আইন-আদালত
আনার হত্যা: ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর ৬ দিনের রিমান্ডে
ঝিনাইদহ-৪ আসানের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার ফয়সাল আলী ও মোস্তাফিজুর রহমানের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার মামলার পলাতক এ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। এদিন দুপুর থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে ডরিন উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো’।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।
এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে, এজাহারে উল্লেখ করেন ডরিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে টোল না নেওয়ার নির্দেশ
এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে, গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, ফেরি ও রোডে চলাচলের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে টোল আদায় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচলে টোল নেওয়া কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (০১ জুলাই) এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। গত ৭ মে জনস্বার্থে রিটটি করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট
দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিন ধার্য করেছেন।
রিটকারি আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসেব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আগামীকাল এই রিটের শুনানি হবে।
এর আগে, গত ২৩ জুন সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পদের হিসাব দাখিল করে থাকেন। পরে সময়ে সময়ে তারা সেটা জমাও দেন।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব নেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া এবং তা নিয়মিত হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান মতিউরের স্ত্রী
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৭ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৪ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
ওইদিন দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন আবেদনে উল্লেখ করেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
সূত্রে জানা যায় যে, মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আবশ্যক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বেনজীরের চার ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কেনা গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু সেগুলোর চাবি বেনজীরের কাছে থাকায় সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। ফ্ল্যাটগুলোতে তালা খুলে প্রবেশের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে, ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশের জন্য গেলেও চাবি না থাকায় দেখভালে নিয়োজিত দুদক কর্মকর্তা ফিরে আসেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দুদকের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট) সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলোতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিনা বাধায় ফ্ল্যাটে রিসিভারের প্রবেশ, মালামালের ইনভেন্টরি ও স্পেসের পরিমাপপূর্বক ভাড়া নির্ধারণ করার বিষয়ে সদয় আদেশ/নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ফ্ল্যাটে প্রবেশে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেন। তার উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করবেন চারটি ফ্ল্যাটের দেখভালে নিয়োজিত থাকা দুদক কর্মকর্তা।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে ক্রয়কৃত গুলশান-১ এ অবস্থিত রাংকন আইকোন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাটের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের পরিচালককে (সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট) রিসিভার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ আদেশ পাওয়ার পর পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা) একটি টিমসহ গত ১৩ জুন সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটগুলোতে পরিদর্শনে যান।
এ ভবনের নীচতলায় রিসেপশনিস্ট মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফ্ল্যাটগুলোতে বসবাস করেন না। ভবনের ম্যানেজার জসিমকে ভবনে পাওয়া যায়নি। পরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরিদর্শনকালে আরও জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ভবনের ১৩ ও ১৪ তলায় ডুপ্লেক্স আকারে নয় হাজার বর্গফুটের অধিক স্পেস নিয়ে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলোর চাবি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে রয়েছে। তবে, বর্তমানে তিনি এ ভবনে বসবাস করেন না এবং কোথায় গেছেন তা কেউ বলতে পারেন না বলে রিসেপশনিস্ট জামান।
সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে যেসব সার্ভিস চার্জ, ইলেকট্রিসিটি বিল, পানি ও গ্যাস বিলসহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে আর্থিক খরচের বিষয়াদি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া প্রদান করতে হলে সেগুলো খুলতে হবে এবং এর বাণিজ্যিক/আবাসিক ভাড়ার হার নিরূপণ করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করা প্রয়োজন।
এছাড়া, সেসব ফ্ল্যাট/ফ্ল্যাটগুলোর অভ্যন্তরে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্রের একটি তালিকা, ইনভেন্ট্রি করার জন্য একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এনবিআর সচিব ফয়সালসহ ১৪ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য মোস্তাফিজ রাজস্বের কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধে তাদের ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।
পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ ও স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালীন জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন হতে অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা জরুরি।