জাতীয়
ঈদুল আজহা ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে করে আমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের হিংসা-বিদ্বেষ ঘৃণা বিসর্জন দিতে পারি।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরের জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের নামাজে আমরা দেশবাসীর জন্য দোয়া করেছি।
সমাজে যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা আসে এজন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছি। চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা যথাযথভাবে পায় সেজন্য দোয়া করেছি। আল্লাহপাক যাতে সবাইকে কোরবানি করার তৌফিক দান করেন সেই দোয়াও করেছি। এসময় তিনি চট্টগ্রামসহ পুরো দেশবাসিকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।

জাতীয়
মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন যাত্রাবাড়ীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী।
শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন।
নামাজ পড়ার পর খুতবা শেষে মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি, সব মানুষের সুখ, শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
মোনাজাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
এ ছাড়ার রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহ উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের জন্য দোয়া করা হয়।
এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. বিল্লাল হোসেন।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. আমির হোসেন।
বায়তুল মোকাররমে পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন। মুকাব্বির হবেন মো. জহিরুল ইসলাম।
জাতীয়
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। সারা দেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।
শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নামাজ শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাইকে ঈদ মোবারক। সবাই দেশের মঙ্গলের জন্য দোয়া করবেন।’
এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করেন।
এ জামাতে ইমামতি করেন দেশবরেণ্য ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে।
এর আগে ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। এছাড়া তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দ ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বজনীন করার বার্তা দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আর ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসর্গ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে তার মনের পরিশুদ্ধিতা অর্জন করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও। (সুরা হজ: ৩৪)
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। সারা দেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।
শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নামাজ শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন।
এ জামাতে ইমামতি করেন দেশবরেণ্য ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে।
এর আগে ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দ ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বজনীন করার বার্তা দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আর ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসর্গ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে তার মনের পরিশুদ্ধিতা অর্জন করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও। (সুরা হজ: ৩৪)
জাতীয়
ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক: রাষ্ট্রপতি

দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাইবোনদের পবিত্র ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামীকাল ৬ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ মোবারক। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা। হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) উৎসর্গ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা ও অবিচল আনুগত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা মানবজাতির ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।
তিনি বলেন, কুরবানি আমাদের মধ্যে আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে। ধনী-গরিবসহ সমাজের সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। আমাদের সমাজে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ঈদুল আজহার সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের সুমহান আদর্শকে ধারণ করে তাদের সঙ্গেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক-এটাই সবার কাম্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কুরবানির পাশাপাশি যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি-মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। খোদা হাফেজ।
জাতীয়
ত্যাগের মহিমার পবিত্র ঈদুল আজহা আজ

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে মেতে উঠবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্মর হয়ে আসছে।
রোববার (৭ জুন) সকাল থেকেই ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে পছন্দের ঈদগাহে ছুটে যাবেন মুসল্লিরা। ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অল্লাহ’র সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দেবেন।
রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের এই জামাতে ইমামতি করবেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান মাদানী। আর ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
এরইমধ্যে ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। এই ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তার বন্দোবস্তুও সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিরাপত্তা আয়োজন পর্যবেক্ষণ করেছেন। যারা ঈদগাহে ঈদের নামাজে যাবেন, তাদের উদ্দেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেছেন, এমন কোনো ডিভাইস বা এমন কোনো যন্ত্রপাতি আনবেন না যেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে হতে পারে। প্রয়োজনে আপনাদের জায়নামাজও আনার দরকার নাই, পানির বোতলও আনার দরকার নাই।
প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাতগুলো হবে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।
এর বাহিরে ঢাকা মহানগরীর শতাধিক ঈদগাহে এবং দেড় হাজারের বেশি মসজিদে জামাতের আয়োজন থাকবে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে মোট ১১৮টি ঈদগাহে এবং এক হাজার ৬২১টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এখানে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি, উপদেষ্টা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঈদগাহে পুরুষদের জন্য ৪টি ও নারীদের জন্য একটি গেট থাকবে। এসব গেট দিয়ে মুসল্লিরা ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে প্রথম জামাত শুরু হবে সকাল ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এবং ঢাকার অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদগাহ ময়দানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ময়দানে আসার প্রধান তিনটি রাস্তার প্রবেশ মুখে অর্থাৎ মৎস্য ভবন ক্রসিং, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ও তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশপথ সমূহে আর্চওয়ের মাধ্যমে সব মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হবে।