আইন-আদালত
ড. ইউনূসের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
![ড. ইউনূসের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/doctor-Younce.jpg)
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিলের রায় প্রকাশ করেছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না।
গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ড. ইউনূসের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩ (৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আইন-আদালত
দেশে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে: প্রধান বিচারপতি
![দেশে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে: প্রধান বিচারপতি সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/obaydul-hasan.jpg)
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বর্তমানে দেশে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে, যেকারণে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, একে অপরের প্রতি রেস্পেক্ট আমাদের দেশে কমে গেছে। কারো কথা কেউ মানে না। যে কারণে একে অপরের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছি। এক বাহিনী অন্য বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর। যার ফলে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
তিনি বলেন, ২০১৪ ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। সেই প্রোগ্রামে তাকে একটি গ্রাইন্ডার উপহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে উপহারটি নিতে চাননি। অনেক রিকোয়েস্টের পর গ্রাইন্ডারটি নিলেও তিনি পরবর্তীদিন সেই কোম্পানিকে একটি চেক পাঠিয়ে টাকাটি ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু কোম্পানি তার চেক ভাঙ্গাচ্ছিল না। তখন সে তাদের বার্তা পাঠায় চেক না ভাঙালে তিনি উপহারটি ফেরত দেবেন। কারণ আব্দুল কালাম মনে করেন স্ উপহারের পেছনে কোনো স্বার্থ থাকে। তাই আমাদের বুঝতে হবে নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক বিশ্বের একজন বলিষ্ঠ নেতা। বঙ্গবন্ধু তার জীবনে বহু কথা বলেছেন। পৃথিবীর সব দেশের নেতা এ একই কথা বলেছেন। সেখানে অনেক মানুষ এ কথা শুনে সভ্য হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে আমরা সভ্য হতে পারিনি। আমরা অসভ্যতে পরিণত হয়েছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার আগে ৫টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। তখন তিনি এ মামলা হওয়ার পর জেল থেকে তার বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন আমাকে যেহেতু দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে আমি আর রাজনীতি করব না। এ কথা তিনি কষ্ট পেয়ে বলেছিলেন। পরবর্তীতে বিচারিক কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়াতে হাইকোর্টে তিনি সবগুলো মামলায় মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধুর মামলাগুলোর সব বিষয়ের কথোপকথন নিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রকাশনী চালু করা হয়েছে। সেখানে তার মামলার সব বিষয়গুলো আছে।
ওবায়দুল হাসান বলেন, কোনো ইবাদত কবুল হবে না যদি আপনার রুজি হালাল না হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষিত সমাজের দুর্নীতি নিয়ে সব থেকে বেশি চিন্তিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. হারুন- অর- রশিদ।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গুবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে আমাকে প্রথম দায়িত্ব দেওয়াতে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি চিন্তা করেছিলাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বই লিখব।
প্রফেসর ড. হারুন- অর- রশিদ বলেন, আমার লেখা গবেষণা প্রবন্ধটি মূলত ৫৪ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে মূল অংশ ৩৫ পৃষ্ঠার। আমার বইয়ে অনেকগুলো রেফারেন্স দেওয়া আছে। রেফারেন্সকে কম গুরুত্ব না দিয়ে আমি সবাইকে অনুরোধ করব রেফারেন্সগুলো দেখতে। তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন আমার এ গবেষণাটি থেকে।
তিনি বলেন, যেকোন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি কম বেশি সব জায়গায় আছে। কোথাও কোথাও দুর্নীতি হলেও সেখানে এর বিরুদ্ধে বলার অনেক ব্যবস্থা আছে। দুর্নীতি সম্পূর্ণ রূপে শেষ না হলেও, এটাকে অনেক অংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
প্রফেসর ড. হারুন- অর- রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার অনেক বক্তৃতায় বহুবার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দুর্নীতিকে শুধু অসৎ উপায়ে অর্থ আয়ের বিষকে বুঝায়নি, তিনি নানাভাবে দুর্নীতিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
প্রফেসর ড. হারুন- অর- রশিদ আরও বলেন, দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকে ২৩ বছর ধরে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ঔপনবেশিক হিসেবে শাসন করেছিল। তাই তখন আমাদের দাবি ছিল, বাঙালি জাতি হিসেবে মুক্তি। সে সময় দুর্নীতি নিয়ে তেমন একটা কথা বলা হতো না। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। বঙ্গবন্ধুও সে সময় দুর্নীতি নিয়ে কম কথা বলেছে, কারণ তখন আমাদের দাবি ছিল অন্য কিছু। কিন্তু পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি দুর্নীতি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন।
তিনি বলেন, ঘুষ দুর্নীতি, অবৈধ মজুর সৃষ্টি করা সহ মানুষকে যেসব বিষয়ে কষ্ট দেয় তা বঙ্গবন্ধুকে সব থেকে বেশি পীড়া দিয়েছে। তিনি বিভিন্ন জনসভায় দুর্নীতি নিয়ে সেক্টর ওয়াইজ বক্তৃতা দিয়েছেন। এমনকি তিনি তখন দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যানও দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করাই ভালো: অ্যাটর্নি জেনারেল
![কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করাই ভালো: অ্যাটর্নি জেনারেল সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/amin-uddin.jpg)
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আদালত (হাইকোর্ট) একটি রায় দিয়েছেন। এমনকি সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গেছে সরকার। এই মুহূর্তে রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা তাদের (শিক্ষার্থীদের) উচিত হবে না। এ নিয়ে আন্দোলন না করাই ভালো।
সোমবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে প্রাঙ্গণে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, এটি নিয়ে রাস্তায় নামা উচিত নয়। এ অবস্থায় তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব। আমি জানি না কেন তারা আন্দোলন করছে। এ নিয়ে আন্দোলন না করাই ভালো।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আমাদের যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর তার কার্যালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। বিষয়টি (হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আবেদন) বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে ওঠার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেলে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে আপিল করব।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ ও এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি মুলতবি করে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অনলাইন থেকে ‘নানা-নাতি’ গান সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
![অনলাইন থেকে ‘নানা-নাতি’ গান সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/nana-nati1.jpg)
ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় আলোচিত গায়ক আলী হাসানের ‘নানা-নাতি’ শিরোনামে একটি গান। প্রকাশের পর থেকেই দারুণভাবে এটি লুফে নেন দর্শক-শ্রোতারা। তবে গানটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কারণ, গানের একটি লাইনে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি। এই গানটির জন্য লিগ্যাল নোটিশ পান আলী হাসান।
এবার অনলাইন থেকে ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ গানটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৮ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আরিফুর রহমান মুরাদ নামের এক ব্যক্তির রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
নানা ও নাতি চরিত্র দুটির ভেতর দিয়ে অনেক না বলা কথা বলেছেন গানটির লেখক ও গায়ক আলী হাসান। গানের ভিডিওতে সহশিল্পী হিসেবে নানার ভূমিকায় দেখা যায় এ যুগের আলোচিত কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলকে।
মূলত ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ এই লাইনটির কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে গানটির বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে গায়ক আলী হাসানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয় আলী হাসানকে। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেওয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতেও বলা হয় তাকে। অন্যথায় এই গায়কের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলা হয়েছে নোটিশে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিজ্ঞাপনের জন্য ফি নিতে পারবে না বিআরটিএ: হাইকোর্ট
![বিজ্ঞাপনের জন্য ফি নিতে পারবে না বিআরটিএ: হাইকোর্ট সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
পরিবহনের গায়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহনের মালিকের কাছ থেকে কোনো ফি নিতে পারবে না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রবিবার (৭ জুলাই) এক রায়ে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়েছে, যানবাহনের গায়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে হলে সংশ্লিষ্ট যানবাহনের মালিককে অবশ্যই বিআরটিএ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৪৯(ঞ) ধারার সঙ্গে সড়ক-পরিবহন-বিধিমালা-২০২২ এর ১২২-এর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে। এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এরা ‘মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলি’ সংক্রান্ত ৪৯ ধারার (ঞ) তে বলা আছে, ‘সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোনো মোটরযানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা প্রচার করা যাইবে না।’
আবার সড়ক-পরিবহন-বিধিমালা-২০২২-এর ‘মোটরযানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন’ ১২২ (২) নম্বর বিধিতে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন, কাভার্ড ভ্যানসহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন মোটরযানে নিজস্ব পণ্যের বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই বিধিমালার তফসিল-১ এর ৪৫ নম্বর তফসিলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বার্ষিক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হালকা ও থ্রি হুইলার মোটরযানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বার্ষিক ফি ৩০০০ হাজার টাকা। আর হালকা ব্যতীত অন্যান্য মোটরযানের জন্য বার্ষিক ফি ৫০০০ হাজার টাকা।
আইন ও বিধির এ অসামঞ্জস্যতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছর শুরুর দিকে হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিন শাহপার হাসান।
প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এরা ‘মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলি’ সংক্রান্ত ৪৯ ধারার (ঞ)-এর সঙ্গে বিধিমালা ১২২ ও তফসিল-১ এর ৪৫ নম্বর তফসিল কেন অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে ১২২ ও ৪৫ নম্বর তফসিল সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। অন্তর্বর্তী আদেশে হাইকোর্ট তখন বার্ষিক ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত ৪৫ নম্বর তফসিলের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন। পরে বিআরটিএ’র আবেদনে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর রায় দিলেন উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। বিআরটিএ-এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইন বা কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাবে না। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর কোথাও বিজ্ঞাপন ফি’র উল্লেখ না থাকলেও বিধিমালা দিয়ে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিআরটিএ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য গাড়ির মালিকের কাঝ থেকে কোনো ফি আদায় করতে পারবে না। তবে বিআরটিএ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
এ আইনজীবী বলেন, কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬৮টি গাড়ি আছে। যা ২০১১ সালে কোম্পানির সূচনা থেকে এসব গাড়িতে নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আসছিল। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশে কোনো বিধান না থাকলেও ২০২২ সালে প্রণীত বিধিমালায় পরিবহনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য অবৈধভাবে ফি আরোপ করা হয়।’
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে জানিয়েছেন বিআরটিএর আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
![কাস্টমস কমিশনার এনামুলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/shylet-custom-officer-enamul.jpg)
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন তার সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসামি বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে এ মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু-তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।