জাতীয়
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা
মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। রাত পোহালেই ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। এরইমধ্যে জাতীয় ঈদগাহর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারে জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষ জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় দিকে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়বেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ।
ঈদের জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, পুরো ঈদগাহকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। আমাদের সাধারণ ইউনিফর্ম পুলিশ প্যাট্রোলিং, চেকপোস্ট, সাইবার প্যাট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফ এবং ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করি ঈদের এই জামাত সুষ্ঠুভাবে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ডগ স্কোয়াড, সিসি ক্যামেরা, মেটাল ডিটেকটর, ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহারসহ সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের গোয়েন্দারা যেমন মাঠে থেকে কাজ করছে, তেমনই সাইবার ওয়ার্ল্ডে সার্বক্ষণিক নজরদারি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেউ উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
জাতীয় ঈদগাহের প্রধান ফটকের সামনে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে তোরণ (প্রধান গেট)। সেখানে লেখা রয়েছে ‘চারদিকে আজ খুশির জোয়ার, সবাই গাইছে গীত, এসেছে ধরায় মুসলিম জাহানের কোরবানির ঈদ। ঈদ মোবারক।’ ঈদগাহ প্রাঙ্গণে রয়েছে অজুর ব্যবস্থা। ওজুর জন্য সারি সারি পানির ট্যাপ নতুনভাবে লাগানো হয়েছে। ঈদগাহের মাঠ প্রায় পুরোটাই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলের নিচে মাঠে ম্যাট বিছানো। এছাড়াও রয়েছে সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা।
জাতীয় ঈদগাহে পুলিশ ও র্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেডের একটি টিমও রাখা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। ঈদগাহের মূল প্রবেশ পথ করা হয়েছে চারটি। জামাত শেষে বের হওয়ার জন্য উত্তর দিকে আরও তিনটি গেট রাখা হয়েছে।
এবারের জাতীয় ঈদগাহে নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ জন একসঙ্গে ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করতে পারবেন।
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মুখপাত্র আবু নাসের বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে এবার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। অতি বৃষ্টিতেও যাতে নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
জানা যায়, জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে প্রায় ২৫০ জন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ৮০ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার জন নামাজে অংশ নেবেন।
ঈদের জামাতে মূল ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান। মূল উপস্থাপক হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার। পাশাপাশি মূল কারি হিসেবে প্রধান ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন-পরিমার্জন কমিটি বাতিল
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ইয়ানুর রহমানের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের গত ১৫ সেপ্টেম্বরের স্মারকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত এবং মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এতে প্রধান করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে।
কমিটির সদস্যরা হলেন—শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান। তাছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান।
কমিটিতে থাকা রাখাল রাহা, ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশও হয়। এছাড়া আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়খ আহমাদুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন। তাছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশও এ কমিটি নিয়ে আপত্তি তোলে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসির কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুতির নির্দেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব কর্মকর্তাকে সম্পদের হিসাব প্রদানে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।
ইসির উপসচিব মো. হেলাল উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত সচিব সভার দিকনির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসি সচিব শফিউল আজিম কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, সম্পদের হিসাব প্রদানে কর্মকর্তাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করার সঙ্গে সঙ্গেই সম্পদের হিসাব দাখিল করা যায়। যথাসময়ে সবাইকে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল বিষয়ে বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিধিমালা অনুযায়ী, সব সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর এ লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সম্পদ বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম অনুসরণ করতে হবে
সম্পদ বিবরণী প্রদানের সময়সীমা: সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ক্ষেত্রে সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে: ক. ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের নিকট সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন। গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।
জমা প্রদান প্রক্রিয়া: ক. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। খ. সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রযোজ্যতা: এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
গোপনীয়তা সংরক্ষণ: ক. আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়। সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।
পরিবর্তন ও পরিমার্জন: প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১৫৮১
সারাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। প্রাথমিক তালিকায় মোট ১ হাজার ৫৮১ জন ব্যক্তির তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য উপ-কমিটি, নাগরিক কমিটিসহ অংশীজনদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এই সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রাথমিক তালিকাটির তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এই কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা প্রদান করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তালিকা প্রণয়নের কাজে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংস্থা সহায়তা করেছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করেছেন, যা এই তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফরহাদ আলম ভূঁইয়া বলেন, এই তালিকার কাজ এখনো চলমান, এটি চূড়ান্ত না। চূড়ান্ত তালিকা পরে জানানো হবে।
আহত ব্যক্তিদের কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তারেকুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমানে ৩১ হাজারের বেশি আহতের নাম পেয়েছি। তবে এই তথ্যগুলো ভেরিফাই এখনো চলমান, এটি চূড়ান্ত নয়। সংখ্যা আরও বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা ইতি, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) শহীদ এসআই শাহজাহান মিলনায়তনে আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের।
মাইনুল হাসান বলেন, একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। মুষ্টিমেয় সদস্যদের অপেশাদার কার্যকলাপের কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এটি পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তবে আমরা দিন-রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এমন জায়গায় পৌঁছাতে পারবো যেখানে পুলিশ জনগণের আস্থার প্রতীক হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ওপর যে দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে তা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। পুলিশ হলো রাষ্ট্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আমরা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে থাকি। আর স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
আজকের কল্যাণ সভায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোর্সের উদ্দেশে যেসব দিক-নির্দেশনা দেন সেগুলো ধারণ করে প্রত্যেক সদস্যকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কল্যাণ সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কল্যাণ সভার সভাপতি যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম।
কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা ডিএমপি কমিশনারের কাছে পেশ করেন। কমিশনার সবার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। সভা শেষে ডিএমপি কমিশনার ফোর্সের ব্যারাক ও মেস পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে: রিজওয়ানা
ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যে খালগুলো এখনো উদ্ধার করা সম্ভব, সেগুলো দিয়ে এ নেটওয়ার্ক করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও বন ভবনে বিগত ১০০ বছরের ঢাকা শহরের নগর প্রতিবেশ নিয়ে মতবিনিময় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধভাবে দখল হওয়া খাল উদ্ধারে রাজউককে প্রতি সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। কোনো অন্যায়কে বৈধতা দেয়া যাবে না। অবৈধ খাল উদ্ধারে প্রয়োজনে অভিযান বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকার উন্মুক্ত মাটিতে ঘাস লাগাতে হবে। এ কাজে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার নগর পরিকল্পনায় সবুজায়ন, জীববৈচিত্র্য ও জলাভূমি সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। সবুজ ও জলাভূমি রক্ষায় সকল বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
কাফি