সারাদেশ
জামালপুর থেকে ৪০০ গরু নিয়ে রাজধানীর পথে ট্রেন

ঈদ সামনে রেখে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে কোরবানি যোগ্য ৪০০ গরু নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে প্রথম ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’। প্রতিটি গরু পরিবহনে খরচ পড়ছে ৫০০ টাকা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
ট্রেনটির ২৫টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৪০০ গরু রয়েছে। প্রতি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি গরু রাজধানীতে যেতে খরচ ৫শ টাকা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খরচ কমার পাশাপাশি যানজটমুক্ত নিরাপদ পরিবেশে গরু নিয়ে রাজধানীতে যাওয়া যাচ্ছে, এটা অনেক ভালো ব্যাপার।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অফিসার ইনচার্জ হাসান মাহমুদ বলেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের সদস্যরা সব সময় তৎপর রয়েছে। রেল যাতায়াতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া যাবে না।
ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন স্টেশন মাস্টার শাহিন মিয়া বলেন, কম ভাড়া ও নিরাপত্তা থাকায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আজ একটি ট্রেন ৪০০ গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। রাতে আরেকটি ট্রেন যাবে। এছাড়া আগামীকাল আরও গরু নিয়ে রাজধানীতে যাবে একটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ধুলিয়া মাদরাসা মাঠে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা মসজিদ পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করেছি। এখন থেকে কেউ চাইলেই কোনো ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না। ইমাম নিয়োগেরও নীতিমালা হবে। ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতনের জন্য ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতনকাঠামো করা হবে।
কওমি সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমাদেরকে দেখতে হবে কওমির সনদ ও সুবিধা যারা নিতে চান তারা নিতে কতটা প্রস্তুত। তারা নিতে চাইলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। মনে রাখতে হবে মাদরাসা হলো আল্লাহর রহমত। আল্লাহর ভয় থাকলে মানুষের মর্যাদা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মর্যাদা বাড়ানোর জন্য আমরা প্রতি বছর ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৪ জেলার সেরা ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করব।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ৮ মাস দায়িত্ব পালনকালে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এবার হজের খরচ প্রায় ১ লাখ টাকা কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি টাকায় এখন আর কেউ হজে যেতে পারবে না।
আর-রাহমান ফাউন্ডেশন ধুলিয়া ঘাটুয়া, আমিরপুর বানিয়াচংয়ের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধুলিয়া (র.)-এর সাহেবজাদা মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদি, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আহমেদ কাটখালীসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯

শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আফাজ উদ্দিন মোল্লা বাজারে আলমগীর মাদবর ও মতি মোল্লার ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মতি মোল্লার ছেলেরা আলমগীর মাদবরের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আলমগীর মাদবরের স্ত্রী। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আলমগীর মাদবর, মালেক মোল্লা, খবির মোল্লা, খোকা মাদবর এবং আলমগীর মাদবরের শ্বশুরবাড়ি থেকে আসা মেয়ে শান্তনা। শান্তনার মা জানান, “মাত্র তিন মাস আগে আমার মেয়ের সিজার অপারেশন হয়েছে। তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, অবস্থা গুরুতর।” আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মতি মোল্লার ছেলে কাদির মোল্লা, নাছির মোল্লা ও ইদ্রিস মোল্লাকে ভর্তি করা হয়েছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। কুদ্দুস মোল্লা সামান্য আহত হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেকান্ত খাঁসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তারা জানান, “উভয় পক্ষকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করা হলেও উত্তেজনার কারণে কেউ কারো কথা শুনছিল না।”
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাজৈরে সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের রাজৈরে ধারাবাহিকভাবে চলছে সংঘর্ষ। এমন ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংঘর্ষস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে একটি লিখিত আদেশে এ আইন জারি করেন রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুল হক।
আদেশে বলা হয়, প্রায় ৭ দিন ধরে রাজৈর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত বিরতিতে দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে। এসব আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনে ফৌজদারি কার্যবিধি মতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এ মোতাবেক রাজৈর বাজার, পশ্চিম রাজৈর, বদরপাশা এবং গোপালগঞ্জ এলাকায় এক বা একাধিক ব্যক্তি চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, মাইকের ব্যবহার, লাঠিসোঁটা বা যে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা এ আদেশ বহাল থাকবে। তবে দায়িত্ব পালনরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিতদের ক্ষেত্রে এ আদেশ শিথিল থাকবে বলে লিখিত আদেশে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুল হক বলেন, যে কোনো সময় আবার দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুই দিন ধরে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এ সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার সময় চতুর্থ ধাপের সংঘর্ষ শেষে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিটিং করছিল পশ্চিম রাজৈর পক্ষ নেওয়া মজুমদারকান্দি গ্রামের লোকজন। খবর পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের দুটি গাড়ির ওপর ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় রাজৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা ও পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার শাহাবুদ্দিনের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে, রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের দুপক্ষের লোকজনকে ডেকে মীমাংসার জন্য রাজি করান রাজৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওহাব আলী মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার সময় সালিশ মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে রোববার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের লোকজনের উসকানিমূলক কথাবার্তায় উত্তেজিত হয়ে আবারও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বদরপাশা গ্রামের লোকজন বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ১২টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে বদরপাশা গ্রামের বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে র্যাব মোতায়েন করা হয়।
দ্বিতীয় দিনের এ ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মেহেদী মীর (২২), রাসেল শেখ (২৮), সাহাপাড়ার মনোতোষ সাহা (৫০), আলমদস্তারের তাওফিককে (৩৭) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের পায়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অপারেশন করা হয়। এছাড়া বাকি আহতরা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
উল্লেখ্য, ঈদ পরবর্তী গত ২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফাটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা মিলে তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈর বেপারিপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। পরে আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান (৩১) বাদী হয়ে জুনায়েতকে প্রধানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে উভয়গ্রামের লোকজন। একপর্যায়ে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে দুই গ্রাম পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই ওসি ও অন্তত ১০ পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যসহ ২৫ জন আহত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এ যাবতকালের সকল রেকর্ড ভেঙে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত।
এর আগে সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার পর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা গণনা শেষে বিকেল ৫টায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যায়। এ নিয়ে এই পর্যন্ত মোট দানের পরিমাণ দাঁড়াল ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ টাকা। যা স্থানীয় একটি ব্যাংকে জমা রয়েছে।
শনিবার ৪ মাস ১১ দিন পর ১১টি দানসিন্দুক খোলা হয়। পরে সকাল ৯টায় মসজিদের ২য় তলার মেজেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। এর আগে ব্যাংকে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা ছিল।
সিন্দুক খোলার পর সবার চক্ষু চড়কগাছ। সিন্দুক থেকে বের হয়ে আসে কাড়ি কাড়ি টাকা। বস্তার অংকে টাকার পরিমাণ দাড়ায় ২৮ বস্তা। গণনায় অংশ নেয় ২৪৭ জন শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন শিক্ষক, ১৪ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ৮০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতিবার তিন মাস পর পর খোলা হলেও এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হয়েছে।
এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে থাকেন। আর এই জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন দান করতে ছুটে আসেন। শুধু টাকা পয়সা না, এখানে টাকার পাশাপাশি সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রাও দান করে থাকেন। প্রতিদিন বিপুল-সংখ্যক গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।
সিন্দুক খোলার সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদের দান সিন্দুক থেকে পাওয়া টাকা গুলো ব্যাংকে রাখা হয়। এবং সেখান থেকে যে লভ্যাংশ পাওয়া হয় তা দিয়ে এই অঞ্চলের মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। একই সাথে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে যাচাই বাচাই শেষে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে মসজিদ ঘিরে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবং সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা হচ্ছে। ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রায় ১১৫/১২০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজারের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। থাকবে ইসলামি গবেষণা কেন্দ্র, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছর যাবত এই মসজিদের কোনো খাজনা ও ভূমি কর দেওয়া হয়নি। গতমাসে তা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এই জায়গাটুকু পাগলা মসজিদের নামে নামজারি করা ছিল না। সেটিও করা হয়েছে। কিছু জায়গা রয়েছে পাগলা মসজিদের ভেতরে যেগুলো এখনও ব্যক্তি মালিকানাধীন রয়েছে যদি একটি আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স করতে চাই তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটুকু আমাদের আওতাভুক্ত আনতে হবে। তার জন্য ওয়াকফ বরাবর চিঠি লেখা হয়েছে। অনুমোদন পেলে জায়গা ক্রয় করে ইসলামিক কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদে চিঠি

ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি দিয়েছে এক ব্যক্তি। চিঠিতে লেখা রয়েছে ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই সাধারণ জনগণ আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ৪ মাস ১১ দিন পর পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুক খোলার পর টাকা পয়সা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
তবে প্রতিবার আলোচনায় থাকে মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া চিঠি নিয়ে। এসব চিঠিতে লোকজন জীবনের প্রাপ্তি, বিরহ-বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা, রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে।
এমন আরেকটি চিঠিতে এক নারী তার ভাইয়ের কথাও লিখেছেন, তিনি লেখেন, আমার ভাইয়ার পুরোপুরি সুস্থ কইরা দেও আল্লাহ। ওর শরীর থেকে এই রোগটারে সম্পূর্ণভাবে গায়েব কইরা দেও আল্লাহ। আমার ভাইদের, আমার আম্মা, আব্বু, পাপার দেওয়ার কবুল কাইরা নিও আল্লাহ। আমার ভাইয়ার সিটিজেনসীপ যেন পাইয়া যায় আল্লাহ। তুমি ওদের মনের আশা পূরণ কইরো। অনেক বড় একটা স্বপ্ন দেইখা রাখছিলাম আল্লাহ নিজের জন্য সেটা আপাতত তোমার উপর বিশ্বাস রাইখা স্থগিত রাখছি। তুমি আমার ভাইকে বিদেশ যাওয়ার আকাঙ্ক্ষাটারে কবুল করে নিও আল্লাহ। তোমার বিশ্বাসে এগুলো লিখছি আল্লাহ তুমি আমার দোয়া কবুল কইরা নিও।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দান সিন্ধুক খোলে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় সিন্দুক খুলে টাকা গুলো বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের ২য় তলার মেঝেতে ঢেলে ৯ টায় শুরু হয় গণনা কার্যক্রম।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিন্দুক গুলো খোলা হয়েছিল। এ হিসেবে এবার ৪ মাস ১১দিন পর আবারও সিন্দুক খোলা হয়েছে। তখন রেকর্ড ২৯ বস্তায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে।
সিন্দুক খোলার সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২৪৭ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৪ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ৮০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রচলিত আছে, এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে থাকেন। আর এই জন্য দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন দান করতে ছুটে আসেন। শুধু টাকা পয়সা না, এখানে টাকার পাশাপাশি সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রাও দান করে থাকেন। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।