জাতীয়
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য পরিকল্পনা হতে হবে বাস্তবসম্মত
![স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য পরিকল্পনা হতে হবে বাস্তবসম্মত আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/a-63.jpg)
স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য প্রণীত নীতি-কৌশল এবং সংশ্লিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা কার্যক্রমভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নীতিনির্ধারকরা একথা বলেন।
বুধবার (২৬ জুন) ‘হাই লেভেল ডায়ালগ অন স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি’ শীর্ষক সংলাপে তারা এই মন্তব্য করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেটি যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নীতি নির্ধারক ও অংশীজনরা বলেন, স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজির খসড়াটি যথেষ্ট তথ্যবহুল ও মানসম্মত হয়েছে। তবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে এই কৌশলপত্রে অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি,অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি, শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকা প্রয়োজন।
কর্মশালায় স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে উপস্থাপনা প্রদান করেন এসটিএস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক ড. এম এ রাজ্জাক।
আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদ, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদিরসহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের সকল মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হয়েছে। ফলে, পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় শেষে আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের আশিক
![গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের আশিক আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ashiq-guinness-world-records-ashik.jpg)
বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে উড়ন্ত বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার প্রচেষ্টায় এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠল আশিক চৌধুরীর। গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বিমান থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা চালান তিনি।
সোমবার (১ জুলাই) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের ওয়েবসাইটে আশিকের তথ্য হালনাগাদ করেছে। এর আগে গিনেসের ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ ক্যাটাগরিতে রেকর্ডটি ছিল ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার।
এ ক্যাটারিতে ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার রেকর্ড ছিল ১১ হাজার ২৫৬ মিটার বা ৩৬ হাজার ৯২৯ ফুট ১৩ ইঞ্চি। আশিক চৌধুরী সেটা ভেঙেছেন ১১ হাজার ৩৬৮ মিটার বা ৩৭ হাজার ২৯৬ ফুট ৫৮ ইঞ্চি পর্যন্ত পতাকা নিয়ে লাফিয়ে।
‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ নামে গিনেসের যে আরেক রেকর্ডের জন্য আশিক নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন, সেটিও বর্তমানে ভারতের জিতিনের দখলে।
আশিক চৌধুরীর রেকর্ড গড়ার উদ্যোগের নাম ‘দ্য লার্জেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন ইন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। আশিক রেকর্ড গড়তে প্রায় ৭ বর্গফুট আকারের পতাকা নিয়ে লাফ দেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের তথ্য পেয়েই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম, দুটি গিনেস রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছি। আজ গিনেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে ই-মেইল করেছে। রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ’
আশিক আরও বলেন, ‘এই রেকর্ডের জন্য গত সপ্তাহে আবেদন করেছিলাম। দুই-তিন দিন পর আরেকটি (লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল) রেকর্ডের জন্য আবেদন করি। হয়তো আগামী সপ্তাহে সে রেকর্ড নিয়েও গিনেসের আপডেট জেনে যাব। তবে আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এ রেকর্ডই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি। ’
আশিক চৌধুরী সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের তিনি সহযোগী পরিচালক। কাজের ফাঁকে থাই স্কাই অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির অধীন স্কাইডাইভিংয়ের ওপর দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নেন। গত বছর অর্জন করেন স্কাইডাইভারের লাইসেন্স।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিনদিনের সফরে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
![তিনদিনের সফরে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/president-2.jpg)
তিনদিনের সফরে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ৮-১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছেন।
জানা যায়, ৮ জুলাই সকালে হেলিকপ্টারযোগে রাঙ্গামাটি যাবেন রাষ্ট্রপতি। পরে আরণ্যক হলিডে রিসোর্টে রাত্রিযাপন করবেন। রাঙ্গামাটি অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি পাহাড়িদের কোমর তাঁতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মার্কেট পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
৯ জুলাই হাউজবোটে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করে কাপ্তাই উপজেলায় যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শ করবেন। পরে নয়নাভিরার আসামবস্তি সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটিতে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি। ১০ জুলাই সকালে রাঙ্গামাটি ত্যাগ করবেন তিনি।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুলাই) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস
![প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/tazul-islam-parlament-sonsod.jpg)
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (সংশোধন) বিল–২০২৪’ পাস হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ১৩ গরুর সন্ধান পেল দুদক
![সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ১৩ গরুর সন্ধান পেল দুদক আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sadik-agro.jpg)
উচ্চবংশীয় গরু ও দেশের সর্বোচ্চ দামের ছাগলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা সাদিক এগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ১৩টি গরুর সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকার ফার্মে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সাদিক এগ্রো ওই ফার্মের একটি ঘরে পরিকল্পিতভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগলকে। এ ছাড়াও ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েকশ হাঁস-মুরগি ফার্মে দেখা যায়।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমরা খবর পাই সাদিক এগ্রোতে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আছে। এরপর অভিযান চালিয়ে এই ফার্মের একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরে কাপড়ে আচ্ছাদনের ভেতরে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি দেখা গেছে। সাদিক এগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা আমরা জব্দ করেছি। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে দেশে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক এগ্রো। সেসময় গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে না পেরে তিনটি জাল নথি জামা দিয়েছিল সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। এ রকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তেল আমদানিতে সৌদির কাছে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ
![তেল আমদানিতে সৌদির কাছে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/soudi.jpg)
দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি আরব থেকে বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশটি থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১ জুলাই) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বিশেষ করে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে গাজাতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাফি