পুঁজিবাজার
কর কমানোসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএমবিএর ৮ প্রস্তাব
![কর কমানোসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএমবিএর ৮ প্রস্তাব ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/BMBA-2.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহকে তাদের পরিচালন আয়ের ওপর ধার্যকৃত কর কমানোসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ৮ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। কর হ্রাস করা হলে পুঁজিবাজার হতে অর্থায়নে মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহ অধিকতর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
সোমবার (২৪ জুন) বিএমবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়। প্রথমবারের মত প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করায় অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ্য থেকে স্বাগত জানানো হয়। অর্থমন্ত্রী ৬.৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করার লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ উপস্থাপন করেছেন। আলোচ্য বাজেট অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে উৎসাহ প্রদান এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার রূপরেখা প্রদান করেছে।
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন এবং কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা সংগ্রহে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে জাতীয় বাজেটের ঘাটতির অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএমবিএ। এক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ অন্তর্ভুক্তরা আহ্বান জানিয়েছে।
১. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণের অধিকাংশ ব্যাংকিং উৎস হতে ধারস্বরূপ সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও অ-ব্যাংকিং উৎস হতে ধার করার মাধ্যমেও বাজেট ঘাটতি পূরণের একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অর্থ সংস্থানের দীর্ঘমেয়াদি উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার হতে অর্থায়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পুঁজিবাজারের প্রাইমারি মার্কেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বন্ড/সুকুক/ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ইস্যুর মাধ্যমে বাজেটে অর্থায়নের উদ্যোগে নেওয়া যেতে পারে।
২. জাতীয় বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন পুঁজিবাজারের মাধ্যমে করতে হলে এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে মার্চেন্ট ব্যাংক সমূহ। অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহ স্টক, বন্ড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পুঁজিবাজার হতে অর্থায়ন ও পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিকরণে কাজ করে। এসব কাজের আওতা বৃদ্ধি পেলে কর আয় অনেক বৃদ্ধি পাবে। মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহকে তাদের পরিচালন আয়ের ৩৭.৫ শতাংশ কর দিতে হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের কর দিতে হয় ২৭.৫ শতাংশ। এমতাবস্থায় মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহের দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য প্রযোজ্য করের হার ২৭.৫ শতাংশ এ আনয়নে অতি প্রয়োজন। এরুপ কর হ্রাস করা হলে পুঁজিবাজার হতে অর্থায়নে মার্চেন্ট ব্যাংকসমূহ অধিকতর ভূমিকা রাখতে পারবে এবং তাদের কার্যক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে যা মূলত বাড়তি কর সংগ্রহের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
৩. পুঁজিবাজারের মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাইমারি মার্কেট। বিভিন্ন উদ্যোক্তাগণ, এসএমই কোম্পানি, স্টার্ট-আপ কোম্পানি এবং অন্যান্য অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজার হতে পুঁজি সংগ্রহ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য প্রাইমারি মার্কেটকে অধিকতর প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। এতদলক্ষ্যে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কমপ্লায়েন্স এবং আইনকানুন বিনিয়োগবান্ধব ও সহজীকরণ এবং উপদেষ্টা সহায়তা প্রদানের মতো বিভিন্ন কার্যকরী পলিসি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
৪. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ ও অ-তালিকাভূক্ত কোম্পানিসমূহের মধ্যকার বিদ্যমান কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ যাহা অতি স্বল্প বিধায় কোম্পানিসমূহের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ কম। জাতীয় বাজেটে তালিকাভূক্ত ও অ-তালিকাভূক্ত কোম্পানিসমূহের মধ্যে কর হারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা হলে কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আকৃষ্ট হবে। এছাড়াও অ-তালিকাভূক্ত বা নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিসমূহকে নির্দিষ্ট সময়ান্তে তালিকাভূক্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।
