অর্থনীতি
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার

দেশে রিজার্ভ নিয়ে যখন উৎকণ্ঠা ঠিক সেই সময়ে ডলার আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১৮ মিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। যা বেড়ে ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রিজার্ভের এই বৃদ্ধি আগামী সপ্তাহগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব-পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী গত ১২ জুন রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার পাবে।
আইএমএফ জুনের শেষ সপ্তাহে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, দেশে চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগের মাসগুলোর একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১১ কোটি ৮৬ লাখ, ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ, ৯৫ কোটি ৬ লাখ, ১০০ কোটি ৬৬ লাখ ও ১০০ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার। গত মে মাসে এসেছিল ২২৫ কোটি ডলার যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ধর্মীয় উৎসবগুলোকে সামনে রেখে দেশের অভিবাসী কর্মীরা সাধারণত বেশি অর্থ পাঠান।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাস বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের প্রায় সমান রেমিট্যান্স এসে পড়েছে। আর গত এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে ১৯৬ কোটি ডলার, যা ১০ শতাংশের বেশি। এপ্রিলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছিলেন ২০৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময় অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯৪১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১৯ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগর বছর প্রায় তিনশত কোটি টাকা বেশি এসেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
সদ্য বিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে দেশে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ও ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
কাফি

অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ রবিবার

আগস্ট মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আগামীকাল রবিবার (৩ আগস্ট)। এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে সেদিন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত আগস্ট (২০২৫) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী, এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা রোববার দুপুর ৩টায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) ঢাকার কমিশন কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত ২ জুলাই সবশেষ সমন্বয় করা হয় এলপি গ্যাসের দাম। সে সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আগামী রোববার এলপিজির পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে অটোগ্যাসের দামও। এর আগে গত ২ জুলাই সবশেষ সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতি মাসের শুরুতেই এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির। তাতে আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে।
তিনি বলেন, চীনের ওপর এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আছে ৩০ শতাংশ। শিগগির দেশটির ওপর চূড়ান্ত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যতদূর আভাস মিলছে, তাদের শুল্কহার আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে দিন শেষে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়া অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন শুল্ক কমার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১ আগস্ট) এক লিখিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসার ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো অনুকূলে থাকতে হবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চুক্তির খসড়া বা সার সংক্ষেপ শুধু জেনেছি, বিস্তারিত পাইনি, তবে আশা করি আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল দেশের ও বাণিজ্য স্বার্থ বজায় রেখেই চুক্তি সম্পাদন সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে গত তিন মাস ধরে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। তবে বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক বেশি হলে ব্যবসা কঠিন হয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের পাল্টা শুল্ক ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির।
বাড়তি পাল্টা শুল্কের কারণে সাময়িকভাবে ব্যবসা কমতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার কারণ আগের থেকে পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। এতে তাদের মূলধনে টান পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা যদি বাড়তি অর্থায়নের সংস্থান না করতে পারে তাহলে ক্রয়াদেশ কম দেবে। তাছাড়া, বাড়তি শুল্ক শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের ঘাড়ে গিয়েই পড়বে। শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা চাপে পড়বেন। তাতে পণ্যের বিক্রি কমে যেতে পারে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত এপ্রিলে প্রথম দফায় সব দেশের পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি মার্কিন ক্রেতারা বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চাপে আমাদের সরবরাহকারীদের সেই বাড়তি শুল্কের ভাগ নিতে হয়েছে। আমি আমাদের বিজিএমইএর (বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি) সদস্যদের বার্তা দিতে চাই, বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আর দিন শেষে সেটি মার্কিন ভোক্তাদের ওপরই গিয়ে পড়বে। ফলে এই বিশেষ বার্তা পরিষ্কার থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাল্টা শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ কতগুলো প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি করেছে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। তার মধ্যে গম, তুলা, এলএনজি কেনার মতো স্বল্পমেয়াদি এবং উড়োজাহাজ কেনার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিষয় আছে। মনে রাখতে হবে, এখানে কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা পুনরায় বিপদে পড়তে পারি।
অর্থনীতি
পেঁয়াজ-মুরগি-ডিমের দাম বেড়েছে, স্বস্তি নেই কাঁচাবাজারে

শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরছে অঝোরে। বৃষ্টি হলেই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলো অস্থির হয়ে ওঠে। সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেছে। স্বস্তি নেই সবজির বাজারগুলোতে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর কাপ্তানবাজার, শ্যাওড়াপাড়া বাজার ও কারওয়ানবাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকায় গতকাল ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও ডিমের দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। তবে গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আসিফ বলেন, বৃষ্টি কারণে বাজারে সবজি, মুরগি, মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে। মূলত সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
এদিকে বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই চড়া। বাজারে প্রতিকেজি কচুরমুখী ৩০-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কহি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। আর লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা ও চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়।
এদিকে আলু ও রসুনের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়ে গেছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। বাজারে প্রতিকেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি আদায় গুনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়। এছাড়া ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২১০০-২২০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০-৩২০০ টাকায়।
চড়া অন্যান্য মাছের দামও। প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০ টাকা, কোরাল ৮৫০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩০, কৈ ২০০-২২০ এবং পাবদা ও শিং বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। আর চাষের ট্যাংরা প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, কাঁচকি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও মলা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে ডায়মন্ড, সাগর, মঞ্জুর প্রভৃতি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা ও মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থনীতি
১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হার যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়।
হোয়াইট হাউসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
এর আগে, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর বাংলাদেশের আরোপকৃত শুল্কের হার ৭৪ শতাংশ। এ জন্য বাংলাদেশের ওপর ওই পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়। যা আজ ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছে গত ২৯ জুলাই।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে যার নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ যৌথভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন।
অর্থনীতি
আগস্টের জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ

আগস্ট মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যা কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগস্ট মাসের জন্য জ্বালানি তেলের বিদ্যমান দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে স্বয়ংক্রিয় প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের সরবরাহ তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে নিশ্চিত করা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ডিজেল প্রতি লিটার ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা এবং পেট্রোল ১১৮ টাকায় বিক্রি হবে।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।