জাতীয়
ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
![ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/parlament-PM.jpg)
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব সব বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয় করা বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডলফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকোভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল (এমআরএপি), আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
শেখ হাসিনা জানান, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নৌ-শক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।
একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিক্যাল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ যাবৎকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০ এবং এফ-৭ ইএ-১ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ জে এবং কে-৮ বিমান, মি-১৭১ হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হয়েছে। এ সব আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে র্যাডার, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট এবং সিমুলেটর, লং ও শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, হেলিকপ্টারে নাইট ভিশন সিস্টেম স্থাপন, মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। যা সার্বিকভাবে বাহিনীর মান উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতীয়মান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক
![নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ও নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) সুমন মেহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈঠকের শুরুতে জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্তম্ভ স্থাপন করায় নাগাসাকির মেয়রের দেওয়া সার্টিফিকট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র হ ম মুক্তাদির। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যত্ন-স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
![যত্ন-স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Pm-11.jpg)
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
রবিবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
এরও আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির
![রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/DSCC.jpg)
রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি করল প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত হস্তান্তরিত সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেখা যায় যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর হতে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এসময় উৎফুল্ল মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোন ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলাম তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম, গাফিলতি রোধ করার মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ও সবার কর্মতৎপরতায় এবার আমরা বিগত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ ও কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব। ঢাকাবাসীকে আরও বৃহৎ পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের যথাক্রমে রাজস্ব আদায় ছিল ৫১৩.৯৬ কোটি, ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৬ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান
![সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sadek-DUDOK.jpg)
সাদেক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথি যাচাই-বাছাই করে এবং বেশ কিছু নথির ফটোকপি নিয়ে যান।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১৮টি ব্রাহ্মা জাতের গরু জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে সেই গরুগুলো সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হস্থান্তর করা হয়। সেই গরুগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে নিলামের মাধ্যমে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাদেক অ্যাগ্রোতে ব্রাহ্মা জাতের গরু পাওয়া যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রিত ব্রাহ্মা জাতের গরুগুলোকে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে সাদেক অ্যাগ্রো কিনে নেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ
![রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/a.jpg)
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত আলীকি কৌতসোমিতোপাওলৌ, লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডায়ানা মিকিভিসিইয়েন ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূত লিওনার্দো মেনজেজি রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। তুলনামূলক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি এবং আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস বাণিজ্যিক সুবিধা পায়, সেই বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি বাড়াতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ সব ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।