লাইফস্টাইল
এই নিয়মগুলো মানলেই ছাড়তে পারবেন ধূমপান
![এই নিয়মগুলো মানলেই ছাড়তে পারবেন ধূমপান টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/smoking.jpg)
চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান ছাড়ার বিষয়টি হল সিদ্ধান্তের। ছাড়তে হলে এখনই ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন। ডাস্টবিনে ফেলুন পকেটে থেকে সিগারেট। কোনও একদিন ধূমপান না করে পার্থক্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। তারপর আস্তে আস্তে ধূমপান না করা দিনের সংখ্যা বাড়ান তাহলেই গড়ে উঠবে অভ্যাস।
আপনার পরিচিত যাদের ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের লক্ষ্য করুন। ধূমপান না করার সিদ্ধান্তের জন্য তাদের স্বাস্থ্যে কী পরিবর্তন এসেছে দেখুন তাও।
ধূমপান ছাড়তে হলে সঙ্গ ছাড়তে হবে আপনার সেই সমস্ত বন্ধুদের যারা ধূমপান করেন। কারণ, না হলে আপনি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরও আবার এতে আসক্ত হতে পারেন।
বিড়ি বা সিগারেট খাওয়ার খুব ইচ্ছা হলে মুখে রাখতে পারেন আদা বা চুইংগাম। একদিনে না হলেও এর ফলে আস্তে আস্তে কমে আসবে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ। দিনের শেষে হিসেব করে দেখুন সিগারেট বা ওই জাতীয় তামাকজাত জিনিসের জন্য আপনার কত খরচ হচ্ছে। তাহলে অনেকটাই সহজ হবে তা ছাড়া।
স্বাস্থ্য চেতনতার বই বা তামাকজাত পণ্য বিরোধী বই পড়ুন। তাহলে এর ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা সাহায্য করবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে। যদি কখনও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা হয় তখন রাস্তায় হাঁটুন। তাহলেই দেখবেন আস্তে আস্তে তার প্রতি টান কমে যাচ্ছে।
একান্তই যদি ধূমপান না করা ছাড়তে পারেন তাহলে যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। তার পরামর্শে আস্তে আস্তে এই মরণনেশা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে অনেকটাই সুবিধা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
লাইফস্টাইল
ড্রাগন ফল খাওয়ার ৯ উপকারিতা
![ড্রাগন ফল খাওয়ার ৯ উপকারিতা টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-dragon.jpg)
দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল। এখন দেশেই চাষ হচ্ছে উপকারী এই ফল। ফলে সর্বত্রই দেখা মিলছে লাল টুকটুকে ড্রাগন ফলের। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। জেনে নিন ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- ড্রাগন ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। ড্রাগন ফলে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং এ, পাশাপাশি পটাসিয়াম। এই যৌগগুলো প্রদাহজনক এবং অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে।
- ড্রাগন ফলকে বলা হয় প্রিবায়োটিক পাওয়ার হাউস। ফলে ফলটি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
- ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অনুযায়ী, ৩.৫-আউন্স ড্রাগন ফলে ৩ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে। ফলে ড্রাগন ফল খেলে ফাইবারের চাহিদা পূরণ করা যায়।
- ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।
- ফাইবার থাকার পাশাপাশি ড্রাগন ফল হাইড্রেশনের একটি উৎস, উভয়ই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজমে সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় উপাদান নেই। ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন ড্রাগন ফল।
- বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
- আয়রনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফল। রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চাইলে তাই প্রতিদিন খাওয়া চাই উপকারী এই ফল।
- শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সঠিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল।
সতর্কতা
ড্রাগন ফলের বীজে বেশ কিছু তেল এবং প্রোটিন থাকে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ড্রাগন ফলে ফ্রুক্টোজ থাকে। এটি ফলের মধ্যে পাওয়া একটি চিনি। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখে
![যেসব ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখে টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/vegetables.jpg)
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা জরুরি। কারণ সুস্থতা থাকলে তখন বাকি সব কাজ সহজ হয়ে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনার খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল রাখবেন। সেখানে প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রাখতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত খাবারও। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বিভিন্ন ভিটামিন যুক্ত খাবার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্থতার জন্য কোন ভিটামিনগুলো খাবেন এবং তা কোন খাবারে পাওয়া যাবে-
ভিটামিন এ
আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন এ। এটি হাড়, ত্বক এবং দাঁত উন্নত করতে বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তাই আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, আম, খেজুর, ব্রকোলি এবং স্যামন ফিশে এই ভিটামিন মিলবে। তাই এ ধরনের খাবার নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন।
ভিটামিন বি
ভিটামিন বি হলো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনের ভেতরে সবচেয়ে উপকারী হলো ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন ডি ৩, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ৭, ভিটামিন বি ৯ এবং ভিটামিন বি ১২। কোন খাবারে ভিটামিন বি পাবেন? মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, পাউরুটি এবং খাসির মাংসে পেয়ে এসব ভিটামিন। ভিটামিন বি বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
ভিটামিন সি
আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে লেবু এবং কমলায় ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়া আঙুর, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ডেউয়া ইত্যাদি ফলেও থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া বিভিন্ন শাক-সবজির মধ্যেও পাবেন ভিটামিন সি।
ভিটামিন ডি
আমাদের হাড় শক্ত করার কাজে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়। এই দুই উপাদান শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আপনি যদি প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদের মধ্যে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। এর ফলে আপনার হাড় ক্ষয় রোধ হবে এবং বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খাবারের মধ্যে দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিমের কুসুম, টুনা মাছ, বাদাম ইত্যাদিতে পেয়ে যাবেন ভিটামিন ডি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
