আন্তর্জাতিক
মৃত্যুর পর সম্পদের কী হবে, জানালেন ওয়ারেন বাফেট
![মৃত্যুর পর সম্পদের কী হবে, জানালেন ওয়ারেন বাফেট পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Warren-Buffett1.jpg)
বিশ্বের অন্যতম ধনী ওয়ারেন বাফেটের মৃত্যুর পর তার সম্পদ কীভাবে ভাগাভাগি হবে, তা নিয়ে নতুন খবর জানিয়েছেন তিনি। বিখ্যাত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৯৩ বছর বয়সি এই ধনকুবের এই বিষয়ে নিজ সিদ্ধান্ত জানান।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান বাফেট জানান, মৃত্যুর পর তার পক্ষ থেকে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে আর অর্থ দেওয়া হবে না। বরং তিনি তার সম্পত্তি নতুন একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার দায়িত্বে থাকবেন তারই তিন সন্তান।
এর আগে বাফেট বেশ কয়েকবার নিজের এই ইচ্ছার পরিবর্তন করেছেন। তবে এবার সন্তানদের ওপরই ভরসা করতে চান তিনি। তার সন্তানদের সকলেরই নিজেদের জনকল্যাণমূলক সংস্থা রয়েছে।
বাফেট বলেন, “আমি আমার তিন সন্তানের মূল্যবোধ সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখি। তারা যেভাবে বিষয়গুলি পরিচালনা করবে তাতে আমার শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে।”
এর আগে বাফেট জানিয়েছিলেন যে, তার সম্পত্তির ৯৯ ভাগেরও বেশি তিনি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং তার পরিবারের সাথে দাতব্য চারটি দাতব্য সংস্থার জনহিতকর কাজের জন্য দান করবেন। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গেটস ফাউন্ডেশনে দান করে যাবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
ভিসা নিয়ে সুখবর দিলো কানাডার সরকার
![ভিসা নিয়ে সুখবর দিলো কানাডার সরকার পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/1624151657_canada.jpg)
কানাডার শরণার্থী ও নাগরিকত্ব মন্ত্রী সিন ফ্রেজার দেশটিতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন।
সিন ফ্রেজার জানান, এখন থেকে ভিসা ছাড়া ‘বিমানযোগে’ কানাডায় আরও ১৩ দেশের নাগরিকরা আসতে পারবেন। আগে প্রায় ৫০টি দেশের নাগরিকরা এ সুবিধা পেতেন। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো ১৩টি দেশ।
মঙ্গলবার (০৬ জুন) মেনিটোবা অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ফ্রেজার।
দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে টেম্পরারি রেসিডেন্স অথবা ভিজিট ভিসা প্রয়োজন- এই ১৩টি দেশের পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে সেটি লাগবে না। তবে এক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশগুলো হলো– ফিলিপাইন, মরক্কো, পানামা, এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, আর্জেন্টিনা, কোস্টারিকা, উরুগুয়ে, সেশেলস এবং থাইল্যান্ড।
ভিসা ছাড়া প্রবেশের শর্ত
এই ১৩ দেশের সব নাগরিক ভিসা ছাড়া কানাডায় প্রবেশের সুবিধা পাবেন না। শুধুমাত্র যারা গত ১০ বছরে অন্তত একবার হলেও কানাডার ভিসা পেয়েছিলেন অথবা যাদের কাছে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী ভিসা আছে তারাই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন।
সিন ফ্রেজার জানিয়েছেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজলভ্য ও দ্রুত করতে দেশগুলোর নাগরিকদের এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্রাজিলেও এ ধরনের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। যেটির ফলাফল ইতিবাচক ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যে কারণে বিশ্বে জাহাজভাড়া বেড়েছে
![যে কারণে বিশ্বে জাহাজভাড়া বেড়েছে পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-ship.jpg)
পশ্চিমা বিশ্বে বড়দিন উৎসবের প্রয়োজনীয় উপকরণের সিংহভাগ সরবরাহ করে চীন। কিন্তু এবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিসমাস ট্রি প্রস্তুতকারক গোল্ডেন আর্টস গিফটস অ্যান্ড ডেকোরে উৎসাহ নেই।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে জাহাজভাড়া বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোল্ডেন আর্টসের ব্যবস্থাপক রিচার্ড চ্যান বলেন, এবার বড়দিনে তাঁদের ব্যবসা দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হতে পারে।
রিচার্ড চ্যান বলেন, এবার বড়দিনে আমরা মুনাফা করার কথা ভাবছি না। এবার আমাদের টিকে থাকাটাই কথা। লোহিত সাগরের সংকট বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গোল্ডেন আর্টস ওয়ালমার্টের পণ্য সরবরাহ করে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ওয়ালমার্টের ৮০ শতাংশ পণ্য তারাই সরবরাহ করে। রিচার্ড চ্যান আরও বলেন, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে পরিবহনের সময় বেড়েছে। সে কারণে তাঁদের গ্রাহকেরা এবার আগেভাগে পণ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছেন; অন্তত এক মাসে আগে জাহাজীকরণের কথা বলেছেন তাঁরা।