৫. দেশের বৃহৎ ও স্বনামধন্য কোম্পানিসমূহ, বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি ও সরকারি লাভজনক কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পলিসি সহায়তার পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ১৫ শতাংশ এবং ভ্যাট ছাড় ইত্যাদি প্রদান করা যেতে পারে। এরুপ সুযোগ-সুবিধা অধিক সংখ্যক ভালো ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে। এভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য পত্রকোষে বৈচিত্র্যকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে, বাজারের গভীরতা ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধি হবে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি তাদের স্টকগুলিকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলবে।
৬. পুঁজিবাজার হতে ৫০ লক্ষ টাকার ওপর ক্যাপিটাল গেইনের ক্ষেত্রে কর ধার্যকরণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করে ৫০ লক্ষ টাকার উপরে হতে বিভিন্ন স্ল্যাব ভিত্তিক কর ধার্য করা যেতে পারে এবং এই ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ফাইলান ট্যাক্স হিসেবে বিনিয়োগকারীর ট্যাক্স ফাইলে বিবেচিত হবে। এছাড়াও পুঁজিবাজার হতে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কর ব্যবস্থার উন্নতকরণ এবং পরিবর্ধন করা যেতে পারে।
৭. পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করায় উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য কর প্রণোদনা, সহজীকৃত বিনিয়োগ পদ্ধতি এবং পলিসি সহায়তার মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে।
৮. পুঁজিবাজারের উন্নয়নকল্পে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন কার্যকরী পলিসি সহায়তা প্রদান আবশ্যক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন কার্যকরি পলিসি সহায়তা এবং সরকারি বিনিয়োগকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিবিকে প্রাইমারি মার্কেট সংক্রান্ত কার্যক্রম পুনরায় শুরুকরণসহ বিভিন্ন কার্যকরি পলিসি সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।
বিএমবিএ মনে করে, উপর্যুক্ত পদক্ষেপসমূহ পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। এসকল উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ও বৈচিত্রপূর্ণ পুঁজিবাজার গড়ে তোলা সম্ভবপর হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা
![ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/dse-share-market-capital1.jpg)
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন থেকে ৪ জুলাই) গড় লেনদেন ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি এ সময় ডিএসইর মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডিএসইর সবকটি সূচক।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সবকটি সূচকও বেড়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২৯টির, কমেছে ৪০টির এবং ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার থেকে বান্ধবীকেও বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর
![শেয়ারবাজার থেকে বান্ধবীকেও বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Motiur-Arzina1.jpg)
ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান শেয়ারবাজার থেকে নানান কারসাজিতে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে ব্যবহার করতেন আত্মীয় স্বজনদের ১৫টি বিও হিসাব। মতিউরের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত আরেক এনবিআর কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের বিও হিসাব পরিচালনা করে পুঁজিবাজার থেকে বড় অঙ্কের অর্থ তুলে দিতেন এই ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা।
জানা যায়, শেয়ারবাজার থেকে নানান কায়দা এবং কারসাজির পথ অবলম্বন করে বান্ধবীকে বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর। ২০২২ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন মতিউর বান্ধবী আরজিনা। গড়ে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। লাভও করতেন প্রায় দ্বিগুণ। আছে ৩ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ আছে সঞ্চয়পত্রে।
