রাজধানী
শনিবারও চলবে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান
মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় আগামীকাল শনিবারও সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খনন কাজ পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এদিকে উদ্ধার হওয়া জমি দখলমুক্ত রাখতে ছুটির দিনেও অভিযান পরিচালনা করে খাল খননের কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার সাদিক অ্যাগ্রোর দখলে থাকা উদ্ধার করা অংশে খাল খননের কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
শুক্রবার (২৮ জুন) মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাঝে জুমার নামাজের বিরতির পর আবারও খনন কাজ চলে। একইভাবে আগামীকাল শনিবার ফের উচ্ছেদ, খাল খনন করবে ডিএনসিসি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাছান।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির খাল উদ্ধারে টানা তিনদিন ওই এলাকায় অভিযান চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে ১০ বিঘা জমি উদ্ধার করে ডিএনসিসি। সাদিক অ্যাগ্রোর উদ্ধার করা অংশে খাল খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকা শুক্রবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে খাল খনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএনসিসি। আগামীকালও এই কার্যক্রম চলবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডিএনসিসির নিজস্ব জমি, খাল ও রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা ৬০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ বিঘা নিজস্ব সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে সাদিক অ্যাগ্রোর দখল করা খালের অংশও ছিল।
উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, কাঠের মিল, রাজনৈতিক দলের অফিস ও একটি গবাদি পশুর বাণিজ্যিক ফার্মের স্থাপনা। উচ্ছেদ শেষে উন্মুক্ত নিলামে জব্দ করা মালামাল ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকে না। রাত ১২টার পর গ্যাস এসে ভোর ৫টায় চলে যায়। এই কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে রাতেই রান্না করেন। অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ফলে গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, নদ্দা ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু-তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা সিদ্ধেশরী এলাকার চিত্র একই। রাতে আসলেও দিনে গ্যাস থাকে না।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া জানান, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে বুধবার
জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। আসুন জেনে নিই রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বুধবার বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, মাসকট প্লাজা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার যে সড়ক চার মাস বন্ধ থাকবে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় পথচারীদের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। এর ফলে হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক বন্ধ রয়েছে। রাস্তাটি টানা চার মাস (১২০ দিন) বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলা অবস্থায় প্রকল্পের আওতাধীন এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান রোডের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ১২০ দিন (৪) মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তাই সব ধরনের যানবাহন ও পথচারীদের এ সময়ে বিকল্প হিসেবে ‘কাওলা সড়ক’ ব্যবহারেরও অনুরোধ জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে রাস্তা বন্ধ রাখার জন্য দুঃখ প্রকাশও করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা, ১৯২ গ্রাম হেরোইন, ১০০ বোতল ফেনিসিডিল, ৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১০০ গ্রাম আইস ও ৯৫৩ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড লেগেছে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বেলা ১টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে দুটি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বছরে কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক।
বস্তিবাসীদের অসাবধানতা এবং অনেকে শত্রুতাবশতভাবেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানায় স্থানীয়রা।