জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।
ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ও বয়সের মুসল্লিরা।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে শুরু হয় খুতবা। এরপর বিশেষ মোনাজাতের পর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় ব্যবস্থা করা হয়। নারীদের জন্য ছিল আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

জাতীয়
শনিবার থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী শনিবার থেকে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিএমপি।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শনিবার (১৪ জুন) হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সম্মুখে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
কাফি
জাতীয়
তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই। উনি বাংলাদেশের মানুষ, যে কোনো সময় তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারেন। উনি দেশে ফেরার যখন সময় মনে করবেন, তখন দেশে ফিরবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা ও ব্যারাক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত থেকে যাদের পুশ ইন করা হচ্ছে তারা প্রোপার চ্যানেলে আসছে না, অমানবিকভাবে তাদের বাংলাদেশের ঢুকানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বাংলাদেশি নাগরিক যারা তাদের (ভারত) দেশে আছে, তাদের আমরা অবশ্যই নেব। এজন্য তাদের প্রোপার চ্যানেলে আসতে হবে। কিন্তু তারা সেটি ফলো না করে জঙ্গলে, রাস্তায় এটা করে, যা অমানবিক। বিষয়টি আমরা হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেছেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
ঈদ উদযাপন শেষে স্বস্তিতেই ঢাকায় ফিরছেন মানুষ

কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করা মানুষজন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। আজ (১২ জুন) সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা বাসগুলো প্রায় পূর্ণ যাত্রী নিয়ে রাজধানীতে পৌঁছাচ্ছে। যাত্রীরা নেমেই সিএনজি, রাইডশেয়ারিং অথবা পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করে নিজ নিজ গন্তব্যে সহজেই পৌঁছাতে পারছেন।
বাসচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় যানজট না থাকায় ভ্রমণ সময় কম লেগেছে এবং ক্লান্তি ছিল তুলনামূলক কম।
যাত্রাবাড়ী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য জানান, ঈদের ছুটির পর রাজধানী এখনও তুলনামূলক ফাঁকা। ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও রাস্তার অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও বড় ধরনের জট বা বিশৃঙ্খলা হয়নি।
সায়েদাবাদ টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। বাসস্ট্যান্ডজুড়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়া থাকলেও তারা স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। কয়েকজন যাত্রী জানান, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার ঈদের পরের দিনগুলোতে ফেরার অভিজ্ঞতা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
আসলাম নামের একজন যাত্রী বলেন, আমি সকালে ফেনী থেকে বাসে উঠেছি, মাত্র আড়াই ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছি। মহাসড়কে যানজট ছিল না।
কাফি
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৮ হাজার ৬০৬ জন হাজি

হজ শেষে দুদিনে ২২টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন আট হাজার ৬০৬ জন হাজি। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৮৩৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৭ হাজার ৭৬৯ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে হজ পোর্টালের ‘পবিত্র হজ-২০২৫’ প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এবছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে মোট ২৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত ৫ জুন সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১০ জুন)।
বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪টি ফ্লাইটে এক হাজার ৪০৯ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৮টি ফ্লাইটে তিন হাজার ১৮৫ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুলাই।
এবার মোট বাংলাদেশি হজযাত্রীর (ব্যবস্থাপনা সদস্য সহ) সংখ্যা ৮৭ হাজার ১৫৭ জন। তিনটি এয়ারলাইন্সের মোট ২২৪টি ফ্লাইটে এ হজযাত্রীরা সৌদি আরবে গেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০৮টি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ৪০৪ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৮৩টি ফ্লাইটে ৩১ হাজার ৬৭৬ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ৩৩টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৭৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছিলেন।
হজযাত্রীদের সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ মে।
এবছর হজে গিয়ে বুধবার পর্যন্ত মারা যাওয়া ২৩ বাংলাদেশির মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৫ জন, মদিনায় ৭ জন ও আরাফার ময়দানে একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন বলে হজ পোর্টাল থেকে জানা গেছে।
সৌদিতে সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী ভর্তি আছেন। এরই মধ্যে এসব হাসপাতালে ১৯৩ জন হজযাত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে বাংলাদেশ হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে।
কাফি
জাতীয়
সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ

ভারত থেকে পুশইন করে বাংলাদেশে পাঠানো ৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (১১ জুন) রাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিজিবির সিলেট সেক্টরের আওতাধীন ৪৮ বিজিবির একাধিক বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপি’র মোকামপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন, মিনাটিলা বিওপি’র মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপি’র সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং অধিকাংশই দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। জানা গেছে, তারা বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত ছিলেন।
বিজিবির তথ্যমতে, আটক ৭০ জনের মধ্যে ৪৩ জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং ২৭ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। তবে তারা কীভাবে ভারতে পৌঁছেছিল এবং দীর্ঘদিন কীভাবে অবস্থান করছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পুশইন আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতিমালার পরিপন্থী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিবাসন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা থাকলেও, মাঝেমধ্যেই এমন একতরফা পুশইন ঘটছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপ তৈরি করতে পারে।
বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কেবল সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছি। যারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং এখন ফেরত এসেছেন, তাদের ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মানবপাচার রোধে স্থানীয়দের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।
কাফি