জাতীয়
বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপি পুরোপুরি প্রস্তুত: শিল্প-সচিব
![বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপি পুরোপুরি প্রস্তুত: শিল্প-সচিব মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/silpo1.jpg)
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় চামড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব হয়েছে। চামড়া শিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় মনিটরিং ও তদারকির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের বিসিক চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, এবার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপিকে পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে। এর সবগুলো মডিউলকে ওভারহোলিং তথা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামতপূর্বক ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দিয়ে তরল বর্জ্যকে পরিশোধন করা হয়েছে। তাছাড়া বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রাথমিক পরিশোধন ছাড়া যাতে কোনো ট্যানারির বর্জ্য সিইটিপিতে আসতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় এক কোটি পশু কোরবানি হয়ে থাকে। তাছাড়া সারাবছর আরও এক কোটি পশুর চাহিদা রয়েছে। সবমিলিয়ে দুই কোটি পিস চামড়ার সুষ্ঠু ও পরিবেশবান্ধব সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রামে ১টি ও ঢাকায় আরো ১টিসহ মোট ২টি সিইটিপি নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে লবণ দিয়ে ভালোভাবে চামড়া সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিসিক থেকে মাদ্রাসা ও এমিতমখানায় বিনামূল্যে লবণ সরবরাহের পাশাপাশি সারাদেশে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিনিয়র শিল্প সচিব আরও বলেন, চামড়া শিল্পের বিষয়ে হাইকোর্টের চারটি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে। বড় ট্যানারিগুলো ইতোমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট (সিআরইউ) স্থাপন করেছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের মধ্যে ক্রোমিয়াম ও বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) ছাড়া অন্যান্য প্যারামিটারগুলো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের সঠিক মান নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও আমাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে।
পরিদর্শনকালে বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
জাতীয় সংসদে অর্থবিল পাস
![জাতীয় সংসদে অর্থবিল পাস মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/parliament.jpg)
জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থবিল পাস হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে পাস হয় এ বিলটি।
এর আগে, অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
এদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস করা হবে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
এবারের বাজেটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও শেষপর্যন্ত এ প্রস্তাবে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিত্যপণ্যের সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইর
![নিত্যপণ্যের সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইর মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/fbcci-1.jpg)
ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ডাল, মসলাসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুটিকয়েক কর্পোরেট কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে, এসব পণ্য আমদানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদের সমান সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এছাড়া আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত খাদ্যজাতীয় নিত্যপণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চিনি, মসলাসহ নিত্যপণ্যের কালোবাজারি রোধে এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছে। ভ্যাট নিয়েও কথা হয়েছে, আশা করি, একটি ইতিবাচক ফলাফল মিলবে।
নিত্যপণ্যের বাজারের সমস্যা ও সমাধানে উপায় নির্ধারণে এই খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এ জন্য সবার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যবসায়ীসহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা নিত্যপণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ নিয়ে বাস্তবভিত্তিক একটি তথ্যভাণ্ডার বা ডাটাবেজ তৈরির প্রস্তাব জানান। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে টিসিবিকে সরাসরি নিত্যপণ্য আমদানির আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর প্রস্তাব রাখেন বক্তারা। এছাড়া নিত্যপণ্যের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদারের পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় এফবিসিসিআইর পরিচালকসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে: অর্থমন্ত্রী
![মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে: অর্থমন্ত্রী মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/econo-minister.jpg)
সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৌনে ৭ শতাংশে এবং মধ্য মেয়াদে সোয়া ৭ শতাংশে পৌঁছাবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হারও সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে। শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আমরা এমন এক সময়ে প্রণয়ন করছি যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতি-সহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। তাছাড়া রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছতাসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। অথচ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা– এ দুটি আপাত বিপরীতমুখী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আমরা এবারের বাজেট প্রণয়ন করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা রাখি যে প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান ঘুচিয়ে শিগগিরই উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারব।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করেছি এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের একটি টেকসই ভিত্তি অর্জন করেছি। গত দেড় দশকে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৭ শতাংশেরও বেশি; জিডিপির মানদণ্ডে ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতি। এই ভিত্তির ওপর ভর করে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার সাজিয়েছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এবারের বাজেটে সম্পদ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত অগ্রাধিকারগুলো অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ইত্যাদি খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রেখেছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট বরাদ্দ বৃদ্ধির হার ১১.৬ শতাংশ হলেও শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে বাড়ানো হয়েছে ৩৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর আমরা যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো দেশে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যে কাঙ্ক্ষিত অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। আমরা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র মাধ্যমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে আগামী ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৬-২৭ পর্যন্ত সময়ে ১১০টি সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সঞ্চালনের পরিকল্পনা করেছি। এসব উদ্যোগের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্যমেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের জন্য বড় ঋণের অনুমোদন দিল বিশ্বব্যাংক
![বাংলাদেশের জন্য বড় ঋণের অনুমোদন দিল বিশ্বব্যাংক মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/world-bank-1.jpg)
বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয় অনেকাংশে কমবে। এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও গতি আসবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে সমুদ্রের পানির স্রোত ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষায় করতে ছয় কিলোমিটার জলবায়ুসহিষ্ণু বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বন্দরের প্রবেশদ্বার, অববাহিকা ও সংযোগকারী চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করা হবে। নতুন আধুনিক এই বে টার্মিনাল বিশ্বের শীর্ষ টার্মিনাল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারবে। সেই সঙ্গে এসব জাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানোর সময় কমবে। ফলে প্রতিদিন আনুমানিক ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের এই বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বে টার্মিনালে বেসরকারি বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হবে। সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগের সম্মিলনে বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বেসরকারি খাতের আগ্রহ তৈরি হবে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে নির্মিত একটি টার্মিনালে বিনিয়োগের বিষয়ে চিন্তা করছে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাত বিষয়ক প্রতিষ্ঠান আইএফসি বা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন।
সন্দ্বীপ চ্যানেলে বে টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে; টার্মিনাল থেকে ঢাকামুখী সড়ক কাছাকাছি। এই টার্মিনালে বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ কন্টেইনার ওঠানামা করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ ১০ লাখের বেশি মানুষ এর মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল করার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
![প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল করার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর মিউচুয়াল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Metro-Rail-MetroRail.jpg)
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে, যাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য মেট্রোলের একটা নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেট্রোরেল চালু হওয়ার পরে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমেছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর যানজট সহনশীল করার জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে ৬টা রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে, একটি তো হয়েই গেছে। ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়ে যাবো। যাতে দেশের মানুষ দ্রুততম সময় যানজটমুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে।
এমআই