জাতীয়
বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাবির অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয় সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না-এ সত্যটি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৫২’র ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬’র ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তার (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের প্রবর্তন করি।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রবর্তন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৬ পাস করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক।
শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সব শাখায় এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বায়ুদূষণ কমাতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস প্রত্যাহারে চিঠি
বায়ুদূষণ কমাতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস ও মিনিবাস এবং ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাস্তা থেকে প্রত্যাহার করতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্টে অথরিটিকে (বিআরটিএ) অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এছাড়া পুরোনো ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাকের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় বাধ্যতামূলকভাবে নিঃসরণ পরীক্ষা চালুর অনুরোধও জানানো হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ রোধে, ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত যানবাহন প্রত্যাহার এবং ডিজেলচালিত পুরোনো যানবাহনের নিঃসরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য বিআরটিএকে অনুরোধ জানানো হলো।
এতে আরও বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির ১ম ও ২য় বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফিটনেসবিহীন এবং ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত হয়েছে এমন যানবাহনকে রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের জন্য বিআরটিএর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঢাকায় পুরোনো ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাকের ফিটনেস পরীক্ষার সময় নিঃসরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
রাজধানীতে বিনা বাধায় ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলতে দেখা একটি সাধারণ ঘটনা। রংচটা, ভাঙাচোরা এসব বাসের বেশিরভাগেইরই মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ যুগেরও আগে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ২০ বছরের পুরানো বাস ও ২৫ বছরের পুরানো ট্রাক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এ আইন মানছেন না কেউই।
বিআরটিএর হিসাবে, দেশে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ প্রায় ৫৮ লাখ নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ৮১ হাজার ৮৪৭টি। যার ৪১ শতাংশের বয়স ২০ বছরের বেশি। আর ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাঙ্কলরির সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৭৭২। যার ১৫ শতাংশ ২৫ বছরের পুরোনো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার
সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ বিকেলে ডিবির একটি টিম সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর গুলশানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী সর্বশেষ সংসদে রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মন্ত্রিসভায় তাকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খাস্তগীরকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সমাবেশ করায় মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলাকারী দূতাবাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খাস্তগীরের নিয়োগ বাতিলের তথ্য জানানো হয়।
খাস্তগীর মালয়েশিয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে প্রতিবাদকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি ওই সময় অন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন এবং পরে তার তত্ত্বাবধানে কুয়ালালামপুরের কাজাং থানায় মামলা করা হয়।
এছাড়াও পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটে দেখা যায়, খোরশেদ আলম খাস্তগীর মালয়েশিয়া প্রবাসী যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলেরও সুপারিশ করেছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিজিবির অভিযানে ২৫৩ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী উদ্ধার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার (০৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো পিবিজিএমএসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৬ কেজি ৭৫৩ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম সাপের বিষ, ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮২টি কসমেটিকস সামগ্রী, ২৫ হাজার ৪৪২টি শাড়ি, ১১ হাজার ৬২০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাকের জন্য ৪০ হাজার ১৬ মিটার থান কাপড়, ১ হাজার ৯৭৮ ঘনফুট কাঠ, ২৪ হাজার ৬৬৭ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫০ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৪১ কেজি সার, ১ লাখ ১১ হাজার ৯৮০ ঘনফুট কয়লা, ১২ হাজার ৯০০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১ হাজার ৯৬০টি চশমা, ৩০ হাজার ৬৮৭ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৪৫ হাজার ৬১২ কেজি সুপারি, ২৮ হাজার ৪১৬ কেজি মাছ, ৩ হাজার ৭৭৪ কেজি পেঁয়াজ, ৩৭ হাজার ৬১৭ কেজি রসুন, ৪ হাজার ৬০৪ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১৭টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৮টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ২১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ১০৮টি মোটরসাইকেল এবং ২১টি বাইসাইকেল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১০টি ককটেল ও ০৭ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৬ কেজি ৮৭৪ গ্রাম হেরোইন, ২৯ হাজার ১৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৬৩৮ বোতল বিদেশি মদ, ১৩৭ লিটার বাংলামদ, ১ হাজার ৩৪৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯৯৮ কেজি গাঁজা, ৮৯ হাজার ৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২ লাখ ৬২ হাজার ৭০১টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩৭৭২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২৫ কেজি ৪৪৪ গ্রাম কোকেন, ৬৩০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৮০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৪৮০টি অ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩ বোতল এলএসডি এবং ৩৮ হাজার ৬৫৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪১ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৯৮ জন বাংলাদেশি ও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬২১ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ২৩ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ২৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সংশ্লিষ্ট তিন জেলা প্রশাসনের জারি করা এক নির্দেশনা থেকে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
অবশ্য, কী কারণে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট করা হয়নি। তবে একাধিক সূত্রের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সময়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা জারি হয়েছে। তাছাড়া সাজেক ভ্যালিতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের ডিসি জানান, অনিবার্য কারণবশত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের ব্যাপারে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমআই