স্বাস্থ্য
ভেজাল ওষুধের ঝুঁকি মোকাবিলা বিরাট চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![ভেজাল ওষুধের ঝুঁকি মোকাবিলা বিরাট চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/samantto.jpg)
নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের কাজ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিম্নমান ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াটা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদের জন্য একত্রিত হয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ তৈরি করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এই উদীয়মান হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
হঠাৎ এক ফোন আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![হঠাৎ এক ফোন আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ministry-of-healt-1.jpg)
আমি মন্ত্রী হব তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। হঠাৎ একটা টেলিফোন আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসবে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আমার একটাই প্ল্যান, আমি স্বাস্থ্যসেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। আমার একটাই বক্তব্য, আমি যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ট্রমা সেন্টারকে স্বাবলম্বী করতে পারি তাহলে সেবাপ্রত্যাশীরা কিন্তু ঢাকা যাবে না।
তিনি বলেন, আজ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় না। মেঝেতে রোগী, বেডে রোগী। এখানে ট্রমা সেন্টার করতে পারলে এখানকার মানুষ কেন পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন। আরেকটা বিষয় হলো এখানে আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। আমরা যদি এখানেই গর্ভবতী মায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে মাঝেমধ্যে যে দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলো কমানো যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নন কমিউনিটি ডিজিজ যেমন মানুষের ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা করতে পারি তাহলে ঢাকা হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও ডায়ালাইসিস সেন্টারে যেতে হবে না। যদি মানুষের ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা হয় তাহলে এ দুটি সমস্যার কোনটিই হবে না।
তিনি বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছি। আগামীকালও উত্তরবঙ্গে যাব। আমি দেখব মানুষের কষ্ট, মানুষের কী কী দরকার। তবে একদিনে এসব পারব না, সময় লাগবে। আর আমি একা সব পারব না। আমার সঙ্গে যারা আছেন, সবার সহযোগিতা দরকার। তাহলে আমি মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন করতে এসেছিলাম। তখনই আমার অনেক ভালো লেগেছিল। ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন ১০০ শয্যায় রূপান্তর হয়নি আমি জানি না। এটা অনেক আগেই ১০০ শয্যায় রূপান্তর হওয়া উচিত ছিল।
এর আগে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণের পর রথটানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মালেকসহ আরও অনেক।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুলাই উল্টো টানের মাধ্যমে এবারের রথযাত্রা উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। প্রতিবছরের মত এবারও মাসব্যাপী চলবে রথমেলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২২ জন
![ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২২ জন সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2021/07/dengu.jpg)
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময় নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য মেলেনি। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ জনে স্থির রয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৭ জন, চট্টগ্রামে একজন এবং খুলনা বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট তিন হাজার ৮৬৬ জন। যাদের মধ্যে দুই হাজার ৩৩৭ জন পুরুষ (৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং এক হাজার ৫২৯ জন নারী (৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ)। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৫ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত ৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন (৪৩ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং নারী ২৬ জন (৫৬ দশমিক ৫০ শতাংশ)।
প্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এ রোগে মারা যান। দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গু রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩২ জন
![ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩২ জন সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/dengue.jpg)
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি এবং সারা দেশে আরও ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঁচজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাতজন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর মোট তিন হাজার ৫৭৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ৩২৪ জন পুরুষ ও এক হাজার ৫২০ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৪৬ জন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
শিশু কিডনী চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন ডা. আফরোজা
![শিশু কিডনী চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন ডা. আফরোজা সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/d.-afroja-1.jpg)
শিশু কিডনী চিকিৎসকদের সংগঠন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএনএসবি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম। তিনি ২০২৪-২৬ সালের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পিএনএসবির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিসেস অ্যান্ড ইউরোলজির চিকিৎস মো. কবির আলম।
শিশু ও শিশু কিডনী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে বিএসএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ডা. আফরোজা বেগম। তিনি শিশু বিষয়ে এফসিপিএস এবং শিশু কিডনী বিষয়ে এমডি এবং যুক্তরাজ্য থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন ফেলো। তিনি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে যোগ দিতে আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।
শেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী ডা. আফরোজা বেগম ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্র সন্তানের জননী এবং তাঁর স্বামী গোলাম আউলিয়া এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক এমডি। বাংলাদেশের শিশু কিডনী চিকিৎসকদের একমাত্র সংগঠন পিএনএসবি। ২০০৪ সালে গঠিত এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৯৪ জন চিকিৎসক।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৪৯ জন
![ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৪৯ জন সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2020/11/dengu.jpg)
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সারা দেশে আরও ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বরিশালে বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাত জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ছয় জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৩৪ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট তিন হাজার ৪৭৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ২৭৬ জন পুরুষ এবং এক হাজার ৪৭৫ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং জন ২৬ জন নারী রয়েছেন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।