বাক্ষরিত (রেজিমেন্ট কমান্ডারের পক্ষে) এক আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সিইউও সুলতান মাহমুদ বলেন, সিইউও হিসেবে সুন্দরবন রেজিমেন্ট কর্তৃক যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমার লক্ষ্য থাকবে, ক্যাডেটরা যেন এথিকস বজায় রেখে নিজেদের আরও দক্ষ ও চৌকস প্রমাণ করতে পারে। সবার দোয়া কামনা করছি যেন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি।
আগামী ৬ মাসের জন্য তিনি সুন্দরবন রেজিমেন্ট এর ২৪নং ব্যাটালিয়নের আলফা কোম্পানির সিইউও এবং কোম্পানি এডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, সুলতান মাহমুদ ৩টি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, ২টি রেজিমেন্ট ক্যাম্প ও ১টি কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া, ইবিতে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস, ২০২৩ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস প্যারেড ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস প্যারেড, ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস প্যারেড, ভর্তি পরীক্ষার ডিউটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম