খেলাধুলা
চার কোটি টাকা ক্রীড়া ভাতা পেলেন ১ হাজার ৬৩২ জন
![চার কোটি টাকা ক্রীড়া ভাতা পেলেন ১ হাজার ৬৩২ জন আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/aa-26.jpg)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৬ আগস্ট ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের জন্য ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করেন তিনি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণসেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুস্থ-অসহায় ও অসুস্থ ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের সহায়তা করছে দীর্ঘদিন থেকেই।
অসহায় ও দুস্থ খেলোয়াড়-সংগঠকদের মাসিক দুই হাজার টাকা করে বছরে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও ফেডারেশনের মাধ্যমে আবেদনের পর ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন যাচাই বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করে। মনোনীত ব্যক্তিদের চেক সংগ্রহ করতে ঢাকায় আসতে অনেক খরচ হয়। আবার অনেক সময় ঢাকা থেকে ক্রীড়া কল্যাণসেবী জেলা-পর্যায়ে চেক প্রেরণ করাও সময়সাপেক্ষ। এই সংকট দূর করতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আজ থেকে এটি ডিজিটালাইলেজশন করেছে। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়-সংগঠকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ সরাসরি জমা হবে। যাকে ব্যাংকিংয়ের ভাষায় বলা হয় ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার)।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ক্রীড়া কল্যাণসেবীর এই ডিজিটালাইজেশনের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রম সম্পাদন করে। ভার্চুয়ালি ঢাকার সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখার ম্যানেজার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জানান, সোনালী ব্যাংকে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তারা সবাই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং যাদের সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের আজ বিকেলের মধ্যে টাকা জমা হবে।
আজ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলা পর্যায়ে মোট ২,৬৭৫টি আবেদন হতে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১৬৩২ জনকে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ক্রীড়াভাতা প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বর্তমান সিডমানি ৭৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। যা থেকে বাৎসরিক মুনাফার পরিমাণ আনুমানিক ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এই অর্থ দিয়ে মাসিক ভাতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি ও অসুস্থ ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের চিকিৎসা সহায়তা করা হয়।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সংকট ও ভাতা প্রদান সম্পর্কে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজে ফুটবলার ছিলেন। ক্রীড়াবিদদের জন্য তার এই উদ্যোগ ছিল সুদূরপ্রসারী ভাবনা। খেলোয়াড়রা একটা বয়সের পর আর খেলতে পারেন না। খেলার জন্য অনেক সময় পড়াশোনাও হয় না সেভাবে। খেলার জন্য চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যও সেভাবে করতে পারেন না। ফলে খেলা ছাড়ার পর একটা আর্থিক সংকটের মধ্যে তো পড়েনই। এই সামান্য অর্থ অনেকের জন্য খুব উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। এটা যথেষ্ট নয় আমি মনে করি। একটা পরিকল্পনা রয়েছে ক্রীড়াবিদদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরাও যোগাযোগ করব।’
২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সর্বমোট ৯,৫৭৭ জন ক্রীড়াসেবীকে মাসিক/এককালীন ক্রীড়াভাতা ১৯ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৩৭ জন অসুস্থ ক্রীড়াসেবীকে চিকিৎসা/আর্থিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ১০০০ জন ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের ১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
খেলাধুলা
হার্দিকদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিবে বিসিসিআই
![হার্দিকদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিবে বিসিসিআই আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind1.jpg)
বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপির পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে জয় শাহ লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ১২৫ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।’
এছাড়া বিবৃতি দিয়ে জয় শাহ রোহিত শর্মা ও দলের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের প্রশংসা করেছেন, ‘রোহিত শর্মার অসাধারণ নেতৃত্বে এই দল দারুণ সংকল্প ও স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছে।’
তাদের এই জয় কোটি ভারতীয়দের জন্য উৎসাহের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘দলটি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে এবং সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে জবাব দিয়েছে। বিশ্বসেরাদের কাতারে নাম তুলেছে। এমন অর্জনে ভারতীয়রা গর্বিত হয়েছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেল সাকিবসহ ৭ ক্রিকেটার
![ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেল সাকিবসহ ৭ ক্রিকেটার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Shakib-Mustafiz.jpg)
ভারতের জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শেষ হয়েছে গতকাল রাতেই। তবে, নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল সুপার এইট থেকে বাদ পড়ায় টাইগারদের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল আরও কয়েকদিন আগেই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপের টানা খেলার ধকল শেষে বর্তমানে বিশ্রামে টাইগাররা। তবে সব টাইগার ক্রিকেটার এখনই বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩টি বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। সেখানে খেলার জন্য বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত ক্রিকেটারের এনওসির মেয়াদ রয়েছে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। ওই মাসেই পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর রয়েছে, যেখানে শান্ত ও সাকিবদের অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে জানান, ‘অনেকে গ্লোবাল (কানাডা) টি-টোয়েন্টি খেলবে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি এবং শ্রীলঙ্কার ফ্রাঞ্চাইজি লিগে (এলপিএল) খেলবে চারজন। এনওসি পাওয়া ক্রিকেটারদের ১০ আগস্টের আগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, আমেরিকান মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) এবং কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। যেখানে সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন, যা শুরু হবে ৫ জুলাই।
মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং তাওহীদ হৃদয় ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। মোস্তাফিজ ও হৃদয় ডাম্বুলা সিক্সার্স এবং তাসকিন কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলবেন।
এ ছাড়া ২৫ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। রিশাদ হোসেন টরোন্টো ন্যাশনালস এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের হয়ে খেলবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবশেষে ভারতের বিশ্বকাপ জয়
![অবশেষে ভারতের বিশ্বকাপ জয় আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind1.jpg)
মহেন্দ্র সিং ধোনি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নুয়ান কুলাসেকেরার বলে ছয় হাঁকাচ্ছেন, এটাই গত ১৩ বছর ধরে ভারতের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ছিল। একটা বিশ্বকাপের জন্য এরপর থেকে হন্যে হয়ে ঘুরেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আসেনি। সাতমাস আগেই নিজেদের মাটিতে হেরেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল।
সেই আক্ষেপ মিটল নিজ থেকে বহুদূরের মাটিতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোজের কড়া রোদের নিচে আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ১৭ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ম্যান ইন ব্লুরা। সেটা দিয়েই শিরোপার পথে নেমেছিল ধোনির ভারত। লম্বা অপেক্ষা শেষে আবারও সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই শিরোপাখরা ঘুচালো দলটা।
বার্বাডোজে উৎসবের মঞ্চ আগেই সাজিয়ে রেখেছিল ভারত। ১৭৬ রানের শক্ত সংগ্রহ তারা দাঁড় করায় ফাইনালের মঞ্চে। বল হাতে শুরুটাও ছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। মাঝে কুইন্টন ডি কক আর হেনরিখ ক্লাসেন দাঁড়ালেন দেয়াল হয়ে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টাও ছিল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে যে লেগে আছে চোকার্স তকমা। ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণটাই আর মেলানো হয়নি তাদের। আর্শদ্বীপ সিং আর জাসপ্রিত বুমরাহ একের পর এক ডট ডেলিভারিতে চাপ বাড়িয়েছেন। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে জয় হলো ভারতেরই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি লাইনে মিলারকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরালেন সুর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। ৭ রানের জয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৭৭ রান
![বিশ্বকাপ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৭৭ রান আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind.jpg)
এবারের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি এসেছিলেন আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মকে সঙ্গে নিয়ে। ওপেনার পজিশনটাও তাকে দেয়া হয়েছিলো সে কারণেই। কিন্তু আসরে কোহলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে অর্থে। ফাইনালের দিনে দরকার ছিল নিজেকে ফেরানোর। কোহলি ঠিকই নিজেকে ফিরে পেলেন। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কোহলি আবারও বোঝালেন কেন তিনিই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে নিজের দলকে ঠিকই নিয়ে গিয়েছেন বড় স্কোরের কাছে।
ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ফিফটির সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ আর শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রান ভারতকে দিলো জয়ের শক্ত পুঁজি।
তবে বড় স্কোরের জন্য কিছুটা বাড়তি প্রশংসা পাবেন অক্ষর প্যাটেল। এবারের আসরে তিনি ছিলেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।
শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।
বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।
ফিফটির পরেই কোহলি হলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। ইনিংসের একটা পর্যায়ে টানা ৩৭ বল বাউন্ডারির দেখা পাননি কোহলি। ৪৮ বলে আসে তার পঞ্চাশ রান। এরপরেই খেললেন নিজের চেনা রূপে। ৫০ থেকে ৭৬ যেতে খেললেন মোটে ৮ বল। আউটও হয়েছিলেন সেই বড় শট খেলার তাগিদ থেকে। মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ইনিংস।
কোহলির উইকেটের পর খুব একটা বাকি ছিল না ইনিংসের। ভারতও সেটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি। ভারতের ইনিংসের শেষ ১৩ বলে আসলো ১৩ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাফুফের বাজেট ঘাটতি ২২ কোটি টাকা
![বাফুফের বাজেট ঘাটতি ২২ কোটি টাকা আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/BFF-congress-bangladesh-football1.jpg)
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চলতি বছরের বাজেটে সব কর্মকাণ্ডের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকার। আজ শনিবার বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বা কংগ্রেসে নতুন বাজেটটি অনুমোদিত হয়েছে।
এদিকে বাফুফের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী ঘাটতি পূরণের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘাটতি পূরণের জন্য ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাইবেন।
সভা শেষে বাজেট নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা এ বছর ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছি। কংগ্রেস আমাদের বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। তবে আমাদের নিজেদের যে সম্ভাব্য আয় সেটি ৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আমাদের ঘাটতি থাকে প্রায় ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেটা আমরা বাফুফেতে যারা আছি কাজী সালাউদ্দিন (বাফুফে প্রধান) সহ আমরা সকলে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। এছাড়া আমরা যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় থেকে সাহায্য চাইবো। এজন্য আমরা একটা চিঠি দেবো। আমাদের যে ঘাটতি বাজেট আছে সেটা আমরা পূরণ করবো। ‘
বছরের প্রায় ছয় মাস পার হয়ে গেছে, ইতোমধ্যে কতটা বাজেট ঘাটতি পূরণ হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকটাই পেরেছি। বাজেট সব সময় ঘাটতি হয়। বাজেটে যদি আয় আর খরচ সমান হয়, তাহলে আপনারা বলবেন আমাদের আর কন্ট্রিবিউশন কী। বাজেটে ঘাটতি থাকবেই, আমরা পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে নেবো। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি সেখান থেকে আমরা কিছু সাপোর্ট পাবো এবং এভাবে আমরা আমাদের ঘাটতি পূরণ করব।
এমআই