ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরভাতা ৬ মাসে দেয়া সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
![এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরভাতা ৬ মাসে দেয়া সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/education-minister-1.jpg)
অবসরের ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবসর ভাতা দেয়া সম্ভব নয় বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ সংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অনুকূলে ৩০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এখন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ সব শিক্ষকের অবসর গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে অবসরভাতা দেয়া সম্ভব নয়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর আরেক প্রশ্নে মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে ৮ হাজার ৩১৪টি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত মাদ্রাসার সংখ্যা ১৬ হাজার ১৭৯টি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সংখ্যা ৬ হাজার ৮৮৯টি, দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার সংখ্যা ৯ হাজার ২৯০টি, এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসা ৮ হাজার ২২৯টি, এমপিওভুক্ত আলিম মাদ্রাসা ৮৫টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির আভাস, পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
![এইচএসসির দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির আভাস, পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/hsc.jpg)
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে কেন্দ্রে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিতেও পারেননি। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয়পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে হবে আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে ইংরেজি-২ পরীক্ষা নেয়া হবে। সবগুলো পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে। ঠিক এ সময়ে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই ভোগান্তি এড়াতে পরীক্ষার্থীদের সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে বলেছেন পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, এখন বর্ষা মৌসুম। হঠাৎ বৃষ্টি নামতে পারে। আগামী তিনদিন ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। যদিও এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে ওই সময়ে বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। খেয়াল করলে দেখবেন, আজকের দিনটাতে সকাল বেলা মেঘ ছিল। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। এরপর রোদ উঠেছে, আবার বৃষ্টি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামীকালও (মঙ্গলবার) সকালে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সোমবার রাতে জানান, যেহেতু বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তাই পরীক্ষার্থীদের সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া উচিত হবে। তারপরও কেউ যদি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছে, তাকে সময় সমন্বয় করে পুরো সময়ে পরীক্ষা দিতে সুযোগ দেওয়া হবে। সেই নির্দেশনা আমরা দিয়েছি।
এদিকে কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাতের আভাস থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। তাতে প্রয়োজনে দেরিতে পরীক্ষা শুরু করে সময় আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সমন্ব করতে বলা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি: মার্কিন দূতাবাস
![ঢাবির সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি: মার্কিন দূতাবাস আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/usa-embassy1.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে যৌথভাবে অগণিত শিক্ষার্থীকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সম্প্রদায়ের বিস্তৃতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ফেসবুক বার্তায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়।
দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ওই বার্তায় বলা হয়, ১০৪তম জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুভেচ্ছা। উদ্ভাবন, শিক্ষা ও সাফল্য অর্জনে অনেক বছরের জন্য ঢাবির সঙ্গে রয়েছি।
ঢাবির অসাধারণ এই মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে ‘রোমাঞ্চিত’ জানিয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি। এটি একটি অসামান্য প্রতিষ্ঠান, যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের আলোকবর্তিকা এবং এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অগ্রগতির স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের ২৫ ফুলব্রাইটকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শতাধিক এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই রয়েছে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আমরা একটি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ রাইটিং সেন্টার তৈরি করতে কাজ করেছি এবং বক্তা ও পারফর্মারদের ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে প্রখ্যাত বাংলাদেশি আমেরিকান শিল্পী থেকে শুরু করে মার্কিন বিমান বাহিনীর মিউজিশিয়ানরাও রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মাদ্রাসা-কারিগরিতে আরও ২ বছর থাকছে সৃজনশীল পদ্ধতি
![মাদ্রাসা-কারিগরিতে আরও ২ বছর থাকছে সৃজনশীল পদ্ধতি আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/madrasah1.jpg)
