ধর্ম ও জীবন
কোরবানির পশুতে শরিকের বিধান
কোরবানি শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য নিয়তে কোরবানি করলে আল্লাহর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। একটি পশু একজনে কোরবানি দেওয়া যাবে, গরু, মহিষ ও উটে শরিকে দেওয়া যাবে। তবে শরিকি কোরবানির ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কোন পশু ক’জন মিলে কোরবানি দিতে পারবে?
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা শুধু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যাবে। এমন একটি পশু দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করলে কারও কোরবানিই হবে না। উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক শরিক হলে কারও কোরবানিই হবে না। (ফতোয়ায়ে কাজিখান, ৩/৩৪৯; বাদায়েউস সানায়ে, ৪/২০৭-২০৮)
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হজের ইহরাম বেঁধে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বের হলাম। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে একটি গরু এবং একটি উটে সাতজন করে শরিক হওয়ার নির্দেশ করলেন। (মুসলিম, ১৩১৮/৩৫১)
শরিকানায় অংশ ও শরিকদের যেমন হওয়া চাই
সাতজনে মিলে কোরবানি করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারও অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। (যেমন, কারও আধা ভাগ, কারও দেড় ভাগ)। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি সঠিক হবে না। তেমনিভাবে কোরবানি করতে হবে সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে। হারাম টাকা দিয়ে কোরবানি করা সঠিক নয় এবং এক্ষেত্রে অন্য শরিকদের কোরবানিও আদায় হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে, ৪/২০৭)
শরিক নির্বাচনে সতর্কতা জরুরি
সব অংশীদারের নিয়ত কোরবানির জন্য হতে হবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না; কিন্তু পৌঁছায় তোমাদের অন্তরের তাকওয়া। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭) তাই যদি কেউ আল্লাহতায়ালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে নিছক গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে, তা হলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারোরই কোরবানি আদায় হবে না। সুতরাং খুব সতর্কতার সঙ্গে শরিক নির্বাচন করা চাই। (বাদায়েউস সানায়ে, ৪/২০৮)
একা কোরবানির নিয়তে পশু কিনে পরে শরিক করার বিধান
যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কোরবানি দেওয়ার নিয়তে ক্রয় করে আর সে ধনী হয়, তা হলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ। তবে এতে কাউকে শরিক না করে তার একা কোরবানি করাই উত্তম। শরিক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরিব হয়, যার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়, তা হলে যেহেতু কোরবানির নিয়তে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তাই তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ নয়। যদি শরিক করে, তা হলে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি। আর কোরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিতে হবে। (ফতোয়ায়ে কাজিখান, ৩/৩৫০-৩৫১; বাদায়েউস সানায়ে, ৪/২১০)
জবাইয়ের আগে শরিকের মৃত্যু হলে করণীয়
জবাইয়ের আগে কোনো শরিকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি করার অনুমতি দেয়, তা হলে তা জায়েজ হবে। নইলে ওই শরিকের টাকা ফেরত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তার স্থলে অন্যকে শরিক করা যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার, ৬/৩২৬)
কোরবানির পশুতে আকিকা ও হজের নিয়ত
কোরবানির পশুতেই আকিকা ও হজের কোরবানির নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে। এমন পশু হারাম এলাকায় জবাই করতে হবে। অন্যথায় হজের কোরবানি আদায় হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে, ৪/২০৯)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
হজের নিবন্ধন শুরু আজ, কমছে ব্যয়
২০২৫ সালের পবিত্র হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়ে এ নিবন্ধন চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২৬ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ২০২৫ সালে হজে যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন।
ই-হজ সিস্টেম, ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপ থেকে সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার আশকোনার হজ অফিস হতে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে অনুমোদিত এজেন্সি কর্তৃক প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
জানা গেছে, এ বছরও ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। সৌদি সরকার আরও আগেই বাংলাদেশের জন্য এই কোটা ঘোষণা করেছে। এই কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বের কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যে কোনো ব্যক্তি তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ বছরের হজ প্যাকেজ মূল্য সৌদি পর্বের ব্যয় ও বিমান ভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে। তবে ২০২৫ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য গত বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব ড. ওয়ালিয়ুর রহমান
দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজ পড়াবেন হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমানবলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ তিনি গত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।
তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেন। এছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি গ্রেড ৫) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমামতি করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। এটিকে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। যেসব কর্মকর্তারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন তাদের মাঠে পাঠানো হবে। মাঠপর্যায়ে যারা যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তার কর্মকাণ্ড, ভিশন ও মিশন থেকে সরে এসেছে। বিশেষ করে অতিমাত্রিক রাজনীতির কারণেই এরূপ লক্ষ্যচ্যুত ঘটেছে। এ জায়গা থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উত্তরণ ঘটাতে হবে। এটিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা হবে।
ড. খালিদ বলেন, বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কারা ধ্বংস করেছে সেটা তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করব। এ ছাড়া মডেল মসজিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রকল্পের শিক্ষক, জনবল ও বেতন কাঠামোর বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া শিক্ষা পদ্ধতি, উপবৃত্তি চালু ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
দেশের ক্রান্তিলগ্নে ওলামারা সবসময় এগিয়ে এসেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতির যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ওলামা-মাশায়েখরা জনগণের পাশে আছেন ও থাকবেন। দেশের বানভাসী অসহায় মানুষের সহায়তায়ও আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ সমাজ এগিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ফেনীর লালপুলে সিলোনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আলেম-ওলামা সমাজ জনগণের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। করোনার সময়ে যখন পিতা তার পুত্রের লাশ ছুঁয়ে দেখেনি, স্ত্রী তার স্বামীর লাশ ফেলে পালিয়েছে; তখনও আলেম-ওলামা সমাজ এগিয়ে এসেছিলেন। তারা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের সেবা করেছেন। এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কোভিডে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেছেন।
ড. খালিদ বলেন, ওলামা-মশায়েখ সমাজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সেবা করে থাকেন, কখনও বিভেদ করেন না। আজও তারা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
তিনি বানভাসী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাউছিয়া কমিটিসহ সব ইসলামি দল ও সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী আজ। দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করবেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
জন্মাষ্টমী মিছিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। মিছিলের উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এছাড়াও ৩০ আগস্ট দুপুর ২টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এ উপলক্ষ্যে (২৫ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত) তিন দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নাটক কীর্তন মেলা।