Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

প্রবাস

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের ৩ প্রবাসীর মৃত্যু

Published

on

ডাচ-বাংলা

সৌদি আরবের আল নাজাদ অঞ্চলের আপিপ শহরে কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ বাংলাদেশির বাড়ি চাঁদপুরে। নিহতরা হলেন- সবুজ চৌকিদার (৩৮), মো. সাব্বির (২১) ও মো. রিফাত (২০)। তাদের মধ্যে সবুজ গাড়ির চালক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে কাজে যাওয়ার সময় তার নিহত হন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সবুজ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পশ্চিম বিশকাটালি গ্রামের জামাল চৌকিদারের ছেলে। সাব্বির পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাঙা গ্রামের সৈয়াল বাড়ীর মো. ইসমাইল সৈয়ালের ছেলে এবং রিফাত আলগী উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে নিহত তিন শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম চলছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কমলাপুর গ্রামের রিফাত মাত্র ৩ বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছেন। সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগেও ছেলের সাথে কথা হয়েছে। বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে যেন বাড়ীতে এসে ঈদ করে। কিন্তু তা আর হল না।

নিহত সাব্বিরের বাবা ইসমাইল সৈয়াল ও মা ফাতেমা বেগমের একটাই দাবি তাদের সন্তানকে দেশে আনার জন্য সরকারিভাবে সহযোগিতা পায়। সাব্বিরের মা ফাতেমা বেগম ছেলের শোকে কথাও বলতে পারছে না। অনেকটা বাকরুদ্ধ। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিয়েও মাকে বুঝাতে পারছেন না। কিছু সময় পর পর ছেলের নাম নিয়ে কেঁদে উঠেন।

সাব্বির আর রিফাতকে সৌদিতে কাজের জন্য নিয়েছেন সবুজ চৌকিদার। তিনি তাদেরকে নিয়ে আপিপ শহর ও আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণের কাজ করতেন। নিজেদের গাড়িতে তারা কাজে আসা-যাওয়া করতেন। গাড়ির চালক ছিলেন সবুজ। দুর্ঘটনায়র সময়ও গাড়ির চালক ছিলেন সবুজ জানালেন তার পিতা জামাল চৌকিদার।

এদিকে সবুজের মৃত্যুতে তার মা ও স্বজনরা খুবই শোকাহত। কারণ তার মৃত্যুতে ছেলের বউ ও নাতনিরা কেমন আছেন। তাদের কথা মনে করেই কেঁদে উঠেন। তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিজ চোখে এবং একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই।

এই তিন পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানদের মরদেহ আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যাতে সহযোগিতা করে।

এমআই

শেয়ার করুন:-

প্রবাস

বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

Published

on

ডাচ-বাংলা

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জন বিদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থার (একেপিএস) মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন জানিয়েছেন, যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের ‌‘নট টু ল্যান্ড’ পদ্ধতির অধীনে বহিষ্কার করা হবে। বিমান সংস্থাগুলো তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার, টার্মিনাল-১ থেকে ১২৮ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুজন পাকিস্তানি, দুজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। টার্মিনাল ২-এ বাকি ৭০ জনের মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, চারজন পাকিস্তানি এবং দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছেন।

আটককৃতদের ভ্রমণ ভিসার অপব্যবহার সন্দেহে মোট ২০০ জনের কাগজ চেক করে কর্তৃপক্ষ, যাদের সবাইকে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে না পারা, নকল হোটেল বুকিং, পর্যাপ্ত রিঙ্গিত না থাকা ইত্যাদি সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন সতর্ক করে বলেন, মালয়েশিয়াকে অবৈধ প্রবেশের ট্রানজিট হাব হতে বাধা দেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ অভিবাসী আটক

Published

on

ডাচ-বাংলা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। মালয়েশিয়ার সেরিকাম বাগানের পুত্রা পারমাই সেলেসা অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টায় সমন্বিত অভিযানটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিম) সেলাঙ্গর কুয়ালালামপুর জিম, জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (পিজিএ), সুবাং জায়া সিটি কাউন্সিল (এমবিএসজে), ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট জেপিএন) এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম) এর সহযোগিতায় পরিচালনা করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিযানের সময় মোট ৭৪১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন করা, ওভারটাইম থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অন্যান্য অপরাধে ৩৫৭ জন পুরুষ, ১০৭ জন নারী এবং ৩২ জন শিশুসহ ৪৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ান নাগরিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সেলাঙ্গর পাইকারি বাজারে, কাছাকাছি প্রাঙ্গণে, নির্মাণ খাতে এবং গৃহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করত।

