প্রবাস
নিউজিল্যান্ড ছাড়ার হিড়িক অভিবাসীদের
নিউজিল্যান্ড থেকে অভিবাসীদের দেশ ত্যাগের হিড়িক দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী দেশটি ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। বুধবার (১২ জুন) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের অস্থায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসনের তথ্যানুসারে,২০২৩ সালে দেশটি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী। এ সময়ে এক লাখ ৩০ হাজার ৬০০ অভিবাসী দেশ ছেড়েছেন।
এতে দেখা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদে দেশত্যাগকারীদের মধ্যে আনুমানিক ৮১ হাজার ২০০ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১২ সালে নাগরিকদের দেশ ছাড়ার রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছরে ৭২ হাজার ৪০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন।
অভিবাসন তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ফিরে এসেছেন ২৪ হাজার ৮০০ নাগরিক। ফলে সামগ্রিক হিসাবে দেশটিতে ৫৬ হাজার ৫০০ জন আভিবাসী কমে গিয়েছে। যা ২০১২ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৪০০ জন। ফলে নতুন করে এ অভিবাসন ঘাটতি আগের রেকর্ড ভেঙেছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই বছরে নিউজিল্যান্ডে এক লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ বিদেশি অভিবাসী প্রবেশ করেন। ফলে সামগ্রিকভাবে অভিবাসী বেড়েছে ৯৮ হাজার ৫০০ জন। এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ভারত। এরপরে রয়েছে ফিলিপাইন ও চীন
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অভিবাসনসংক্রান্ত অস্থায়ী ডেটাও প্রকাশ করেছে স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড। এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া ও কর্মসংস্থানের অভাবে নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেশাদার বা স্নাতকরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। দেশটির অনেক তরুণ স্কুল বা উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিদেশে পাড়ি জমানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।
স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নির্দেশক ব্যবস্থাপক তেহসিন ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসন পরিবর্তনের পেছনে বেশকিছু কারণ থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনামূলক অর্থনৈতিক ও শ্রমবাজারের অবস্থা।
ইনফোমেট্রিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড ওলসেন জানান, বিদেশে অভিবাসনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। বিদেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কম বয়সী কিউইরা দেশের বাইরে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বিদেশ সফর বিলম্বিত হতে পারে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি বলেন, দেশ ত্যাগ করার মধ্যে অর্ধেকের বেশি অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর ফলে এটি বোঝা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এবং পরিবার অন্য কোথাও সুযোগ খুঁজছে। তারা আরও স্থায়ী পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।
ওলসেন বলেন, নাগরিকদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে আবাসন খরচ মেটানোর সামর্থ্য এবং চাকরির ঘাটতি অব্যাহত থাকলে তাদের আবার দেশে ফেরানো কঠিন হয়ে পড়বে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা উঠে যাচ্ছে প্রবাসীদের জন্য
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগসীমা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিন যুক্তিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তিগুলো হচ্ছে প্রবাসী পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের অর্থ দেশে বিনিয়োগ করা, বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুগম করা এবং প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) অন্তর্মুখী প্রবাহ বৃদ্ধি করা।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) সচিব আবদুর রহমান খানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। দেশে ১৯৮১ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড চালু করা হয়। মুনাফা পাওয়া যায় সরল সুদে।
আইআরডি সচিব আবদুর রহমান খান এ বিষয়ে গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, এখনো তাঁর কাছে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আসেনি। তাই এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড বিধি ১৯৮১ (সংশোধিত ২৩ মে ২০১৫) অনুযায়ী, যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ ছিল। কোভিড-১৯ এর প্রকোপ চলাকালে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর আইআরডি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের সমন্বিত বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করে এক কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এরপর ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে যেকোনো পরিমাণ বিনিয়োগ এ দুই বন্ডে আসছে। তবে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার এ বন্ডের অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগের সুযোগও নেই। ফলে আগে বিনিয়োগ করা অর্থ প্রবাসীরা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসব কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। দূতাবাসগুলোর পক্ষেও রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সীমা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আইআরডি সচিবকে বলেছে, প্রবাসী আয়প্রবাহের পাশাপাশি প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাতিল বা শিথিল করা দরকার।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়েজ আর্নার্স বন্ড কেনায় এক কোটি টাকার সীমা বাতিল করার প্রস্তাব করেছি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা লাগবে, আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক তা করে দেবে।’ এ বন্ডের মাধ্যমে আরও বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও তফসিলি ব্যাংকের বিদেশি ও অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় এসব বন্ড কেনা যায়। এ বন্ডের মুনাফা আয়করমুক্ত। আবার বন্ডের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার সুযোগও আছে। এ ছাড়া বন্ড কিনতে ফরেন কারেন্সি বা বৈদেশিক মুদ্রায় (এফসি) হিসাব থাকারও বাধ্যবাধকতা নেই।
এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী (ওয়েজ আর্নার) নিজে। ওয়েজ আর্নার তাঁর মনোনীত ব্যক্তির নামেও এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত সরকারের কর্মচারীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে। এতে বিনিয়োগ করলে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুঝুঁকির আর্থিক সুবিধা রয়েছে।
মেয়াদপূর্তির আগে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে তাঁর মনোনীত নমিনি বা ব্যক্তিকে যে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়, সেটিই হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকির সুবিধা। মৃত্যুঝুঁকির সুবিধা অবশ্য ২০ লাখ টাকার বেশি দেওয়া হয় না এবং বন্ড ধারকের বয়সও হতে হয় ৫৫ বছরের নিচে। মৃত্যুঝুঁকির সুবিধাটি নিতে গেলে মারা যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হয়। বন্ড ধারকের মৃত্যুর পর বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে আসল ও মুনাফা পাবেন তাঁর উত্তরাধিকারীরা।
