লাইফস্টাইল
কিডনি সুস্থ রাখতে যা করা জরুরি
মানবদেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের দূষিত রক্ত শোধন করা। এছাড়া কিডনি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।
কিডনির রোগ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে কিডনি বিকল, কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন, কিডনি ফেলিওর ইত্যাদি।’
‘যদিও প্রাথমিকভাবে কিডনির রোগ শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। তাই কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তার বরং কীভাবে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।’
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিডনির রোগ প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি। এ বিষয়ে ডা. সামান পরামর্শ দেন-
১. শরীরচর্চার বিকল্প নেই। দৈনিক আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৫ মিনিট জোরে হাঁটলে গড়ে ৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যায়।
২. ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৩. পাশাপাশি ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি বাদ দিলেও হার্ট অ্যাটাকসহ কিডনি রোগের ঝুঁকি কমবে।
৪. খাওয়ার বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
৫. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৮. বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। যারা বাইরে রোদে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
৯. নারীদের শরীরের নিম্নাঙ্গের যত্ন নিতে হবে ও পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে ইউরিন ইনফেকশনের মাধ্যমেও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১০. যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। ৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এজন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বর্ষায় ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার উপায়
বর্ষাকাল এলেই মশা-মাছি, পোকা-মাকড়ের উৎপাত বেড়ে যায়। বাড়ে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের চোখরাঙানিও। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেও দিনের বেলা কী উপায় মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়? অনেকেই মশার ধুপ ব্যবহার করেন। কিন্তু সারা দিন এই ধুপ বা কয়েল জ্বালিয়ে বদ্ধ ঘরে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
অনেকে মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রেও ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্রিমগুলো বেশ চটচটে। যা মেখে থাকা বেশ কষ্টকর। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচার কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।
লেমন ইউক্যালিপটাস: মশা তাড়ানোর স্প্রে’র মূল উপাদান লেমন ইউক্যালিপটাস তেল। এই দরকারি তেল লাগালে অনেকক্ষণ মশা দূরে থাকবে। তাই দিনের বেলা গোসলের পর ময়শ্চারাইজার মাখার মতো নিয়ম করে হাতে এবং পায়ে এই তেলও মেখে নিতে পারেন।
পিপারমেন্ট অয়েল: অনেকেই মশা তাড়াতে ঘরের কোণে পিপারমেন্ট অয়েলযুক্ত সুগন্ধি মোম জ্বালান। তবে এই প্রয়োজনীয় তেল গায়েও মাখতে পারেন, মশার কামড় থেকে বাঁচতে। তবে সরাসরি পিপারমেন্ট অয়েল গায়ে লাগালে র্যাশ বেরোতে পারে। তাই নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান।
কর্পুর: মশার ধুপ সারা দিন না জ্বালাতে চাইলে ঘরের কোণে কর্পুর রাখতে পারেন। যে টেবিলে বসে সারা দিন কাজ করছেন বা খাটের পাশে রাখা টেবিলে রেখে দিতে পারেন, কিছুটা কাজ দেবে।
ফ্যান চালান: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকলে কতজন আর ফ্যান চালান। কিন্তু ঘরে জোরে ফ্যান চালিয়ে রাখলেও গায়ে খুব একটা মশা বসার সুযোগ পায় না। ফ্যানের জোর হাওয়ায় মশা খুব একটা উড়তে পারে না।
পানি জমতে দেবেন না: বাড়ির আশপাশে বেশি পানি জমে থাকলে মশা বেশি হবে। ছাদের কোণে বৃষ্টির পানি জমছে কিনা খেয়াল রাখুন। বাথরুমে অহেতুক পানি জমিয়ে রাখবেন না। যদি রাখতেই হয়, ঢাকনা দেওয়া বালতি ব্যবহার করুন। বাগান, বারান্দা বা ছাদে কোনো খালি গাছের টব রাখা থাকলে সেগুলো উল্টে রাখুন। বাড়ির বাইরে ময়লা ফেলার বালতি থাকলে সেগুলোতে পানি জমে থাকছে কি না, খেয়াল রাখুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব গাছ বন্ধ ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর করবে
এমনিতেই দুই কক্ষের ছোট ফ্ল্যাটে আলো-বাতাসের আনাগোনা কম। তার ওপর এখন বর্ষাকাল। জামাকাপড় শুকোচ্ছে না। বৃষ্টির পানি লেগে কাঠের দরজা, জানালা সারাক্ষণই ভিজে থাকছে। পানির মধ্যে জীবাণুনাশক দিয়ে যত বারই ঘর মোছা হোক, মেঝে চটচট করছে। এই সময়ে যেহেতু বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এমন সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। পুরোনো আমলের বাড়ি হলে তো কথাই নেই। ড্যাম্প ধরা দেয়াল থেকেও ঘরের ভেতর ভিজে ভাব থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে পারে কয়েকটি গাছ।
বস্টন ফার্ন
ঘরের স্যাঁতসেতে ভাব দূর করতে পারে জানালার এক কোনে বস্টন ফার্ন রাখা যেতেই পারে। প্রাকৃতিক ‘হিউমিডিফায়ার’ হিসাবে দারুণ কাজের এই গাছটি। রান্নাঘর বা গোসল ঘরের শোভা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বর্ষার ভ্যাপসা গন্ধ শুষে নেবে এই ফার্ন।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
অল্প যত্নে, খুব সহজে বেড়ে ওঠে স্পাইডার প্ল্যান্ট। সারাক্ষণ এসি চললে ঘরের মধ্যে শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হয়, স্পাইডার প্ল্যান্ট থাকলে তেমন সমস্যা হবে না। পাশাপাশি ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত রাখতেও এই গাছের জুড়ি মেলা ভার।
পিস লিলি
সুন্দর সাদা ফুল ফোটে। ঘরের কোনে রাখলে শোভাও বৃদ্ধি পায়। আবার, পুরোনো বাড়ির স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল, আবহাওয়া থেকে জলীয় বাষ্প শোষণ করতে পারে এই গাছটি।
অ্যালোভেরা
সাকুলেন্ট গোত্রের গাছের মধ্যে সহজলভ্য হল অ্যালোভেরা। অল্প পানি, সামান্য আলো-বাতাস পেলে এই গাছ বেড়ে ওঠে। ঘরের জানলা, বারান্দায় রাখলে স্যাঁতসেঁতে ভাব কেটে যায়। আবার রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করা যায়।
স্নেক প্ল্যান্ট
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিশোধন করার পাশাপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকেও রেহাই মেলে ড্রেসিং টেবিলে এই গাছ থাকলে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ড্রাগন ফল খাওয়ার ৯ উপকারিতা
দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল। এখন দেশেই চাষ হচ্ছে উপকারী এই ফল। ফলে সর্বত্রই দেখা মিলছে লাল টুকটুকে ড্রাগন ফলের। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। জেনে নিন ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- ড্রাগন ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। ড্রাগন ফলে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং এ, পাশাপাশি পটাসিয়াম। এই যৌগগুলো প্রদাহজনক এবং অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে।
- ড্রাগন ফলকে বলা হয় প্রিবায়োটিক পাওয়ার হাউস। ফলে ফলটি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
- ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অনুযায়ী, ৩.৫-আউন্স ড্রাগন ফলে ৩ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে। ফলে ড্রাগন ফল খেলে ফাইবারের চাহিদা পূরণ করা যায়।
- ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।
- ফাইবার থাকার পাশাপাশি ড্রাগন ফল হাইড্রেশনের একটি উৎস, উভয়ই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজমে সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় উপাদান নেই। ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন ড্রাগন ফল।
- বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
- আয়রনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফল। রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চাইলে তাই প্রতিদিন খাওয়া চাই উপকারী এই ফল।
- শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সঠিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল।
সতর্কতা
ড্রাগন ফলের বীজে বেশ কিছু তেল এবং প্রোটিন থাকে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ড্রাগন ফলে ফ্রুক্টোজ থাকে। এটি ফলের মধ্যে পাওয়া একটি চিনি। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা জরুরি। কারণ সুস্থতা থাকলে তখন বাকি সব কাজ সহজ হয়ে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনার খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল রাখবেন। সেখানে প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রাখতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত খাবারও। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বিভিন্ন ভিটামিন যুক্ত খাবার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্থতার জন্য কোন ভিটামিনগুলো খাবেন এবং তা কোন খাবারে পাওয়া যাবে-
ভিটামিন এ
আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন এ। এটি হাড়, ত্বক এবং দাঁত উন্নত করতে বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তাই আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, আম, খেজুর, ব্রকোলি এবং স্যামন ফিশে এই ভিটামিন মিলবে। তাই এ ধরনের খাবার নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন।
ভিটামিন বি
ভিটামিন বি হলো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনের ভেতরে সবচেয়ে উপকারী হলো ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন ডি ৩, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ৭, ভিটামিন বি ৯ এবং ভিটামিন বি ১২। কোন খাবারে ভিটামিন বি পাবেন? মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, পাউরুটি এবং খাসির মাংসে পেয়ে এসব ভিটামিন। ভিটামিন বি বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
ভিটামিন সি
আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে লেবু এবং কমলায় ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়া আঙুর, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ডেউয়া ইত্যাদি ফলেও থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া বিভিন্ন শাক-সবজির মধ্যেও পাবেন ভিটামিন সি।
ভিটামিন ডি
আমাদের হাড় শক্ত করার কাজে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়। এই দুই উপাদান শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আপনি যদি প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদের মধ্যে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। এর ফলে আপনার হাড় ক্ষয় রোধ হবে এবং বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খাবারের মধ্যে দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিমের কুসুম, টুনা মাছ, বাদাম ইত্যাদিতে পেয়ে যাবেন ভিটামিন ডি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
পর্যাপ্ত না ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম নিয়ে অবহেলা করলে ভুগতে হতে পারে নানা সমস্যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি অন্তত ছয় ঘণ্টারও কম সময় ঘুমান তাহলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এদিকে খেয়াল করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্যাপ্ত না ঘুমালে আপনার কী কী ক্ষতি হতে পারে-
অনিদ্রা
অনিদ্রা মূলত আমাদের অভ্যাসের কারণেই হয়ে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ঘুমে অবহেলা করেন তাহলে ঘুমের সময়সূচি নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর ঠিক সময়ে ঘুম আসতে চাইবে না। তাই প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমও হবে। ফলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
ঘুম পর্যাপ্ত না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি ঘুমে অনিয়ম করেন তাহলে বিষয়টি নিজেই টের পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। এর ফলে দেখা দিতে পারে হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যাও। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে দূর হয় না। অনেকে মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পেছনে কেবল আমাদের খাবারই দায়ী। আসলে তা নয়। এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমও। কারণ ঘুমের অভাব হলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রেও। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা কোনো শখের অসুখ নয়। অনেক বেশি মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা নিয়মিত না ঘুমায় তারা অন্যদের মতো হাসিখুশি কিংবা কর্মক্ষম থাকতে পারে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় বিষণ্ণতা। তখন মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে এবং কাজেও মন বসে না। বিষণ্ণতা কিন্তু শরীরেও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
কাফি