সারাদেশ
ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
![ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/train-1.jpg)
গাজীপুরে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে বিকল্প ইঞ্জিন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পার হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও কালিয়াকৈর হাইটেক রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছলে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
হানিফ আলী বলেন, ইঞ্জিন বিকলের সংবাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা থেকে বিকল্প ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিকল্প ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিকল্প ইঞ্জিন পৌঁছালে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় এ পথে চলাচলকালী কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
করোনার মতো ডেঙ্গু রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: চসিক মেয়র
![করোনার মতো ডেঙ্গু রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: চসিক মেয়র একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Chasik-Mayor.jpg)
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে করোনার মতো আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, নগরের প্রতিটি সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সোসাইটির নেতা, মসজিদে জুমার নামাজের বয়ানে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র বলেন, আমাদের চারপাশে যে সব জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সব জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসাবাড়ি, ছাদ-আঙিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়তে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল তসলিম, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নুরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
যমুনায় একদিনে পানি বাড়লো ৩৩ সেন্টিমিটার
![যমুনায় একদিনে পানি বাড়লো ৩৩ সেন্টিমিটার একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/jamuna-River.jpg)
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে একদিনে ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বহী প্রকৌশল মো.সাজ্জাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যমুনা নদীর পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বিপদসীমার ১০ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, দু’দিন আগেও টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করে। অপরদিকে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনাসহ জেলার সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে
![উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/kaptay.jpg)
বর্ষাকালে হ্রদ পাহাড়ের জেলা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলতি বছরের (জানুয়ারি-জুলাই) সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ ইউনিটের মধ্যে ৪ ইউনিটে ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তথ্য মতে, আজ কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ও ২নং ইউনিটে ৮৪ মেগাওয়াট এবং ৪নং ও ৫নং ইউনিট থেকে ৮০ মেগাওয়াটসহ মোট ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়তে পারে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এতদিন হ্রদে পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হয়েছে এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্য একটি ইউনিট টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট হতে ২ শত ৩০-৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সাজেকে ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা
![সাজেকে ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sajek.jpg)
ঝড়বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে খাগড়াছড়ি সাজেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে প্রায় ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজারে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় সড়ক এবং বেইলি ব্রিজ তলিয়ে সাজেকের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বাঘাইহাট থেকে কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি এবং সাজেক থেকেও পর্যটকবাহী স্কট ছেড়ে আসেনি।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, গতকাল মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজারে ঢলের পানি বাড়তে শুরু করে। এই মুহূর্তে বাঘাইহাট বাজারে কোমর সমান পানি আছে। তাই সাজেক সড়কে কোনো যানবাহন চলছে না, ফলে গতকাল যে পর্যটকরা সাজেকে এসেছিলেন তারা ফিরতে পারেননি। খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি।
সাজেক মেঘপুঞ্জি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক পুষ্প চাকমা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ সাজেকে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে খুব বেশি পর্যটক সাজেকে আসেননি। এই মুহূর্তে ৬ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন। আজ এবং আগামীকাল যাদের অগ্রিম বুকিং ছিল সেগুলো আমরা রিফান্ড করে দিচ্ছি। বৃষ্টির কারণে পর্যটকরা বাইরে বেড়াতে পারছেন না। সবাই রিসোর্টের কটেজেই অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, টানাবৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৬ শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে। তবে পানি নামতে শুরু করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
![পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/pahar.jpg)
খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন জানান, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।
কাফি