তিনি বলেন, এই স্থানটি সেলাঙ্গরে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য একটি হটস্পট। মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচারবিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ এর মতো জাতীয় আইনের বিধান লঙ্ঘনকারী বিদেশি নাগরিকদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার, বিচার এবং বহিষ্কার করার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগকারী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জনসাধারণ এবং নিয়োগকর্তাদের অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা না দেওয়ার জন্য বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মুখোমুখি না হয়ে জনসাধারণকে এগিয়ে এসে ইমিগ্রেশন বিভাগের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, জাফরি জানান, ১৯ মে, ২০২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২৬ পর্যন্ত, ইমিগ্রেশন বিভাগ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০ বাস্তবায়ন করেছে যেখানে বিদেশিরা ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং ২০ রিঙ্গিতের একটি বিশেষ পাস নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

কুয়েতে ই-ভিসা চালু, সুবিধা পাবেন বাংলাদেশিরাও

Published

on

ডাচ-বাংলা

ডিজিটাল অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) চালু করেছে কুয়েত। যেখানে ভ্রমণকারী ও বাসিন্দা উভয়ের জন্য প্রবেশ প্রক্রিয়া হবে আরও সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ। ই-ভিসা পেতে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

চলতি সপ্তাহে চালু হওয়া ই-ভিসা পর্যটন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হয়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে মনে করছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কুয়েত।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ই-ভিসা প্ল্যাটফর্মটি বর্তমানে চার ধরনের ভিসা দিচ্ছে। এর মধ্যে পর্যটন ভিসায় পর্যটকরা কুয়েতে আসতে পারবেন খুব সহজে, যার মেয়াদ হবে ৯০ দিন। অন্যদিকে পারিবারিক ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক ভিসার মেয়াদ হবে ৩০ দিন। আর সরকারি ভিসা সরকারি প্রতিনিধি দল ও আনুষ্ঠানিক কার্যভারে নিযুক্ত কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুয়েতে নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু হওয়ায় পর্যটন, পরিবার ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।

এ ছাড়া কুয়েতের শিগগিরই জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা পদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ছয়টি উপসাগরীয় দেশের মধ্যে একই ভিসায় চলাফেরা করা যাবে। এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

Published

on

ডাচ-বাংলা

জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিতান ইসমাইল জানিয়েছেন, জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে সেলাঙ্গর এবং জোহর প্রদেশে তিনটি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, এই দলটি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থি মতাদর্শ প্রচার করছে বলে জানা গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সাইফুদ্দিন নাসিতান ইসমাইল বলেন, অভিযুক্তরা নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উগ্র মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার এবং তাদের নিজ দেশে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে সেল প্রতিষ্ঠা করেছিল। মালয়েশিয়া বিদেশি চরমপন্থি আন্দোলনকে আশ্রয় দেবে না। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া হবে না।

মালয়েশিয়াকে জঙ্গি অভিযানের ঘাঁটি বা চরমপন্থি আন্দোলনের ট্রানজিট হাবে পরিণত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে— বলেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

টোকাই যখন রক্ষক, আর সেনাবাহিনী হয়ে দাঁড়ায় দর্শক: একটি রাষ্ট্রদ্রোহের জবাব কোথায়?

Published

on

ডাচ-বাংলা

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি কি শুধু রাজনীতিবিদদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জন্ম নিয়েছিল? এই প্রশ্নটি আজ কেবল বুদ্ধিবৃত্তিক নয়—এটি একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা ও জাতির অস্তিত্বঘন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে রয়েছে লুটপাট, অন্যদিকে রয়েছে নির্বিকারতা। একদিকে দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাওয়া প্রশাসন, অন্যদিকে নিজের রক্ত দিয়ে, হাড়-মাংস দিয়ে এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করে চলেছে যে জনগণ—বিশেষত সেই ‘টোকাই’ শ্রেণি—তারা আজও জানে না, রাষ্ট্রটা আদৌ তাদের জন্য কিনা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