সূত্র বলছে, মতিউর রহমানের সাথে একই ব্রোকারেজ হাউসে একইরকম বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং অন্যান্য কারসাজির মাধ্যমে বান্ধবীকে আরজিনাকে পুঁজিবাজার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বানিয়েছেন আলোচিত মতিউর রহমান। তবে শেয়ারবাজারের এমন কারসাজিতে সম্প্রতি মতিউর ও সংশ্লিষ্টদের বিও হিসাব জব্দ করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এদিকে মতিউরের বান্ধবী আরজিনা খাতুনের হুট করে ধনী বনে যাওয়া নিয়ে গত ১০ জুন দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একজন। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানিলন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সাথে যোগসাজস আর দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা খাতুন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরজিনা খাতুনের রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া মাত্র তিন বছরে ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক তিনি। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আরজিনা খাতুন রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব হিসেবে কর্মরত। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তার। থাকেনও সেখানেই। যা কিনেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায়, কিন্তু রেজিস্ট্রেশনসহ খরচ দেখিয়েছেন মাত্র ৬৮ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি কিনতে গিয়ে তার নেয়া ব্যাংক ঋণ স্যাংশন হয় ২০২০ সালে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা মিলে, এর ১ বছর আগেই ফ্ল্যাট কেনা আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। তাও ঋণের টাকার দ্বিগুণ দামে। বাসায় ব্যয়বহুল আসবাবপত্র আর অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন ১ বছরের মধ্যেই।
আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারোয়া ইউনিয়েনর তালুতপারা গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির ৩ বছরের মধ্যে গ্রামের ছন আর টিনের বাড়িটিকে বদলে করেছেন আলীশান এক ভবন।
তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। অনুসন্ধানে সেসব জমির দলিলও পাওয়া গেছে। আরও কোটি খানেক টাকার জমি বন্ধক নেন আরজিনা।
আরজিনা প্রাত্যহিক যে গহনা ব্যবহার করেন, এর বেশিরভাগই হীরার। যার মূল্যমান ১০ লাখ টাকা বলা হয়েছে দুদকে জমা পড়া অভিযোগে। ২০১৮ থেকে ২৩ সালের মধ্যে ৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ড কিনেছেন নগদ টাকায়। যার ২০০ ভরি এক সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে এনেছেন বলে প্রমাণসহ অভিযোগ পড়েছে দুদকের টেবিলে।
আরজিনার এমন ফুলেফেঁপে ধনী হয়ে ওঠা মতিউরের ছত্রছায়ায়। ছাগলকাণ্ডের এই কর্মকর্তা যাদেরকেই ছুঁয়েছেন তাদের বেশীরভাগই সম্পদ বানিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন
![ব্লকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/Block_Market-1910061425-1910061615-2.jpg)
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। তাতে কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার। যার আর্থিক মূল্য ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এদিন ব্যাংকটির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্লকে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ কোটি ৩০ লাখ ও তৃতীয় স্থানে যমুনা অয়েলের ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৪৪ কোটি টাকা
![ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৪৪ কোটি টাকা ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/dse-11.jpg)
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডিএসই থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ২৪৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিলো ২৭৬ কোটি ৬৬ কোটি টাকা।
ডিএসই, সরকারের পক্ষ থেকে, ট্রেক হোল্ডারদের কমিশন এবং শেয়ার বিক্রয়ের উপর যথাক্রমে ০.০৫ শতাংশ এবং ৫.০ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে এবং সেই পরিমাণ সরকারি কোষাগারে জমা করে।
আলোচ্য অর্থবছরে, স্টক এক্সচেঞ্জ বা ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট হোল্ডারস (টিআরইসি) কমিশনের সদস্যদের কাছ থেকে সরকারের কর রাজস্ব আদায় ২০২৩ সালে ১৯২ কোটি ৫ লাখ টাকার তুলনায় ১৫৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
এছাড়া, স্পন্সর-ডিরেক্টর এবং প্লেসমেন্ট হোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে কর রাজস্ব ২০২৪ সালে ৯০ কোটি ৬ লাখ টাকায় বেড়েছে। যা ২০২৩ এ ৮৪ কোটি টাকা থেকে বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
![এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/ab-bank.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। বন্ডটিকে ‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এর আগে বন্ডটি গত ১৩ জুন,২০২৩ থেকে ১২ ডিসেম্বর,২০২৩ পর্যন্ত এবং গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জুন পর্যন্ত সময়ের ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ কুপন পেমেন্ট হারে মুনাফা দিয়েছে। ফলে বন্ডটির ক্যাটাগরি উন্নীত করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (৭ জুলাই) থেকে ক্যাটাগরিটি কার্যকর হবে।
এসএম