এই চ্যালেঞ্জ শুধু রিচার্ড চ্যানের কারখানার নয়; চীনের সব কারখানাই কমবেশি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সব কারখানার কাছেই গ্রাহকেরা আগেভাগে পণ্য চান; কিন্তু এভাবে সময়সীমা এগিয়ে আনায় কারখানাগুলো সময়মতো পণ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে।
জাহাজীকরণের যতটা আগে জাহাজভাড়া করা যাবে, ভাড়া ততই কম হবে। হঠাৎ জাহাজভাড়া করতে হলে বেশি অর্থ দিতে হয়। গত জুনে স্বল্প সময়ের নোটিশে এশিয়া থেকে ইউরোপে ৪০ ফুট কনটেইনার পাঠানোর ভাড়া ৬ হাজার ৮৫৫ ডলারে উঠেছিল। পণ্যবাহী জাহাজ পরিবহন নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান জেনেটার তথ্যানুসারে, গত দুই মাসের ব্যবধানে এই ভাড়া বেড়েছে ১১০ শতাংশের বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা পাঁচ গুণ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বের সব দেশের আমদানিকারক, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। লোহিত সাগরে যে সংকট চলছে এবং হুতি বিদ্রোহীরা যেভাবে হামলা চালাচ্ছেন, তাতে অনেক জাহাজ এখন ঘুরপথে চলছে। এতে ব্যয় ও সময়- উভয়ই বেশি পড়ছে। এই সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং সংকট সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ শতাংশ ও ইউরোপের ২৬ শতাংশ কোম্পানি জাহাজ চলাচলের সময়সীমা এগিয়ে আনছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে। সে কারণেও জাহাজভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকদের লক্ষ্য, যেভাবেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বৃদ্ধির আগেই পণ্য পাঠানো। এতে পণ্যবাহী জাহাজের চাহিদা বেড়ে ভাড়া বেড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্র যেসব পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে, সেগুলো হলো বৈদ্যুতিক গাড়িসংক্রান্ত উপকরণ, ব্যাটারির উপকরণ ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল।
চীনের কোম্পানিগুলো এখন আগেভাগে পণ্য সরবরাহের জন্য কর্মীদের ছুটির দিন ও অতিরিক্ত সময়ে কাজ করাচ্ছে। কিন্তু চীনের মূল ভূখণ্ডে কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করাতে হলে মূল সময়ের দেড় থেকে দুই গুণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। অনেক কোম্পানিকে আবার দ্রুত উৎপাদন করার লক্ষ্যে যন্ত্র কিনতে বা ভাড়া করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে চীনের কোম্পানিগুলোর মুনাফায় প্রভাব পড়বে বলে সংবাদে বলা হয়েছে। এমনিতেই পশ্চিমা গ্রাহকেরা চীন ছেড়ে অন্য উৎস থেকে পণ্য নেওয়ার পথ খুঁজছেন। তাঁদের ধরে রাখতে চীনের কোম্পানিগুলো দাম কমিয়ে দিচ্ছে। এখন বড়দিন উপলক্ষে যেভাবে আগেভাগে পণ্য সরবরাহের চাপ আসছে, সে কারণে তাদের টিকে থাকা আগের চেয়ে আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জাহাজের কোম্পানিগুলোও সুযোগ নিচ্ছে। বেশি মুনাফা করতে জাহাজ কোম্পানি অনেক ক্ষেত্রে আগের চুক্তি বাতিল করে স্পট ভাড়ায় যাচ্ছে, তবে সব কোম্পানি তা করছে না। গত দুই-তিন বছরে বিশ্বে জাহাজশিল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। ফলে মায়ার্সক ও সিএমএর মতো কোম্পানির জাহাজভাড়া খুব একটা বাড়েনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ
![চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Bangladesh-China-1.jpg)
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে চীনের কাছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানান, ঋণের অর্থ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে গ্রহণ করা হবে। এই অর্থ চীন থেকে পণ্য আমদানির ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ। ঋণের আলোচনা এখনো কারিগরি পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারও চীন। তবে দেশটি থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির পরিমাণ রপ্তানির তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেশি। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালে চীন থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আমরা যদি এই ঋণ পাই, এটি আমাদের দুটি উপায়ে সাহায্য করবে: আমরা ইউয়ানে কিছু চীনা পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে পারবো; দ্বিতীয়ত, এটি আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করবে, কারণ ইউয়ান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুমোদিত একটি রিজার্ভ মুদ্রা।
ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি কমে যাওয়া এবং ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকাকে এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও রপ্তানি খাত চাপের মধ্যে রয়েছে এবং আমদানিকারকরা ডলার পেতে সমস্যায় পড়ছেন। ক্রমাগত রিজার্ভ কমায় গত মে মাসে বাংলাদেশের ক্রেডিট স্কোর আরও কমিয়েছে ফিচ রেটিংস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী,গত ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৮০ কোটি ডলার, যা দিয়ে আড়াই মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। ২০২৭ সালের জুন মাসের মধ্যে আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা ৩ দশমিক ৬ মাসে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। কারণ এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর কথা রয়েছে।