২০২৪ সালের জুলাইয়ে যখন এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়—স্বৈরাচার পতনের জন্য গোটা জাতি রাস্তায় নামে, তখন সশস্ত্র বাহিনী কিংবা রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কাঠামো এক বিরাট প্রশ্নের মুখে পড়ে। দীর্ঘকাল ধরে যে বাহিনীর পিছনে জনগণের অর্থে রাষ্ট্রীয় বাজেটের বৃহত্তর অংশ ব্যয় হয়, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষার প্রতীক বলে বিবেচিত, তারা তখন কেন নীরব ছিল? শুধু নীরব নয়—প্রকৃতপক্ষে তারা একটি অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন শাসনের রক্ষাকবচ হিসেবেই কাজ করেছে বছরের পর বছর। অথচ যাদের নামে আমরা একসময় ‘অনুন্নত’ বলতাম, যাদের কোনো রাজনৈতিক স্ট্যাম্প নেই, যাদের অস্ত্র কেবল রাগ আর ক্ষুধা—সেই ‘টোকাই’ শ্রেণির মানুষেরাই দেশের ভবিষ্যৎ বদলের প্রধান চালিকা হয়ে উঠেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তাহলে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা কোথায়?

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই প্রশ্নের উত্তর শুধু একটি বাহিনীর গায়ে কালি লাগানো নয়। এটি জাতির সামনে একটি মূল প্রশ্ন উপস্থাপন: রাষ্ট্র কার? রক্ষার দায়িত্ব কাদের? জনগণের পয়সায় যাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র কিনে দেওয়া হয়, তারা বিপদের সময় কোন ভূমিকায় থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া না গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো প্রতিষ্ঠানিক ন্যায়বিচার বা গঠনমূলক রাষ্ট্রচিন্তা টিকে থাকবে না।

স্বৈরতন্ত্রের দীর্ঘ যাত্রায় দেখা গেছে—সেনাবাহিনী কখনোই জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। তারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছে—এমনকি সেটা যদি স্বৈরাচারী ও বিদেশপন্থী শাসকদের পক্ষে হয় তবুও। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মিশর, পাকিস্তান বা মিয়ানমারের চেয়ে কোনো আলাদা দেশ নয়। বরং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আরও দক্ষতায় স্বৈরতন্ত্রকে কাস্টমাইজড করে টিকিয়ে রেখেছে—সীমান্তে অস্ত্র নয়, কাঁধে বাণিজ্যের ব্যাগ নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন হয়েছে।

অন্যদিকে, এই দেশের সবচেয়ে নিরস্ত্র ও নিরুপায় মানুষরাই যখন রাজপথে রক্ত দেয়, লাশ পড়ে, গুম-খুন সহ্য করে দেশ রক্ষা করে—তখন রাষ্ট্র তাদের কী দিয়েছে? রাষ্ট্র কখনো তাদের ‘নিরাপত্তা বাহিনী’ বলেছে? না, রাষ্ট্র তাদের ‘উসকানিদাতা’, ‘জঙ্গি’, ‘রাজাকার’ বা ‘বাম চরমপন্থী’ আখ্যা দিয়েছে। অথচ ইতিহাস সাক্ষী—বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপ্লবী ও প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করেছে এই টোকাই শ্রেণির মানুষরাই, যারা প্রশাসন, কূটনীতি কিংবা বড় পুঁজির সুবিধা ছাড়াই দেশপ্রেমকে বাস্তবতার মাটিতে নামিয়ে এনেছে।

এই ভয়ানক বৈপরীত্যের জবাব কে দেবে?

রাজনীতিবিদরা? যাদের অধিকাংশের অস্তিত্বই জনগণের নামে অথচ জনগণবিরোধী অপকৌশলের ওপর দাঁড়িয়ে? যারা নিজের দলীয় পৃষ্ঠপোষকতাকে রাষ্ট্রের চেয়ে বড় করে দেখে? না, তারা পারবে না। কারণ তারা নিজেরাও সেনা-আধিপত্য, আমলাতন্ত্র আর বিদেশি অনুগ্রহের কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে চায়। যারা রাজপথে রক্ত দেয় না, তাদের হাতে ‘নাগরিক চুক্তি’ স্বাক্ষরের নৈতিকতা নেই।

সেনাবাহিনী দেবে? তারা তো পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত, কিন্তু নৈতিকভাবে শূন্য। যদি সেনা কর্মকর্তা রাস্তায় পড়ে থাকা টোকাইদের জীবনের চেয়ে নিজের ব্যারাকের নিরাপত্তাকে বড় করে দেখে, তাহলে সেই সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলা সময়ের দাবি।

