খেলাধুলা
সেমিতে যাওয়ার সুযোগের ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে সেমিতে যেতে হলে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো। সেটা তো দূরের কথা ম্যাচই জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান। তাতে সুপার এইট থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার কিংস্টনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ম্যাচের মাঝে বৃষ্টি হানা দিলে ডিএলএসে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রানে। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৫ বলে ১০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।
পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও ফিরিয়েছেন নাভিন। চারে নেমে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একাদশে ফেরা সৌম্য ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল খেলে করেছেন ১০ রান।
তাওহিদ হৃদয় উইকেটে এসে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।
মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে আসেন তখনও বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ বাস্তব ছিল। ১৯ বলে যখন ৪৩ রান দরকার তখন দশম ওভারে ৫ বল ডট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এতেই সেমির স্বপ্ন ম্লান হয় টাইগারদের। পরের ওভারে রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৯ বল খেলে ৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই রিশাদ হোসেনকেও ফেরান রশিদ।
সেমির সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এক প্রান্তে লিটন দাস দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তাতে কোনোরকমে একশ পেরিয়ে অলআউট হয় টাইগাররা। লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রান করে।
এর আগে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে দুই পেসার তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ শুরুতে ভালো সুইং পেয়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান কোনো উইকেট হারায়নি। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেছেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
ইনিংসের ৯ম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন রিশাদ হোসেন। আর নিজেদের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এই লেগ স্পিনার। ১৮ রান করে ইব্রাহিম ফেরায় ভাঙে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়ার আগে ১২ বলে ১০ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
ধীরগতির ব্যাটিং করা গুরবাজ শেষ পর্যন্ত সাজ ঘরে ফেরেন রানের গতি বাড়াতে গিয়ে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারের চতুর্থ বলে গুলবাদিন নাইবকেও ফিরিয়েছেন রিশাদ।
এরপর মোহাম্মদ নবি-করিম জানাতরা চেষ্টা করেও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শেষ দিকে উইকেটে এসে ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে আফগানদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন রশিদ খান। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। যদিও ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সেরা বোলার রিশাদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
হার্দিকদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিবে বিসিসিআই
বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপির পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে জয় শাহ লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ১২৫ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।’
এছাড়া বিবৃতি দিয়ে জয় শাহ রোহিত শর্মা ও দলের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের প্রশংসা করেছেন, ‘রোহিত শর্মার অসাধারণ নেতৃত্বে এই দল দারুণ সংকল্প ও স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছে।’
তাদের এই জয় কোটি ভারতীয়দের জন্য উৎসাহের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘দলটি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে এবং সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে জবাব দিয়েছে। বিশ্বসেরাদের কাতারে নাম তুলেছে। এমন অর্জনে ভারতীয়রা গর্বিত হয়েছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেল সাকিবসহ ৭ ক্রিকেটার
ভারতের জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শেষ হয়েছে গতকাল রাতেই। তবে, নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল সুপার এইট থেকে বাদ পড়ায় টাইগারদের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল আরও কয়েকদিন আগেই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপের টানা খেলার ধকল শেষে বর্তমানে বিশ্রামে টাইগাররা। তবে সব টাইগার ক্রিকেটার এখনই বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩টি বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। সেখানে খেলার জন্য বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত ক্রিকেটারের এনওসির মেয়াদ রয়েছে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। ওই মাসেই পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর রয়েছে, যেখানে শান্ত ও সাকিবদের অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে জানান, ‘অনেকে গ্লোবাল (কানাডা) টি-টোয়েন্টি খেলবে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি এবং শ্রীলঙ্কার ফ্রাঞ্চাইজি লিগে (এলপিএল) খেলবে চারজন। এনওসি পাওয়া ক্রিকেটারদের ১০ আগস্টের আগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, আমেরিকান মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) এবং কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। যেখানে সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন, যা শুরু হবে ৫ জুলাই।
মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং তাওহীদ হৃদয় ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। মোস্তাফিজ ও হৃদয় ডাম্বুলা সিক্সার্স এবং তাসকিন কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলবেন।
এ ছাড়া ২৫ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। রিশাদ হোসেন টরোন্টো ন্যাশনালস এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের হয়ে খেলবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবশেষে ভারতের বিশ্বকাপ জয়
মহেন্দ্র সিং ধোনি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নুয়ান কুলাসেকেরার বলে ছয় হাঁকাচ্ছেন, এটাই গত ১৩ বছর ধরে ভারতের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ছিল। একটা বিশ্বকাপের জন্য এরপর থেকে হন্যে হয়ে ঘুরেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আসেনি। সাতমাস আগেই নিজেদের মাটিতে হেরেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল।
সেই আক্ষেপ মিটল নিজ থেকে বহুদূরের মাটিতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোজের কড়া রোদের নিচে আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ১৭ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ম্যান ইন ব্লুরা। সেটা দিয়েই শিরোপার পথে নেমেছিল ধোনির ভারত। লম্বা অপেক্ষা শেষে আবারও সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই শিরোপাখরা ঘুচালো দলটা।
বার্বাডোজে উৎসবের মঞ্চ আগেই সাজিয়ে রেখেছিল ভারত। ১৭৬ রানের শক্ত সংগ্রহ তারা দাঁড় করায় ফাইনালের মঞ্চে। বল হাতে শুরুটাও ছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। মাঝে কুইন্টন ডি কক আর হেনরিখ ক্লাসেন দাঁড়ালেন দেয়াল হয়ে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টাও ছিল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে যে লেগে আছে চোকার্স তকমা। ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণটাই আর মেলানো হয়নি তাদের। আর্শদ্বীপ সিং আর জাসপ্রিত বুমরাহ একের পর এক ডট ডেলিভারিতে চাপ বাড়িয়েছেন। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে জয় হলো ভারতেরই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি লাইনে মিলারকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরালেন সুর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। ৭ রানের জয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৭৭ রান
এবারের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি এসেছিলেন আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মকে সঙ্গে নিয়ে। ওপেনার পজিশনটাও তাকে দেয়া হয়েছিলো সে কারণেই। কিন্তু আসরে কোহলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে অর্থে। ফাইনালের দিনে দরকার ছিল নিজেকে ফেরানোর। কোহলি ঠিকই নিজেকে ফিরে পেলেন। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কোহলি আবারও বোঝালেন কেন তিনিই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে নিজের দলকে ঠিকই নিয়ে গিয়েছেন বড় স্কোরের কাছে।
ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ফিফটির সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ আর শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রান ভারতকে দিলো জয়ের শক্ত পুঁজি।
তবে বড় স্কোরের জন্য কিছুটা বাড়তি প্রশংসা পাবেন অক্ষর প্যাটেল। এবারের আসরে তিনি ছিলেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।
শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।
বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।
ফিফটির পরেই কোহলি হলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। ইনিংসের একটা পর্যায়ে টানা ৩৭ বল বাউন্ডারির দেখা পাননি কোহলি। ৪৮ বলে আসে তার পঞ্চাশ রান। এরপরেই খেললেন নিজের চেনা রূপে। ৫০ থেকে ৭৬ যেতে খেললেন মোটে ৮ বল। আউটও হয়েছিলেন সেই বড় শট খেলার তাগিদ থেকে। মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ইনিংস।
কোহলির উইকেটের পর খুব একটা বাকি ছিল না ইনিংসের। ভারতও সেটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি। ভারতের ইনিংসের শেষ ১৩ বলে আসলো ১৩ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাফুফের বাজেট ঘাটতি ২২ কোটি টাকা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চলতি বছরের বাজেটে সব কর্মকাণ্ডের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকার। আজ শনিবার বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বা কংগ্রেসে নতুন বাজেটটি অনুমোদিত হয়েছে।
এদিকে বাফুফের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী ঘাটতি পূরণের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘাটতি পূরণের জন্য ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাইবেন।
সভা শেষে বাজেট নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা এ বছর ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছি। কংগ্রেস আমাদের বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। তবে আমাদের নিজেদের যে সম্ভাব্য আয় সেটি ৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আমাদের ঘাটতি থাকে প্রায় ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেটা আমরা বাফুফেতে যারা আছি কাজী সালাউদ্দিন (বাফুফে প্রধান) সহ আমরা সকলে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। এছাড়া আমরা যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় থেকে সাহায্য চাইবো। এজন্য আমরা একটা চিঠি দেবো। আমাদের যে ঘাটতি বাজেট আছে সেটা আমরা পূরণ করবো। ‘
বছরের প্রায় ছয় মাস পার হয়ে গেছে, ইতোমধ্যে কতটা বাজেট ঘাটতি পূরণ হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকটাই পেরেছি। বাজেট সব সময় ঘাটতি হয়। বাজেটে যদি আয় আর খরচ সমান হয়, তাহলে আপনারা বলবেন আমাদের আর কন্ট্রিবিউশন কী। বাজেটে ঘাটতি থাকবেই, আমরা পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে নেবো। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি সেখান থেকে আমরা কিছু সাপোর্ট পাবো এবং এভাবে আমরা আমাদের ঘাটতি পূরণ করব।
এমআই