অন্যান্য
ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রি সম্পন্ন
![ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রি সম্পন্ন সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Walton.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক এস.এম. আশরাফুল আলম তার ঘোষিত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এস.এম. আশরাফুল আলম তার হাতে থাকা ৫৬ হাজার ১০৯টি শেয়ার ট্রেডিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিক্রির সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে উপহার হিসাবে উদ্যোক্তা পরিচালকের ছেলে শাহরিয়ার আলম শুভকে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯১টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে তিনি গত ১৪ জানুয়ারি ও ৩০ এপ্রিল শেয়ার বিক্রয় ও হস্তান্তরের ঘোষণা দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অন্যান্য
মেট্রোসেমের নতুন চিফ বিজনেস অফিসার আসাদুল হক সুফিয়ানী
![মেট্রোসেমের নতুন চিফ বিজনেস অফিসার আসাদুল হক সুফিয়ানী সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sufiani.jpg)
মেট্রোসেম সিমেন্ট লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার পদে যোগদান করেছেন আসাদুল হক সুফিয়ানী। এ উপলক্ষে সোমবার (৮ জুলাই) মেট্রোসেমের কর্পোরেট অফিসে এক স্বাগতম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শহিদুল্লাহ, বোর্ড অব ডিরেক্টর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগতম জানান।
অনুষ্ঠানে আসাদুল হক সুফিয়ানী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত আসছে। গতানুগতিক ধাঁরা থেকে বেড়িয়ে এসে নিত্য নতুন মার্কেটিং ও সেলস স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগের মাধ্যমে মেট্রোসেম সিমেন্টকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
আসাদুল হক সুফিয়ানী বাংলাদেশের কর্পোরেটে অতি পরিচিত একটি নাম। তিনি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয়, বহুল পরিচিত ব্র্যান্ড এবং কোম্পানিতে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, সেভেন সার্কেল (বাংলাদেশ) লিমিটেড, শুং শিং সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, একটেল (বর্তমান রবি)। তিনি ইউনিভার্সিটি অব দিল্লী থেকে স্নাতক অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লিঙ্কন থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
রেকর্ড রাজস্ব আয় বেনাপোল কাস্টমসের
![রেকর্ড রাজস্ব আয় বেনাপোল কাস্টমসের সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Custom-House-Benapole-1.jpg)
দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজস্ব আয়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে পাঁচ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ছয় হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেশি। এসময় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য।
কাস্টম সূত্র জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ফেব্রিকস, পচনশীল দ্রব্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মোটরপার্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল। সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল আমদানিকারক পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বিডি, এসএমসিএল নিলয় ও এসএম করপোরেশন।
বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে এ অর্জন পদ্মা সেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টম বন্দরের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বন্দরে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছিল ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮০ কোটি টাকা কম আদায় হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি দেখা দেয় ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তার আগের বছরগুলাতে শুধু ঘাটতিই হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২০৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।
দেশের ১৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে বেশি রাজস্ব আয় হয় বেনাপোলে। রাজস্ব আয়ের দিক থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। তবে আরও বেশি বাণিজ্যের চাহিদা থাকলেও সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যোগাযোগব্যবস্থা আর অবকাঠামোগত নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারতেন না আমদানিকারকরা। এতে গত ১২ বছর ধরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছিল না বেনাপোল কাস্টম হাউজ। অবশেষে, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি অবকাঠামো উন্নয়ন করে বেনাপোল বন্দরে। এর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় অন্য বন্দর ব্যবহারকারীরাও আমদানি শুরু করেন বেনাপোল দিয়ে। সবমিলিয়ে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে আমদানি কমে গিয়ে বছরের শুরুতেই রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয়। অর্থবছরের শেষের দিকে বড় বড় মেগা প্রকল্পের পণ্য ও উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।’
পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে বলে জানান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল।
তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর বেশি ব্যবহার করেছেন। এছাড়া এ বছরের শেষের দিকে বেনাপোল বন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু হবে। এতে ব্যাপক সুবিধা যোগ হবে বন্দরে। তখন এপথে রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমসের পাশাপাশি বন্দরের ভূমিকাও রয়েছে। তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বন্দরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন ও পণ্যের ওজন স্কেলের সঠিক পরিমাপের কারণে রাজস্ব আয়ে এবার রেকর্ড হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, অর্থবছরের শেষের দিকে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য বেশি আমদানি এবং সরকার শুল্কহার বাড়ানোয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব পরিশোধপূর্বক ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
![কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/shylet-custom-officer-enamul.jpg)
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে এ মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তার স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা প্রয়োজন।
জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেত্রে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহানে কমনস্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কি স্পেসহ ১৮৩৫ বর্গফুট ফ্ল্যাট। এর মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং রয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস। যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে। এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/samantto.jpg)
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আইসিডিডিআর,বি কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ একটি প্রতিশ্রুতি যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার পরিকল্পনা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট শিশু যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ‘ভিশন ২০৪১’ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইসিডিডিআর,বি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআর,বি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআর,বি এর চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম, আমি শুধু সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকা থাকবো আর বাকি কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি উপজেলা, জেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল এগুলোকে উন্নত করতে পারি, আমার রোগীর ওখানে যথাযথ চিকিৎসা হয় তাহলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভীড় হবে না। আমরা সাধারণ মানুষের যাতে উপকার হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআর,বি তার জলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামে-গঞ্জে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, শিশুদের বিকাশ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো সুন্দর করে আমরা যদি তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাবো।
আইসিডিডিআর,বির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মুশতাকের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে যা বললেন পাপন
![মুশতাকের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে যা বললেন পাপন সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Mushtaq-Ahmed.jpg)
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হয়ে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নিজের এসাইনমেন্ট শুরু করেন সাবেক এই তারকা স্পিনার। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন। যদিও শুরুতে জানা গিয়েছিল বিশ্বকাপ পর্যন্তই টাইগারদের সঙ্গে চুক্তি মুশতাকের। তবে নতুন করে মুশতাকের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা ছিল।
আজ (মঙ্গলবার) ছিল বিসিবির পরিচালকদের বোর্ড সভা। সেখানেই নিশ্চিত হয়েছে মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর বিষয়টি। সভা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানিয়েছেন মুশতাকের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে প্রস্তুত বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘মুশতাকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে আমরা প্রস্তুত।’ পাশাপাশি অন্য সেক্টরেও বিকল্প খোঁজার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘পাশাপাশি আমরা আবার নতুন নতুন কিছু বিকল্পও খুঁজছি, সব জায়গাতেই। দেখা যাক আমাদের কি কি বিকল্প আছে।’
সাবেক এই পাকিস্তানি তারকার অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পিনবিভাগে ভালোই উন্নতি দেখা গেছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের। প্রয়োজনমতো ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি মিতব্যয়ী বোলিংয়ে বাঘা বাঘা ব্যাটারদের নাজেহাল করার কারণে তিনি পুরো ক্রিকেটবিশ্বের নজরেও এসেছেন। এ ছাড়াও দেশের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গেও কাজ শুরু করেছিলেন মুশতাক, সে হিসেবে তাকে আরও বেশি সময়ের জন্য পাওয়া দেশের ক্রিকেটের জন্যই উত্তম।
এদিকে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। তিনি কি বহাল থাকছেন, নাকি ভিন্ন কারও দিকে মনোযোগ বিসিবির। এমন প্রশ্নে চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকার কথাই নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়ে পাপন বলেন, ‘হাথুরুসিংহের সঙ্গে আমাদের মনে হয় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আছে (চুক্তি)।’