রাষ্ট্রের মালিক কারা—জনগণ, সেনা, নাকি ধনিক চক্র? টোকাই জাতির বিচারের সময় এসেছে

বাংলাদেশের সংবিধান বলে, “এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ।” কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কিছু। যদি জনগণই রাষ্ট্রের মালিক হতো, তাহলে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের কণ্ঠস্বর আজ এভাবে নিষ্পেষিত হতো না। যদি এই দেশের আসল মালিক হতো কৃষক, মজুর, গার্মেন্ট শ্রমিক কিংবা রাস্তার টোকাই—তাহলে একতরফাভাবে জাতির উপর চেপে বসা সরকার কিংবা বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা-জেনারেল-পুঁজিপতিদের এমন রক্তচোষা শাসন চালানো সম্ভব হতো না।

আসলে বাংলাদেশ এখন আর কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, বরং এটি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন কর্পোরেট কোম্পানি, যেখানে রাজনীতি মানে ঠিকাদারি, প্রতিরক্ষা মানে সীমান্ত বাণিজ্য আর আমলাতন্ত্র মানে বিদেশি পরামর্শে জনগণকে কাবু করার কৌশল। এই কোম্পানির মালিকানা রয়েছে কিছু পরিবারের হাতে, যাদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, যাদের বিলাসিতার জন্য বাজেট, যাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য আদালত ও মিডিয়া প্রস্তুত। আর এই ‘নতুন কোম্পানি রাষ্ট্রে’ সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে জনগণ—বিশেষ করে যাদের রক্ত ঘামে এই রাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা তৈরি হয়েছে।

এখন প্রশ্ন: যদি জনগণ রাস্তায় নামে, নির্বাচন চায়, অধিকার চায়—তাদের পিঠে গুলি চলে কেন? কেন সেনাবাহিনী তখন চুপ থাকে? কেন মিডিয়া তখন বলে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’? এই প্রশ্নগুলো কোনো কবিতা বা চেতনার কথা নয়—এগুলো রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বরূপ উন্মোচনের প্রশ্ন।

জুলাই ২০২৪-এর গণজাগরণ তার সর্বোচ্চ সত্য দিয়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে—সেখানে প্রতিরক্ষা বাহিনী নিষ্ক্রিয়, পুলিশ প্রশাসন দুর্নীতিপরায়ণ আর টোকাইদের হাতেই দেশ বাঁচে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রপ্রতিরক্ষা ও রাষ্ট্রনির্মাণ—দুটোরই আসল মালিক এখন ‘অবৈধভাবে’ পথের মানুষ হয়ে উঠেছে।

এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে জনগণ এখন জবাব চায়:
•    যারা বেতন নেয় দেশের প্রতিরক্ষার নামে, তারা কোথায় ছিলেন?
•    যারা কথায় কথায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র কথা বলেন, তারা কার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন—দেশের, না ক্ষমতাবানদের?
•    যারা বারবার নির্বাচন ছিনিয়ে নিয়েছে, তারা কী সত্যিই রাষ্ট্রকে ভালোবেসে ক্ষমতায় ছিল, নাকি এটা ছিল লুটপাটের লাইসেন্স?

এত বছরের রাষ্ট্রচক্র আর শোষণ যন্ত্রপাতির বিপরীতে যে টোকাই শ্রেণি রাজপথে দাঁড়িয়েছে, তার নৈতিক শক্তি কত বিশাল, তা বুঝতে হলে দেখতে হবে—তারা কোনো পদ, পদবী, ক্ষমতা বা বৈদেশিক অনুদানের জন্য রাজপথে নামেনি। তারা নেমেছে কেবল নিজের ভবিষ্যতের জন্য, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। এই শক্তি যদি আজ অবধি গণ্য না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব—এই ত্রয়ী যদি এই সংকটেও জবাব না দেয়, তাহলে সেই নীরবতা নিজেই রাষ্ট্রদ্রোহের প্রমাণ হয়ে থাকবে।

এই রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’—কিন্তু এখন এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লুটপ্রজাতন্ত্রী কোম্পানি’। আর এই লুটের সাম্রাজ্যে যারা রক্ত দিয়ে দেয়, তারাই এখন ন্যায়বিচার চায়। এই চাওয়া কোনো আবেগ নয়, এটি ইতিহাসের দাবি।

টোকাই জনগণের রাষ্ট্র ফেরতের ঘোষণা—একটি নতুন রাষ্ট্রচেতনার রূপরেখা

যে রাষ্ট্রে শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, পথবাসী, ফুটপাতের ফেরিওয়ালা, ভ্যানচালক, ক্ষুধার্ত মা কিংবা বস্তির শিশু রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে একটুও ভূমিকা রাখতে পারে না, সেই রাষ্ট্র কোনোভাবেই গণপ্রজাতন্ত্রী হতে পারে না। এ এক নিছক প্রতারণা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় বলা হয়েছিল, “এই রাষ্ট্র হবে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে।” কিন্তু কী নির্মম ট্র্যাজেডি—আজ থেকে ৫৪ বছর পরও সেই রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় গালাগালি হলো ‘টোকাই’—মানে রাষ্ট্রহীন নাগরিক!

তাদের না আছে নাগরিক মর্যাদা, না আছে আইনি সুরক্ষা, না আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা ভোটাধিকার। অথচ তারা শুধু বাঁচে না, দেশকেও বাঁচিয়ে রাখে। জুলাই অভ্যুত্থানে রাষ্ট্র যখন হোঁচট খাচ্ছিল, জেনারেলরা যখন মৌন, আমলারা যখন বিভ্রান্ত আর বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন চেয়ারে কে বসবে সেই হিসেব কষছিল—তখন এই ‘টোকাই’ জনগণই রাস্তায় নামল, রক্ষাকবচহীন, খাবার ছাড়া, আশ্রয়হীন, কিন্তু সাহসে ভরপুর। তারা না থাকলে এই রাষ্ট্র হয়তো আজও চোরের হাতেই পড়ে থাকত।

তাই এখন আর সময় নেই ‘দায়’ এড়িয়ে যাওয়ার। এবার সময় এসেছে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের। পরিস্কার করে বলি—এটি কেবল ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন নয়। এটি রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনিবার্য ইতিহাস-প্রসূত প্রয়োজন।

একটি চারস্তর বিশিষ্ট ন্যায্য রাষ্ট্রকাঠামোর দাবি:

১. রাষ্ট্রক্ষমতার উৎস হবে সরাসরি জনগণ—মৌখিকভাবে নয়, কার্যকরভাবে। যার মানে, স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গণপর্যবেক্ষণ ও জনগণের প্রত্যাহার অধিকারে সাজানো প্রশাসনিক কাঠামো গড়া। আজ যারা ভোট দেয়, তারা পাঁচ বছর পরও তার প্রভাব ফেলতে পারে না—এটা গণতন্ত্র হতে পারে না।

২. দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি চালু করা—যাতে এককেন্দ্রিকতা আর দলীয় ভাড়াটে ব্যবস্থার অবসান ঘটে। জনগণ যাতে সরকারপ্রধানকে সরাসরি নির্বাচনে ঠিক করতে পারে, এবং আবার প্রত্যাহার করতেও পারে, সেই অধিকার তাকে দিতে হবে। শেখ হাসিনা অথবা কোনো দলের হাতে অনির্দিষ্টকালের ক্ষমতা থাকা দেশের জন্য আত্মঘাতী।
৩. বিচার বিভাগ ও সেনাবাহিনীকে সাংবিধানিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা—আমরা আর কোনো ‘অদৃশ্য শক্তি’র চোখ রাঙানিতে দেশ চালাতে চাই না। জনগণের অর্থে বেতন নেওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, লুটপাটকারীদের নিরাপত্তা নয়। বিচারপতি ও জেনারেলরা যদি জনগণের মুখোমুখি হন না, তাহলে তারা জনগণের নয়, ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার।
৪. টোকাই জনগণের সমগ্রিক নাগরিকত্ব ঘোষণা—রাস্তার শিশু, বস্তির মা, ময়লা কুড়ানো কিশোরী, গার্মেন্টে কর্মরত কিশোরী—এই রাষ্ট্র তাদের নয় বলেই প্রতিদিন তাদের জীবন এমন বিপন্ন। এদের জন্য স্বতন্ত্র নাগরিক সুরক্ষা কমিশন, বিনা ব্যয়ে শিক্ষা ও চিকিৎসা, এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে নির্ধারিত সংরক্ষিত আসন চাই। শুধু ‘দয়া’র নামে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নয়—রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এই জনগণের স্থান নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রের প্রশ্নে নতুন সংলাপ চাই—পুরাতন মুখ, পুরাতন দল নয়

বাংলাদেশের রাজনীতি এখন পুরাতনদের হাতে জিম্মি—তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে এই লুটের কাঠামোর লাভভোগী। তারা যদি এই কাঠামো বদলাতে পারত, এত বছরেও পারত। তারা পারে না, কারণ তারা চায় না। কাজেই নতুন রাষ্ট্রচেতনা গড়তে হলে নতুন নেতৃত্ব চাই—যে নেতৃত্ব দলগত নয়, শ্রেণিগত; যে নেতৃত্ব ধানমণ্ডি থেকে নয়, পথঘাট থেকে উঠে এসেছে।

