পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
![এনআরবিসি ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/AGM.jpg)
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের জন্য ঘোষিত ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ২০২৩ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে এজিএমে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব:) আবু এশরার, ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ড. রাদ মজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো: রবিউল ইসলাম, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশিদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ এজিএমে উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ১৬ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা ৩৫৬ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা । এছাড়া গত বছর ব্যাংকটির মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা এবং রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ১৯২ কোটি টাকা ও রেমিট্যান্স এসেছে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
এজিএমে অংশ নেয়া সকল পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে নারী, প্রশিক্ষিত যুবা ও সমাজের অন্যান্য পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতোমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষিত যুবাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনা জামানতে সহজশর্তে ঋণ দিচ্ছে। শহরমুখী কমাতে এবং মহাজনী সুদ থেকে মুক্তি দিতে ক্ষুদ্রঋণের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এনআরবিসি ব্যাংকের প্রশংসিত এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৮৬ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এনআরবিসি ব্যাংকের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। ফলে সাধারণ মানুষ বাড়ির কাছেই ব্যাংকের সেবা পাচ্ছে। আবার প্লানেট অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই ‘রিয়েল টাইম ব্যাংকিং’ করতে পারছে। এছাড়া, সাধারণ মানুষের চাহিদার উপরভিত্তি করে ব্যাংক সেবা সাজিয়ে থাকে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) মো: রবিউল ইসলাম বলেন, সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সকল আর্থিক সূচকে এগিয়ে আছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য। গ্রামীণ বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের জন্য অধিকাংশ শাখা-উপশাখা এবং অন্যান্য সেবাকেন্দ্র। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে; যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য,উপশাখার ধারণার প্রবর্তক এনআরবিসি ব্যাংকের সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দেড় সহস্রাধিক। এরমধ্যে পূর্নাঙ্গ শাখা ১০৬ টি ও উপশাখার সংখ্যা ৬৯০ টি। এনআরবিসি ব্যাংক বিআরটিএর ফি গ্রহণ, ভূমি নিবন্ধন ফি আদায় করছে। এছাড়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৬০০ টি এজেন্ট পয়েন্ট। ২০২১ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় ব্যাংকটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’
![‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/cmjf.jpg)
প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গত ১০ থেকে ১২ বছরে প্লেসমেন্ট ইস্যুকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমজেএফের সভাপতি এসএম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় ফল উৎসবে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারি, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিনিয়র সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।
শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের আকার এখনো ছোট। আমরা মনেপ্রাণে চাই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এরমধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এতো প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না তা হয় না।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্লেসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিলো বলে আমি মনে করি। তবে এটাকে কীভাবে ব্যবহার করছে তার উপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। তবে এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে এই অনিয়মগুলো তুলে ধরলে কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এরমাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ৯-১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এতো বছর পরও লেনদেন বাড়েনি, বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০-৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০-১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন
![খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Khan-Brothers.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৬৪টির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে টপটেন লুজার বা সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান নিয়েছে সিলভা ফার্মা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শামপুর সুগার মিলসের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ
![ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Walton.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩০০টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে ওয়ালটনের শেয়ার দর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ক্যাাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে লিনডে বিডি।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, মনোস্পুল পেপারের ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজিউমারের ২৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, পিপুলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং রেনাটা লিমিটেডের ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
![ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Unilever.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ ইউনিলিভার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেনাটা লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ২৮ কোটি ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার।
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সী পার্ল হোটেলের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ১২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ
![বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/dse-11.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় ছিলো দেশের শেয়ারবাজার। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ও মূল্য সূচক। বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন প্রায় ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে ডিএস৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৩ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৭৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস বিদায়ী সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির এবং ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাইটেক। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।
এসএম