পর্যাপ্ত না ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
![পর্যাপ্ত না ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয় টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/sleep.jpg)
আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম নিয়ে অবহেলা করলে ভুগতে হতে পারে নানা সমস্যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি অন্তত ছয় ঘণ্টারও কম সময় ঘুমান তাহলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এদিকে খেয়াল করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্যাপ্ত না ঘুমালে আপনার কী কী ক্ষতি হতে পারে-
অনিদ্রা
অনিদ্রা মূলত আমাদের অভ্যাসের কারণেই হয়ে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ঘুমে অবহেলা করেন তাহলে ঘুমের সময়সূচি নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর ঠিক সময়ে ঘুম আসতে চাইবে না। তাই প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমও হবে। ফলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
ঘুম পর্যাপ্ত না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি ঘুমে অনিয়ম করেন তাহলে বিষয়টি নিজেই টের পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। এর ফলে দেখা দিতে পারে হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যাও। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে দূর হয় না। অনেকে মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পেছনে কেবল আমাদের খাবারই দায়ী। আসলে তা নয়। এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমও। কারণ ঘুমের অভাব হলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রেও। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা কোনো শখের অসুখ নয়। অনেক বেশি মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা নিয়মিত না ঘুমায় তারা অন্যদের মতো হাসিখুশি কিংবা কর্মক্ষম থাকতে পারে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় বিষণ্ণতা। তখন মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে এবং কাজেও মন বসে না। বিষণ্ণতা কিন্তু শরীরেও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কিডনি সুস্থ রাখতে যা করা জরুরি
![কিডনি সুস্থ রাখতে যা করা জরুরি টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/kidny.jpg)
মানবদেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের দূষিত রক্ত শোধন করা। এছাড়া কিডনি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।
কিডনির রোগ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে কিডনি বিকল, কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন, কিডনি ফেলিওর ইত্যাদি।’
‘যদিও প্রাথমিকভাবে কিডনির রোগ শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। তাই কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তার বরং কীভাবে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।’
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিডনির রোগ প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি। এ বিষয়ে ডা. সামান পরামর্শ দেন-
১. শরীরচর্চার বিকল্প নেই। দৈনিক আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৫ মিনিট জোরে হাঁটলে গড়ে ৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যায়।
২. ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৩. পাশাপাশি ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি বাদ দিলেও হার্ট অ্যাটাকসহ কিডনি রোগের ঝুঁকি কমবে।
৪. খাওয়ার বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
৫. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৮. বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। যারা বাইরে রোদে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
৯. নারীদের শরীরের নিম্নাঙ্গের যত্ন নিতে হবে ও পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে ইউরিন ইনফেকশনের মাধ্যমেও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১০. যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। ৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এজন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব খাবার পিঠে ব্যথা দূর করবে
![যেসব খাবার পিঠে ব্যথা দূর করবে টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/back-pain.jpg)
আমাদের মধ্য থেকে প্রায় প্রত্যেকেই কখনো না কখনো পিঠে ব্যথার মতো সমস্যায় ভুগে থাকি। এটি মূলত আমাদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষই একটানা বসে থাকার কাজ করেন। সেইসঙ্গে খাবারে অনিয়ম এবং অপুষ্টিকর খাবার খাওয়াও একটি বড় কারণ হতে পারে। পিঠে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা। এর পাশাপাশি কিছু খাবারও আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
আপনার যদি মাঝে মাঝেই পিঠে ব্যথা হয় তাহলে সতর্ক হোন। খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নশীল হোন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। বাদাম, চিয়া বীজ এবং মাছের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খান। রান্নার ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের পরিবর্তে সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার
পিঠে ব্যথা দূর করার কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এ ধরনের খাবার খুঁজতে দূরে কোথাও যেতে হবে না। আপনার রান্নাঘরেই এমন অনেক মসলা পাওয়া যাবে যেগুলো পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা কমাতে কার্যকরী। যেমন ধরুন দারুচিনি, গোলমরিচ এবং আদায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন হলুদ। এই মসলা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পরিমিত পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। কারণ এই উপাদানের অভাবে শরীরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবারের তালিকার দিকে নজর দিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। নিয়মিত ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে ব্যথামুক্ত ও সুস্থ থাকা সহজ হবে।
সবুজ শাক-সবজি
উপকারী সব খাবারের মধ্যে সবুজ রঙের শাক-সবজির নাম থাকবে উপরের দিকেই। বাজারে যত ধরনের সবুজ শাক-সবজি পাওয়া যায় তা খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকোলি, বিনস ইত্যাদির মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এসব শাক-সবজিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা ব্যথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।