এবার নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দরকার—
•    লজ্জাহীন সত্য বলার মত সাংবাদিকতা
•    বয়ানের আড়ালে না লুকিয়ে সরাসরি বাস্তব প্রশ্ন তোলার মতন বুদ্ধিজীবী
•    এক্সেলশিট নয়, হৃদয়ে রাষ্ট্রচিন্তা করার মত অর্থনীতিবিদ
•    ‘শত্রু নয় প্রতিবেশী’ ভিত্তিক স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি
•    এবং সবশেষে, এক অভূতপূর্ব জনআন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা একটি ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।

শেষ কথাঃ এই রাষ্ট্র ‘টোকাই’দের ফিরিয়ে দেবে কি না, সেটাই এখন ইতিহাসের পরীক্ষা

আমরা যাদের টোকাই বলি, তাদের কাছে আজ ইতিহাসের পাসওয়ার্ড রয়েছে। তারা যদি আর একবার উঠে দাঁড়ায়—এইবার শুধু রাজপথে নয়, কাঠামোর ভিতরেও প্রবেশ করে—তবে এই রাষ্ট্র কেবল বদলাবে না, নতুন রাষ্ট্র হবে।

এই লেখায় আমি সেই তীব্র সত্যটি তুলে ধরলাম। এখন আপনারা বলুন—এই জনতার ঘাম আর রক্তের দাম কী হবে?
দরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। শুধুমাত্র প্রশাসন নয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের দাসত্ব ত্যাগ করে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। আর রাজনীতির ময়দান থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বার্থপরতা ও দলীয় ষড়যন্ত্র মুছে ফেলা ছাড়া এই কাজ অসম্ভব।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাস, সংগ্রামের স্মৃতি এবং গণতন্ত্রের অটুট ভিত্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য দেশকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। এ পথে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে—চাই সেটি রাজনীতিবিদ হোক, প্রশাসক হোক, সেনাবাহিনী হোক বা সাধারণ মানুষই হোক।

এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত—সৎ ও দৃঢ় নেতৃত্বের তলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা, সকলের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করা, প্রশাসনের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা, এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সুশাসন স্থাপন করা।

যখন এসব আদর্শের ভিত্তি দৃঢ় হবে, তখন টোকাই জনগণের সংগ্রাম সত্যিকার অর্থে সফল হবে, সেই সংগ্রাম দেশের ভবিষ্যতকে আলোকিত করবে, আর দীর্ঘদিন অবহেলিত এই দেশের নাগরিকরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।

লেখক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার23 minutes ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার32 minutes ago

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ইপিএস বেড়েছে ১২ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ২৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা ব্যাংকের ইপিএস কমেছে সাড়ে ৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি যমুনা ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ১৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।...

ডাচ-বাংলা ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার3 hours ago

রেকিট বেনকিজারের ইপিএস কমেছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার23 minutes ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার32 minutes ago

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ইপিএস বেড়েছে ১২ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
জাতীয়38 minutes ago

বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

পায়রা বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে দুই কার্গো এলএনজি

ডাচ-বাংলা
জাতীয়2 hours ago

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা

ডাচ-বাংলা
আন্তর্জাতিক2 hours ago

মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ২৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা ব্যাংকের ইপিএস কমেছে সাড়ে ৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার23 minutes ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার32 minutes ago

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ইপিএস বেড়েছে ১২ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
জাতীয়38 minutes ago

বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

পায়রা বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে দুই কার্গো এলএনজি

ডাচ-বাংলা
জাতীয়2 hours ago

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা

ডাচ-বাংলা
আন্তর্জাতিক2 hours ago

মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ২৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা ব্যাংকের ইপিএস কমেছে সাড়ে ৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার23 minutes ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার32 minutes ago

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ইপিএস বেড়েছে ১২ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
জাতীয়38 minutes ago

বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

পায়রা বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

ডাচ-বাংলা
অর্থনীতি1 hour ago

৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে দুই কার্গো এলএনজি

ডাচ-বাংলা
জাতীয়2 hours ago

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা

ডাচ-বাংলা
আন্তর্জাতিক2 hours ago

মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ২৮ শতাংশ

ডাচ-বাংলা
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা ব্যাংকের ইপিএস কমেছে সাড়ে ৮ শতাংশ