১৫ লাখ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে মুনাফা ১২ শতাংশ হলেও ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১১ শতাংশ, ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এ–বিষয়ক একটি প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে উপস্থাপন করবে আইআরডি। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা অনুমোদন করলে প্রজ্ঞাপন জারি করবে আইআরডি, যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। তবে মুনাফা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে বলে এতে অর্থ বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামতও লাগতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রস্তাবটি আগে আসুক।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ না করলেই বদলি: আসিফ নজরুল
আইন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রবাসীদের অভিযোগের কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের তা জানাতে হবে। প্রবাসী কল্যাণে সেবামূলক কাজ না করলে বদলি করা হবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বিমানবন্দরে কোনো অবস্থায় প্রবাসী হয়রানি বরদাশত করা হবে না। প্রবাসীদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দেয়া হবে।
আন্দোলনের সময় একাত্মতা জানাতে গিয়ে যে ৮৭ জন দেশে ফিরেছেন সরকার তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলেও জানিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে। প্রবাসীদের ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দেবে। সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের শাখায় প্রবাসী ব্যাংকের বুথ খোলা হবে।
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ায় আবারও কর্মী পাঠানোর বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ওয়েজ আার্নার্স বন্ডের মাধ্যমে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে বলেও জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রবাসীদের বিদেশে যেতে সাব এজেন্টদের রেজিস্ট্রেশন করা হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিকে পারফমেন্সের ভিত্তিতে ক্যাটাগরি করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছয় ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মদিনা-ঢাকা ফ্লাইট বাতিল করল বিমান
উড়োজাহাজের কারিগরি ত্রুটি সারাতে যাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচবার সময় নিয়ে ৬ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর মদিনা-ঢাকা ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমানের বিজি১৩৮ ফ্লাইট গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মদিনার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে সেই ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ২৫০ যাত্রী। তাদের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে পরে ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিমানের যাত্রীরা জানান, বোর্ডিং পাস নিয়ে ফ্লাইটে ওঠার আগমুহূর্তে রাত ১১টার সময় ‘টেকনিক্যাল ত্রুটির’ কারণে আধা ঘণ্টা দেরির কথা জানায় বিমান। কিন্তু ত্রুটি সারাতে না পেরে এক ঘণ্টা করে আরও পাঁচবার সময় নেয় বাংলাদেশ বিমান। পরে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে যাত্রা বাতিলের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
২৭১ আসনের ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন আড়াই শ। সারা রাত বসিয়ে রাখার পর সকালে ফ্লাইট বাতিল করায় ভোগান্তিতে পড়েন তাঁরা।
বাংলাদেশ বিমানের মদিনা স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইটটি মদিনা থেকে যাত্রা শুরুর আগমুহূর্তে এতে ‘টেকনিক্যাল ত্রুটি’ ধরা পড়ে। স্থানীয় প্রকৌশলীরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে সমাধান করতে না পারায় যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রকৌশলী এনে ত্রুটি সারানোর চেষ্টা করা হবে।
কী ধরনের ত্রুটি হয়েছে জানতে চাইলে এনামুল বলেন, ‘জাহাজটি সচল রাখতে ২৪টি সফটওয়্যার অ্যাক্টিভ থাকা দরকার। এগুলোর মধ্যে ১০টি অ্যাক্টিভ হলেও বাকিগুলো সচল হয়নি। এ কারণে যাত্রা আপাতত বাতিল করা হয়েছে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৫৪ বাংলাদেশি
লিবিয়ার ত্রিপোলি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ১৫৪ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রচেষ্টায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) সকাল ৭টার দিকে বুরাক এয়ারের (ইউেজড-০২২২) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় আইওএমর পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে আসা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যাবাসন করা ওইসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আইওএম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনের প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশনের ওভারসিজ ডিরেক্টর হলেন ছাইয়েদুল
চীনের হেনান প্রদেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বিনিময় প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম হেনান প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ এর ওভারসিজ ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছেন।
এই প্রভিন্সিয়াল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের অষ্টম কাউন্সিলে তাকে ওভারসিজ ডিরেক্টর মনোনীত করা হয়। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি অ্যাসোসিয়েশনটির এ পদে মনোনীত করা হয়।
ছাইয়েদুল ইসলাম বর্তমানে চীনের চিয়াংশি প্রদেশের নানচাং শহরে অবস্থিত চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনেমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে চীন সরকারের স্কলারশিপে পিএইচডি প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মেজরে অধ্যয়ন করছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১৮ সালে চীন সরকারের স্কলারশিপে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেজরে ভর্তি হন তিনি।
পড়াশোনার পাশাপাশি চীনে তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন। বিভিন্ন দিক থেকে চীনের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং চীন-বাংলা বন্ধুত্ব সমুন্নত রাখতে কাজ করছেন। চীনের প্রভাবশালী সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে তার কাজের প্রশংসা করেছে।
ছাইয়েদুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বারিক। দুই ভাই বোনের মধ্যে তিনিই বড়।
হেনান প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ লক্ষ্য হলো চীনা জনগণ এবং অন্য দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রচার করা। তাছাড়া এ অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সরকার এবং তাদের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে ‘মানুষের মধ্যে-মানুষের বিনিময়’ গড়ে তুলতে কাজ করে।
কাফি