জাতীয়
নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ২১ জুন (শুক্রবার) নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট দুপুর ২টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষ্যে ২১-২২ জুন সেখানে অবস্থান করবেন তারা।
বুধবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লীর ফোরকোর্টস্থ রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছবিও তোলা হবে এই সংবর্ধনা পর্বে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজ ঘাটে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
একইদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক উপলক্ষ্যে হায়দ্রাবাদ হাউস গমন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ ও চুক্তি বিনিময় এবং দুই নেতার প্রেস বিবৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজ আয়োজনের কথা রয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার আয়োজনও থাকছে এই পর্বে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সফরের শুরুর দিন ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর। ২২ জুন বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করবেন। উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গমন করবেন। এসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি মিজ দ্রৌপদী মুর্মুর সাঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, দুই দিনের এ সফর শেষে ২২ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়
রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো (আইএসপিআর) এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে শুনতে পেরেছি মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি এবং বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।
জাতীয়
১০ দিনের মধ্যে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেছেন, আজসহ আগামী ১০ দিনের মতো সময় আমাদের হাতে আছে। এর মধ্যেই আমাদের সবগুলো সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১৬তম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। তার জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু একদিনের সংগ্রাম, একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়েই সেটি হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই জায়গায় এসেছি, রাষ্ট্র অর্জন করেছি।
আলী রীয়াজ বলেন, পরবর্তী সময় ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। সেই সংগ্রাম অব্যাহত আছে। তারই এক পর্যায়ে আমরা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের শাসনে নিপতিত হয়েছিলাম। সেখান থেকে সব রকম ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে সব মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই জায়গায় এসেছি।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ, অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান, রক্তপাত এবং হাজারো প্রাণনাশের কথা বিবেচনায় রেখে সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সেখান থেকে পেছানোর কোন উপায় নেই। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাবার কোন উপায় নেই। সেই বিবেচনায় আমরা চাই, আগামী ১০ দিনের মতো সময় আছে। এর মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসতে। হয়তো এক-দুইদিন বিশেষ বিবেচনায় বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আজসহ আমাদের হাতে থাকা ১০ দিনের মধ্যে বাকি বিষয়গুলোতে আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয়। আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
জাতীয়
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। গুলির সামনে বুক পেতে শহীদ হয়েছিলেন তাদের অনেকেই। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয়েছিল।
সেই আত্মত্যাগকে স্মরণে সোমবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দিবসটি পালন হবে। সে জন্য সমন্বিতভাবে কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর ইবনে সিনা হাসপাতালসংলগ্ন রাজপথে অনুষ্ঠান আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরকার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের এই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন উপদেষ্টা, সচিব এবং শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ দিন বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’-এর কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে থাকবে শহীদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, আহতদের অভিজ্ঞতা এবং ২০১৩, ২০২১ ও ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রামাণ্য গল্প।
কবিতা আবৃত্তি, হামদ, নাত ও নাশিদের পাশাপাশি পরিবেশিত হবে দ্রোহের গান। প্রদর্শন হবে দুটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র— ‘ছত্রিশে জুলাই’ ও ‘সাদা জোব্বা, লাল রক্ত’। আরও থাকবে ‘প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী উপস্থাপনা’, ড্রোন শো। আর ক্ষণে ক্ষণে জুলাইয়ের সেইসব জ্বালাময়ী স্লোগানে প্রকম্পিত হবে যাত্রাবাড়ীর রাজপথ।
জাতীয়
ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী, গুরুত্ব পাবে অভিবাসনে

দুই দিনের সফরে আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তার সফরে অভিবাসন ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এটি হবে ইউরোপের কোনো দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম ঢাকা সফর। তিনি ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতালির প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফর নিয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সফরে অভিবাসন ইস্যুতে বড় অগ্রগতি আসতে পারে। এ ছাড়া, ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইতালির ক্ষমতায় আসেন জর্জিয়া মেলোনির সরকার। মে মাসে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে বৈধ ও নিয়মিত অভিবাসন নিয়ে ‘মাইগ্রেশান অ্যান্ড মবিলিটি’ একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, গত মে মাসে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির ঢাকা সফরের সময় উভয়পক্ষ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং রোমের দিক থেকে জর্জিয়ার ঢাকা সফরের বিষয়ে সম্মতি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি সম্মেলনে যোগ দিতে রোম সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন ইতালির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি। ওই সফর ছিল ইতালির কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফর। এখন ইতালির দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসবেন জর্জিয়া মেলোনি।
জাতীয়
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন আরো দুই হাজার বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার জন্য দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। পর্যায়ক্রমে এসব বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সম্প্রতি লিবিয়ার মিসরাতা সফরে এক গণশুনানিতে দেওয়া বক্তব্যে এ তথ্য জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
রোববার (২০ জুলাই) ত্রিপলির বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
দূতাবাস জানায়, রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে সম্প্রতি দূতাবাসের একটি দল লিবিয়ার মিসরাতা সফর করেন। সফরকালে রাষ্ট্রদূত মিসরাতা শহরে কর্মরত বাংলাদেশি পেশাজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি প্রবাসীদের সঙ্গে দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত একটি গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে শতাধিক প্রবাসী তাদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। তিনি জানান, দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ চলছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে আশা করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কারও ই-পাসপোর্ট হারানো বা নষ্ট হলে, দূতাবাস থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে স্থানীয় থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।
তিনি আরও জানান, লিবিয়ায় প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করেন এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণের জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসীদের ভিসা বা আকামা-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছে। তিনি সব প্রবাসীকে তাদের আকামা নবায়নের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে লিবিয়ার স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং নৈতিক আচরণ বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত জানান, গত দেড় বছরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় ৫ হাজার ৫০০-এরও বেশি অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আরও দুই হাজারের বেশি অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে এসব বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সফরকালে দূতাবাসের প্রতিনিধি দল মিসরাতা থেকে প্রাথমিক তালিকাভুক্ত ২১৮ জন অভিবাসীকে আইওএমের কাছে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। এ ছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে মিসরাতা শহরে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় মিসরাতা এবং এর আশপাশের শহরে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেন।
কাফি