আব্দুর রউফ তালুকদারের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার কমালে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়বে। অন্যদিকে, ভোগ্যপণ্যের দামও প্রাক-কোভিড পর্যায়ে ফিরে আসবে, এর ফলে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা কমবে।
আগামী সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ঋণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেলো লাহোর হাইকোর্ট
![প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেলো লাহোর হাইকোর্ট পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/lahor-high-coart.jpg)
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি আলিয়া নীলম। তার এই নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণলয়ের অধীন সংস্থা জুডিশিয়ালি কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে আলিয়া নীলমকে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আলিয়া নীলমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কাজী ফায়েজ ইসা নিজেই। তার চেয়ে যোগ্য অপর কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাব মেনে নেন জেসিপির অন্যান্য সদস্যরা।
লাহোর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের তালিকায় আলিয়া নীলম তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিচারপতি মালিক শেহজাদ আহমেদ খান এবং বিচারপতি শহীদ বিলাল হাসান। দুজনই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আলিয়ার আগে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি ছিলেন মালিক শেহজাদ আহমেদ খান।
বিচারপতি আলিয়া নীলমের জন্ম পাঞ্জাবে, ১৯৬৬ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পরের বছর থেকে লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।
২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন বিচারপতি আলিয়া। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে ২০১৩ সালে ফের লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।
এলএলবি’র পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং আইন ও বিচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তার। ২০১৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফৌজাদি, দেওয়ানি ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বহু মামলার বিচার পরিচালনার সঙ্গে যুক্তছিলেন তিনি। এছাড়া নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার বিচারকাজে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব তার রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে ১২১ মৃত্যু, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা
![ভারতে পদদলিত হয়ে ১২১ মৃত্যু, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/india-vole-baba.jpg)
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় নারায়ণ সাকার হরির একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলেক বাবাকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে তার আশ্রমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দুদের দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে হাথরসের রতি ভানপুর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করলে পদদলিত হয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আলীগড় রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক সলভ মাথুর বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী। আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আজ বুধবার (৩ জুলাই) যে কেনো সময় ঘটনাস্থলে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই মধ্যে তিনি এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
হাথরসের জেলা প্রশাসক আশিষ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেন, অনুষ্ঠানের সময় সেখানে ছিল তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন অনুষ্ঠান শেষে পানির জন্য একযোগে ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে কাদাপানিতে একজনের ওপর অন্যজন পড়ে আহত হন। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
ভোলে বাবা দাবি করেন, তিনি একসময় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগে (আইবি) চাকরি করতেন। ২৬ বছর আগে ধর্ম পালনের জন্য তিনি সেই সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন বলে দাবি তার। বর্তমানে ভোলে বাবার লাখো অনুসারী রয়েছে। ভারতজুড়ে তাঁর অনুসারী ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। তবে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান ও দিল্লিতে ভোলে বাবার অনুসারী বেশি।