জাতীয়
ঈদের দিনও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

ভোগান্তি এড়াতে, সঠিক সময়ে ছুটি না পেয়ে ও পরিবহন না পাওয়াসহ নানাবিধ কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই আজ ঈদুল আজহার দিন ঢাকা ছাড়ছেন সকাল থেকে।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলো খোলা রয়েছে, যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
গোপালগঞ্জ সদরের বাসিন্দা সুমন মাহমুদ, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগে যেতে পারেননি। সঙ্গে ছোট একটা বাচ্চাও আছে। তাই ঝামেলা এড়িয়ে স্বস্তিতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঈদের দিনকে বেছে নিয়েছেন সুমন। এই জন্য ঢাকা-গোপালগঞ্জগামী কমফোর্ট লাইনে সপরিবারে বাড়িতে যাচ্ছেন।
তবে ঈদের দিন সবাই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যেতে পারছেন। কারণ একদিকে যেমন মিলছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট অন্যদিকে সড়কেও নেই কোনো জটলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের পক্ষে এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তার দেশের নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বালুচ।
বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত এখনো কিছুই জানা না গেলেও, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কেননা এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এটি। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব।
সূচি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমনা বালুচের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন। এ সময় তাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগ) ইশরাত জাহান।
এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করবেন বলে জানা গেছে। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোহিঙ্গাদের জন্য ১৫৫ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে সুইডেন

বাংলাদেশের আটটি অংশীদারের মাধ্যমে ১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা দিচ্ছে সুইডেন। যা দেশে বসবাসরত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর পাশাপাশি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এমন সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় এনজিওগুলোকে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম করার জন্যও এ তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ দেশে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে সুইডেন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, যেমনটি আমরা গত সাত বছর ধরে করে আসছি। এ বছর, আমরা গত বছরের তুলনায় আমাদের প্রাথমিক বরাদ্দ বাড়াচ্ছি, ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদার কারণে, অন্তত কক্সবাজারে যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির অবস্থিত’।
সুইডিশ তহবিল ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল, ইসলামিক রিলিফ, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির জন্য ব্যবহার করা হবে। এ তহবিল খাদ্য সহায়তা ও পুষ্টি, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা পরিষেবা এবং শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবায় ব্যয় করা হবে।
এছাড়াও জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম, এমন ২৬টি স্থানীয় ও জাতীয় সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য সুইডেন স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে।
প্রসঙ্গত, সুইডেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানবিক দাতা এবং ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফ, ইউএনএফপি এর পাশাপাশি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিলের (সিইআরএফ) মূল সহায়তা সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএনপির ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসিত: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা দেশের মানুষ অবগত। তাদের ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসনীয়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, বারবার আমরা দেখছি- এদেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে। সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক হয়।
এরপর সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চায় ঐকমত্য কমিশন। পরে মতামত তুলে ধরে ৩৪টি দল, যাদের সঙ্গে এখন আলাদা করে বৈঠক করছে কমিশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মে থেকে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

আগামী ১ মে থেকে সারাদেশে ডিম ও উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান ও ঈদ মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান দিয়ে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছেন। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা লোকসানে, এক মাসে লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
এছাড়া দৈনিক ৪ কোটি ডিমের মধ্যে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করেন ৩ কোটি ডিম। প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসানে, দুই মাসে ডিমে লোকসান হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। মোট দুই মাসে ডিম ও মুরগির খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
কিন্তু এমন অবস্থায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ নয়-ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের ঠেলে দিচ্ছে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ এর দাসত্বে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ২৮–৩০ টাকায় উৎপাদিত বাচ্চা কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি করে। এখন সেই বাচ্চাই ৩০–৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ১৬০–১৭০ টাকা, অথচ কর্পোরেটরা বাজারে বিক্রি করছে ১২০–১২৫ টাকায়। ফলে লোকসানে খামারিরা। আবার ডিমের উৎপাদন খরচ ১০–১০ দশমিক ৫০ টাকা, অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮–৮ দশমিক ৫০ টাকায়। বাজার মূলত কর্পোরেটের হাতে। তারা দাম নির্ধারণ করে। আর খামারিদের বাধ্য করা হয় মানতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও নির্ধারণ কমিটি গঠন।
২. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন
৩. পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন
৪. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ
৫. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড
৬. কোম্পানিকে কেবল কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা
৭. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করা
৮. কেজি ভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন
৯. ডিম-মুরগির রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি
১০. পূর্ণাঙ্গ ‘পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিব-আইজিপিকে নোটিশ

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা মহড়ায় ধর্মীয় অবস্থানকে ‘অপরাধী’ হিসেবে উপস্থাপন করায় স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, আরটিভির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে পুলিশ মহড়ায় কিছু ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যারা উচ্চস্বরে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ এবং ‘পহেলা বৈশাখ ইসলামবিদ্বেষী কাজ’। এরপর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং ধরপাকড়ের দৃশ্য প্রদর্শন করে।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ — এই বক্তব্যকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং সেই কারণে তাদের ‘গুলির যোগ্য’ হিসেবে চিত্রিত করা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন।
এছাড়া, নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর নওরোজ ও মেহরেগান নামক প্রাক-ইসলামী উৎসব বাতিল করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নির্ধারণ করেছিলেন। এই সুন্নাহ অনুসরণ করে বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অংশ, যা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৪১ অনুচ্ছেদে নিশ্চিতকৃত মৌলিক অধিকার।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের মহড়ায় প্রদর্শিত এই আচরণ বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ২৯৫(ক)-এর আওতায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।
আইনি নোটিশে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, মহড়ার পরিকল্পনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।