স্কুল-কলেজে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলেও কারিগরি ও মাদ্রাসায় সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে আরও দুই বছর লাগবে। কারণ বিশেষায়িত ১০টি বিষয়ে আরও দুই বছর পুরোনো সৃজনশীল পদ্ধতিতেই পাবলিক পরীক্ষা হবে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এটি চূড়ান্ত হয়েছে।
সভায় উপস্থিতি ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর সময়ে মাদ্রাসার পাঁচটি বিশেষায়িত বিষয়ের পাঠ্যবই রচিত হয়নি। সে কারণে এবারের পরীক্ষা ধরা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) আমাদের জানিয়েছিল, তাদের আরও দুই বছর সময় লাগবে। যদিও মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিশেষায়িত বিষয়গুলোকে অক্ষুণ্ন রাখতে সুপারিশ করেছিল। তবে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তো পরিবর্তন আসবেই।
জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন পাবলিক পরীক্ষায় ৫টি ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন পাবলিক পরীক্ষায় ৫টি বিশেষায়িত বিষয়ের ওপর পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে অন্য সব বিষয়ের পাঠ্যবই রচিত হলেও এসব বিষয়ের বই এখনো লেখা হয়নি। সে কারণে এসব বিষয়ে আরও দুই বছর সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সর্বাত্মক কর্মবিরতি নিয়ে যা বললো ইবি শিক্ষক সমিতি
![সর্বাত্মক কর্মবিরতি নিয়ে যা বললো ইবি শিক্ষক সমিতি আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/received_11687183244152.jpg)
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও হলের প্রভোস্টবৃন্দ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অনেক উচ্চপদস্থ সচিব, মঞ্জুরী কমিশনসহ আমাদের দাবির বিষয়ে অনেকে একাত্মতা পোষণ করেছেন। তদুপরি কে বা কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমাদের বুঝে আসে না। প্রত্যয় স্কিম চালু থাকলে আগামীতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। এছাড়া, একটি অশুভ শক্তি সবসময় সরকারের সাথে শিক্ষকদের মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড় করিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের এই দাবী সরকারবিরোধী কোন দাবী নয়, এটা শিক্ষক সমাজের দাবী।
এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা শুরুতেই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাইনি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আগেই এর সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু কোন সুরাহা না পেয়ে আজকের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজকে প্রথম দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি আমলে নিয়ে খুব দ্রুত এর সমাধান দিবেন।
শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে বলেন, আমরা পরবর্তীতে অতিরিক্ত খাটুনি দিয়ে হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ। তবে আমরা আশাকরি সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধান করবে এবং শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকের এই আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। জাতির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আজ আমাদের এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ যদি আন্দোলনে সাথে থাকে, তাইলে আমাদের এই আন্দোলন নস্যাৎ করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের কোন কুচক্রী মহলের নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন
![নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/NCTB-1-1.jpg)
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এখন থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। তাছাড়া দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি) হবে, তাতেও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এতে কিছু সংশোধনী আনার পরামর্শ দিয়েছে কমিটির সদস্যরা। সংশোধনীগুলো যুক্ত হলেই তাতে সই করবেন এনসিসিসির সদস্যরা।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা যেভাবে প্রস্তাব করেছিলাম, আগে যা যা ছিল, সেভাবেই থাকছে। ছোটোখাটো কিছু সংশোধনীসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সভায় প্রস্তাবিত মূল্যায়ন কাঠামো, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে। এসএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণের বিষয়টিও থাকছে।
এর আগে গত মে মাসে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। সেটিই আজ চূড়ান্ত হয়েছে।
তারও আগে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি কার্যক্রমভিত্তিক অর্থাৎ হাতে-কলমে মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছিল। এরপর তা থেকে কিছুটা পরিবর্তন এনে লিখিত অংশের ওয়েটেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লিখিত ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন মিলিয়ে সময়টি পাঁচ ঘণ্টা রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, সেটির নাম এখনকার মতো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা রাখা হয়েছে। এ পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া প্রণয়ন করে এনসিটিবি। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও উপস্থাপন করা হয়। পরে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে নতুন কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সভায় তা আবারও সংশোধন করা হয়। আনুষঙ্গিক কাজ শেষে এনসিটিবির বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপর সেটি এনসিসিসির সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
কাফি