অর্থনীতি
এস আলমসহ চার গ্রুপের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সুদ মাফ

দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার সুদ মওকুফের সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। মোট ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে এ সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো। এস আলম ছাড়াও বাকি কোম্পানিগুলো হলো- নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক। আর বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি স্থিতির বিপরীতে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়। এভাবে ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। তবে আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে, সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে এস আলম গ্রুপ ও নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ, ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অংকের সুদ মওকুফ করা ব্যাংক দুটি এখন নিজেরাই নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ, এননটেক্স ও নাসা গ্রুপের ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়ার সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, এসব সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয় তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি এননটেক্সের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। আর নাসা গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান সুদ মওকুফ-পরবর্তী সমুদয় পাওনা শোধ করে এই ব্যাংক থেকে চলে গেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময়ে তিনি এ ব্যাংকে ছিলেন না। ফলে এ বিষয় তার জানা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে সুদ মওকুফ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তবে এননটেক্স গ্রুপের ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৬০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ কার্যকর না হওয়ায় সে তথ্য এখানে নেই।
ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল জনতা ব্যাংক। বেসরকারি খাতের সবচেয়ে পুরোনো ন্যাশনাল ব্যাংক সব সময় মুনাফায় ছিল। বড় ব্যাংক হওয়ায় এ দুই প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থার প্রতিফলন পুরো খাতের ওপর পড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়। গত বছর শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১৫ হাজার ৭২৫ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। দুটি ব্যাংকই বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে চলেছে।
এমআই

অর্থনীতি
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমেছে, আজ থেকে কার্যকর

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়। সে সময় স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সোমবার (৩০) সঞ্চয়পত্রের নতুন হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন সহকারী সচিব মো. মোবারক হোসেন।
মুনাফার হার কমানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট বা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব।
আগের মতো সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নতুন হার অনুযায়ী, প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পরিবার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অর্থনীতি
গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমার পরে যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতো সরকারি নির্দেশে আদেশে। যারা গভর্নর ছিলেন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। এখন কিন্তু সেটা নাই।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, আগের সরকারের আমলেও প্রশ্ন উঠেছে দুদক রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবসার হচ্ছে কি না? এনবিআরে যারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রথমত আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেব না। সেটা তাদের আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করবেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ইন্টারফেয়ার করে না, সেটা আপনারা লক্ষ্য করবেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দুদক দেখবে, যদি কোনো ইস্যু থাকে। আপনারা ভাবতে পারেন এ সময় শুরু করল কেন? শুধু এনবিআর না, আমার কাছে দুনিয়ার লোক আসছে, আমার একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কতো কিছু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনি দেখেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে… করতে। আমার সময়ে পারে নাই, কারণ আমি তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিলাম। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক চলতো সরকারি নির্দেশে আদেশে। একই সাথে যারা গভর্নর ছিলেন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। সরি টু সে, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সেটা নাই।
কাফি
অর্থনীতি
কাল থেকে আমদানি-রপ্তানির সব সনদ অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক

আগামীকাল ১ জুলাই থেকে এনবিআরের সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের আওতায় আমদানি ও রপ্তানি পণ্যচালানের শুল্কায়নে ১৯টি সংস্থার ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে এনবিআর জানায়, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় সিএরপির জন্য আবেদন ও সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সিস্টেম ব্যবহারের জন্য প্রথমে বিজনেস সনাক্তকরণ নম্বর বা বিন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো-
১. একটি কমন প্লাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।
২. সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
৩. পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে।
৪. দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
এনবিআর আরও জানায়, সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম থেকে ইতোমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সংখ্যা অদ্য ৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৫টি অতিক্রম করেছে। সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের ৮৫.৯৭ শতাংশ একঘণ্টার কম সময়ে এবং ৯৪.৬৩ শতাংশ একদিনের সময়ে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হয়। ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার (DGDA, EPB, DOEX, BNACWC, BEZA, BEPZA, DOE, BSTI, BAERA, BAEC, CAAB, BTRC, DOF, DLS, PQW, BIDA, BGMEA, ΒΚΜΕΑ, CCI&E) ক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ অবস্থায় আগামীকাল ১ জুলাই থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যচালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে উক্ত ১৬টি সংস্থা কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রয়োজনে হটলাইন ১৬১৩৯ এ যোগাযোগ কিংবা www.bswnbr.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে সহায়তা নেওয়া যাবে।
অর্থনীতি
আন্দোলনের মধ্যেও এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে আন্দোলন স্থগিতের পর প্রথম কার্যদিবসে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “সবকিছু ভুলে দেশের জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজে ফিরতে হবে।” তিনি আরও জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ জাতীয় রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ আয় আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এর আগে টানা দেড় মাস ধরে চলা ‘মার্চ টু এনবিআর’ এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছেন এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সকালে এনবিআর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রাজস্ব ভবনের বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। জমে থাকা ফাইল ও সেবাগ্রহীতাদের ভিড়ে ফিরে এসেছে চেনা কর্মচাঞ্চল্য। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভবনের আশপাশে এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে রোববার রাতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশের আমদানি-রফতানি, সরবরাহব্যবস্থা ও অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং সাধারণ জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।”
প্রসঙ্গত, এনবিআরে সংস্কার ও কাঠামোগত পরিবর্তনের দাবিতে গত ১২ মে থেকে আন্দোলনে নামে এনবিআরের কর্মকর্তারা। এতে প্রায় দেড় মাস ধরে রাজস্ব আদায় ও সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে ফের সচল হয়েছে রাজস্ব আদায়ের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠান।
কাফি
অর্থনীতি
জুনের ২৮ দিনেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি ৮ ব্যাংকে

চলতি মাস জুনের প্রথম ২৮ দিনে ২৫৩ কোটি ৯২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ব্যাংকিং চ্যানেলে এসব রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে।
এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল ও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুনের ২৮ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬১ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জুলাই থেকে চলতি (মাস) জুনের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। পরের মাস নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। সবশেষ মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।