অর্থনীতি
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
![বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার চূড়ান্ত হিসাব শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।
রিজার্ভ নিয়ে অবশ্য এরআগেই সুখবর দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়, আইএমএফ থেকে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে। এছাড়াও কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি প্রভৃতি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন ডলার এসেছে। এতে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে। শেষ কর্মদিবসের আগের দিন হওয়ায় এখনও চূড়ান্ত হিসাব করা হয়নি। বৃহস্পতিবার পূর্ণ হিসাব করা হবে। তবে প্রাক্কলিত রিজার্ভের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
গত সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পাওয়া যায় দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।
করোনার পর থেকেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দ্রুতই কমতে শুরু করে রিজার্ভ।
গত মে মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন- আকু’র ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। যা ছিল গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। সে সময় আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয় ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর নিচে নামেনি।
গত ১ জুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন, দেশে সাড়ে ৪ মাসের ডলার রিজার্ভ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনীতির চাপের মধ্যে রয়েছে দেশ। এক সময় আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত গিয়েছিল। সেখান থেকে আমাদের রিজার্ভ কমে এসেছে। যেকোনো দেশে ৩ মাসের রিজার্ভ থাকলেই কোনো সমস্যা হয় না। সেখানে আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। যদি বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসে ও বিদেশে রপ্তানি বিনিয়োগ বাড়ানো যায় তাহলে সুবিধা হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।
বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) এই তিন আলাদা কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।
ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেয়া হবে।
এরই মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ফিনটেক সেক্টরে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
![ফিনটেক সেক্টরে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Wasika-Ayesha-Khan.jpg)
বাংলাদেশে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেছেন, সরকার বেসরকারি খাতের সহযোগী হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো। এজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ড্রাইভিং ফিন্যানসিয়াল ইনক্লুশন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি ও বৈদেশিক বিনিয়োগের ও উৎস যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কোম্পানি, মাস্টারকার্ড এবং ভিসা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল ২০২১-২০২৬ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘ব্যাংকের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার পদ্ধতিতেও পরিবর্তনটা আনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেছি। জুন মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে।’
তিনি বলেন, সুদহার যখন নয়-ছয় ছিল সেসময় আমরা খেলাপি হওয়ার মতো অনেক ঘটনা দেখেছি। ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সরবরাহে বাজারভিত্তিক সুদহার কেমন হয়, সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়ার প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, অ্যামচ্যামের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আমচামের নির্বাহী পরিচালক, দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি উন্নয়নে ইপিবির বড় ভূমিকা আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![রপ্তানি উন্নয়নে ইপিবির বড় ভূমিকা আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Ahsanul-Islam-2.jpg)
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নতি হচ্ছে। দেশের ৬৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি একটা সময় অবিশ্বাস্য ছিল। সরকারের লক্ষ্য পরের ৩ অর্থবছরে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। সে লক্ষ্য পূরণে পরিবর্তন ও সহযোগিতা লাগবে। রপ্তানির সংখ্যার তুলনায় কীভাবে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহার করা যায়, কত বেশি কর্মসংস্থান করা যায় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর টিসিবি ভবনের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালনা পর্ষদের ১৪৬তম সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, আগামীতে পণ্যের সেক্টর করে আলাদা করে মেলা করতে হবে। মেলায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে, এতে করে মেলার উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে পূজার সময়ে কলকাতায় দেশীয় শাড়ির মেলা করা হবে।
এ সময় পর্ষদের সদস্য হিসেবে হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাক শিল্পে চীনা বিনিয়োগ চায় বিজিএমইএ
![পোশাক শিল্পে চীনা বিনিয়োগ চায় বিজিএমইএ একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bgmea1.jpg)
উচ্চ মূল্যের তৈরি পোশাক উৎপাদনে বস্ত্র খাতে চীনা বিনিয়োগ চায় তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেশটির উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ঢাকা সফররত চীনের বেসরকারি খাতের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রত্যাশার কথা জানান বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ফুজিয়ান কুনফেং মেশিনারি কোং লিমিটেডের সভাপতি জু জিনশান।
বৈঠকে চীনা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জু জিনশান, চেন কি পিং এবং ইয়াং মিং মিং। বিজিএমইএর পক্ষে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, পরিচালক রাজীব চৌধুরী ও পরিচালক মো. জাকির হোসেন।
আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ, বিশেষ করে ওভেন ও নন-কটন টেক্সটাইল ও উচ্চ মূল্য সংযোজনকারী পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ ও বানিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। উচ্চ মূল্যের পণ্য, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাক উৎপাদন এবং সেই সঙ্গে আরও উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ যে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আপগ্রেড করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হাই-এন্ড টেক্সটাইল এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে চীনা বিনিয়োগ আসলে উভয়পক্ষই লাভবান হবে। আলোচনায় উভয় পক্ষই বাংলাদেশের বিশেষ করে উচ্চ-মূল্যের, ম্যানমেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের চলমান প্রচেষ্টাগুলোর উপর জোর দিয়ে একসঙ্গে আরও ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি
![ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/egg-dim-1.jpg)
দেশে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। তবে হুট করে বেড়ে যাওয়া ডিমের দামের কারণ জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, হাতবদলের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভায় ভোক্তার ডিজি বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণায় দেখা যায়, একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম অনেক বেশি। ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে বিপণন সংশ্লিষ্ট লোকজন জড়িত। অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা যায়, একই ট্রাকে ডিম রেখে তিন বার হাত বদলের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রতিটি ডিম মূল্য গড়ে প্রায় ১ টাকা বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানের ফলে ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য কমেছে। কিন্তু এটা স্বাভাবিক আচরণ নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকা ভাউচার ছাড়া ডিমের কোন লেনদেন হবে না। পাকা ভাউচার পাওয়া গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারবো ডিমের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কত এবং কত লাভ করা হয়েছে। এখন অভিযান পরিচালনাকালে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তার ডিজি বলেন, এই সেক্টরকে সুসংগত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিম বিক্রয়ের কারসাজির ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবসা নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা
![আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/homeopathic1.jpg)
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধি গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হার্বাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচারক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে।
খাতের প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হার্বাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে।
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের মেডিক্যাল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ প্রীতি চক্রবর্তী।
আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধি বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি।
এমআই